রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট বলে দিতে পারে, সামনের এক দশকের মধ্যে মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে কি না। এ ক্ষেত্রে এই ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা ৮৩ শতাংশ। এমনটাই দাবি করেছেন, বিশেষ পদ্ধতিতে এই ব্লাড টেস্টের আবিষ্কারক। এই বিষয়ে একটি গবেষণা বিশদে প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অব নেচার কমিউনিকেশনসে।
এই গবেষণার ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ১০৯ বছর বয়সী মোট ৪৪ হাজার ১৬৮ জনের ওপর একটি পরীক্ষা চালানো হয়। মেটাবোলাইট বা বিপাকের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করেই মৃত্যুর ব্যাপারে এই ভবিষ্যদ্বাণী করছে ব্লাড টেস্টটি। ইমিউনিটি, গ্লুকোজ কন্ট্রোল, কতটা ফ্যাট বা চর্বি জমছে এমন ১৪টি ফ্যাক্টর বিশ্লেষণ করে তবেই রিপোর্ট তৈরি হচ্ছে।
এভাবেই কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তা জানিয়ে দিচ্ছে এই ব্লাড টেস্ট। জার্মানির এই গবেষকেরা বলছেন, রক্তের এই প্রোফাইল ট্স্টে করিয়ে যদি ধরা পড়ে, কারও মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে, আগাম তাকে সতর্ক করে দেওয়া যেতে পারে। তাতে অকালমৃত্যু ঠেকাতে সেই ব্যক্তি হাতে খানিক সময় পাবেন। সেই মতো আগাম চিকিত্সা করানোর সুযোগ একটা থাকবে। তবে এ ক্ষেত্রে ভয় না পেয়ে আগাম সতর্ক হয়ে চিকিৎসা এবং শরীরের যত্ন নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ফলে এই ব্লাড টেস্টের মাধ্যমে এড়ানো যেতে পারে অকালমৃত্যুর আশঙ্কা।