skip to Main Content

ই-শপ I মিনিমাল ফার্নিচার

কখনো কখনো এমন কোনো সমস্যা আসে, যার সমাধান করতে গিয়ে নতুন কোনো ধারণার উদ্ভব ঘটে। মিনিমাল ফার্নিচারের শুরুর গল্পটা এমনই। সাজেদুর রহমানের এক বন্ধুর বিয়ে হয় ২০১২ সালে। সংসার শুরুর জন্য সেই দম্পতির কিছু আসবাব দরকার হলো। সেসব হতে হবে সাধ্যের মধ্যেই, কিন্তু মনের মতো। কিন্তু ঘরের ডিজাইন অনুযায়ী মনমতো আসবাব আর বাজেটের সামঞ্জস্য আনাই হয়ে ওঠে বিশাল চ্যালেঞ্জ। ধীরে ধীরে বন্ধুদের সবাই একই সমস্যায় পড়তে থাকলে চিন্তাভাবনা শুরু হয় এমন একটা ফার্নিচারের দোকান দেওয়ার, যেখানে ক্রেতারা আসবাব কাস্টমাইজ করতে পারবেন, সব প্রোডাক্ট হবে মানসম্মত এবং একসময় এই শপ হয়ে উঠবে আস্থার জায়গা। ২০১৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু মিনিমাল ফার্নিচারের।
বাসা, অফিস, রেস্টুরেন্ট কিংবা এমন জায়গার জন্য কাস্টমারের চাহিদামাফিক যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট নিয়েই কাজ করে থাকে মিনিমাল ফার্নিচার। সব সময় হয়তো শতভাগ সফলতা আসে না, তখন কাস্টমারদের মনমতো সেবা নিশ্চিত করা হয় এখানে। কাস্টমাইজড ফার্নিচারের শপ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কোনো নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট রেঞ্জ নেই। যেকোনো ধরনের ফার্নিচার, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্ট করতে করতে এর প্রোডাক্ট লাইনে বিভিন্ন আসবাব যুক্ত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কেননা প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য কাস্টমাইজড ও কাস্টমারের একান্ত নিজের প্রোডাক্ট তৈরি করা।
এখানে এমনভাবে কাস্টমাইজড হয়, একই ফার্নিচার যদি দুজন আলাদা ক্রেতার বাসায় দেখা যায়, তাতেও কিছুটা পার্থক্য থাকে। তাই অনেক সময় তাদের প্রাইস রেঞ্জ একটু বেশি মনে হতে পারে। কিন্তু সিংহভাগ প্রোডাক্টই কাস্টমাইজড হওয়ায় মান আর সেবার বিবেচনায় দাম খুব বেশি নয়। প্রতিষ্ঠানটির কাজ শুধু প্রোডাক্ট বিক্রি করা নয়, পৃথক টিম দিয়ে সার্ভিস দেওয়াও। এখানকার প্রোডাক্টের দাম ১০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপরেও যায়। এটা নির্ধারিত হয় ক্রেতার চাহিদার ওপর নির্ভর করে। যার যেমন প্রোডাক্ট ডিজাইন কিংবা ম্যাটেরিয়াল, সেই অনুযায়ী দামের তারতম্য হয়ে থাকে। মূলত প্রসেসড উড আর প্লাইউড নিয়ে এর কাজ। কালারের জন্য ব্যবহার করা হয় লেকার, ডোকো, হ্যান্ড পলিশ ইত্যাদি। তবে ক্রেতার চাহিদানুযায়ী ম্যাটেরিয়াল দিয়ে আসবাব তৈরিতেও মিনিমাল কাজ করে থাকে।
ফেসবুক পেজ লিঙ্ক: – https://www.facebook.com/MinimalFurnitureBD/
বর্তমানে এর ফলোয়ারের সংখ্যা দেড় লাখের বেশি। পেজটিতে কাস্টমারদের রিভিউ আর কমিউনিকেশনও বেশ ভালো। তবে ক্রেতার অনুসন্ধান যাতে আরও সহজ হয়, প্রোডাক্ট ভ্যারিয়েশন কিংবা কাজের ধারা সম্পর্কে আরও বেশি জানতে পারে বা তাদের সম্পূর্ণ সার্ভিস নিয়ে সামনাসামনি কথা বলতে পারে, সেই লক্ষ্যে খুব জলদি মোটামুটি বড় আকারের একটা ডিসপ্লে সেন্টার শুরু করতে যাচ্ছে ভার্চ্যুয়াল এই প্রতিষ্ঠান।
৬ জনের দল মিলে পরিচালিত হয় এই ই-শপ। মিনিমাল ফার্নিচারের অ্যাকাউন্টস হেড শাহজাদুর খান বলেন, ‘আমাদের শুরু খুব বেশি দিন হয়নি। যদি এর মধ্যেই বলে ফেলি আমরা বেশ কিছু অর্জন করে ফেলেছি, তাহলে সেটা বাড়িয়ে বলা হবে। আমাদের অর্জন হয় তখনই, যখন দেখি কোনো কাস্টমার আমাদের কাছ থেকে সার্ভিস গ্রহণ করে খুশি থাকেন। অনেক সময় সেটা তারা আমাদের পেজে রিভিউর মাধ্যমে জানান। আবার কারও খারাপ অভিজ্ঞতা হলে সেটাও জানান। আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি আমাদের সার্ভিস নিয়ে খুশি হন এমন কাস্টমারের সংখ্যা বাড়াতে।’

 শিরীন অন্যা
ছবি: মিনিমাল ফার্নিচার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top