মাইক্রোসফটের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডিজিটাল সেবা প্রদানকারী কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড কর্মকর্তাদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মীদের নিরাপদ কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে কোম্পানিটি। মহামারীকালীন টেলিযোগাযোগকে জরুরি সেবা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে রবির চলমান যাত্রাকেও বেগবান করছে এই উদ্যোগটি।
রবির কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য দৃঢ় রাখার ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা বাসা থেকে বের না হয়েও যে কোনো সময় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া কোম্পানিটি মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে মহামারী সংক্রান্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সামাজিক তথ্য তুলে ধরতে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক আলোচনার আয়োজন করছে। মাইক্রোসফটের ডিজিটাল সল্যুশন রবির কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে যুক্ত রেখেছে যা দুর্যোগকালীন এ সময়ে মনোবল চাঙ্গা রাখতেও সহায়তা করছে।
রবি আজিয়টার চিফ ইনফরমেশন অফিসার ড.আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের জন্য রিয়েল-টাইম কমিউনিকেশন-নির্ভর একটি সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলাম। মাইক্রোসফট ৩৬৫ আমাদের ঠিক সেই সুযোগটিই করে দিয়েছে। মাইক্রোসফটকে বেছে নেয়ার মাধ্যমে আমরা একটি আধুনিক কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, যার ফলে আমাদের কর্মকর্তারা যে কোন সময় যে কোন স্থান থেকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছেন। রবি ও মাইক্রোসফটের নেয়া এই উদ্যোগটি বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থাগুলিকেও তাদের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারা অব্যহত রাখার সুযোগ তৈরি করেছে।’
মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর নিরবিচ্ছিন্ন সেবার ফলে ফলে রবি আজিয়াটা সাধারণ সময়ের মতোই এখনও দৈনন্দিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। রবি দ্রুত ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে মহামারী চলাকালীন কোম্পানিটি এর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় অব্যহত রাখতে পেরেছে।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী সব খাতেই কাজের ধরন এবং উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন আসায় আমাদের গ্রাহক এবং অংশীদাররা ক্লাউড কম্পিউটিং এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমরা রবি আজিয়াটার সাথে কাজ এবং ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানোয় সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তি ও সংস্থা যেন আরো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করি।’