বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে ‘স্মার্ট স্মাইল’ সার্জিক্যাল এবং কেএন95 মাস্ক
আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত আরএমজি অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড। ‘স্মার্ট স্মাইল’ ব্র্যান্ড নামের মেডিকেল ও কেএন95 মাস্ক প্রস্তুত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ধরনের মাস্ক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। চীনভিত্তিক গোল্ডেন ফাউন্ড কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারখানা স্থাপন করেছে অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, মানুষের হাতের স্পর্শ এবং সম্পূর্ণ ধুলাবালিমুক্ত পরিবেশে প্রতিটি মাস্ক তৈরি হয়।
মাস্কের ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি পরীক্ষা করতে ‘স্মার্ট স্মাইল’ বাংলাদেশেই তৈরি করেছে নিজস্ব পরীক্ষাগার। পরীক্ষাগারে মাস্কের ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি, পার্টিক্যাল ফিল্টারেশন এফিসিয়েন্সি, ব্রিথেবলিটি এবং ব্লাড রেসিসটেন্ট ফিল্টারেশন নির্ভুলভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া ‘মেল্ট-ব্লোন’ ফ্যাব্রিক ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি, যা চীন থেকে আমদানি করা। মাধ্যমে ‘মেল্ট-ব্লোন’ ফ্যাব্রিক ব্যাকটেরিয়া এবং একাধিক ধরনের ধূলিকণাকে শ্বাসযন্ত্রের প্রবেশে বাধা দিতে সক্ষম।
স্মার্ট স্মাইল সার্জিক্যাল এবং কেএন95 মাস্ক তৈরির বিষয়টি সর্বসাধারণকে জানাতে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে, ২৭ আগস্ট বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সাফিয়া খাতুন, প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ; সৈয়দ মজিবুল হক, অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক, ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি। আরও ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা। মুজিবুর রহমান, এমডি; মিঃ পিটার ডং, পরিচালক (মাস্ক ইউনিট); নিকোল শাইন, ডিরেক্টর (মাস্ক ইউনিট) এ সময় কোম্পানির মিশন, ভিশন এবং পণ্যের গুণগত মান তুলে ধরেন।
অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেডের এমডি মুজিবুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘করোনা মহামারির শুরু থেকে পৃথিবীজুড়ে মাস্কের সংকট দেখা যায়। এই সংকট বাংলাদেশেও লক্ষ করা গেছে। কারণ, রাতারাতি এর চাহিদা ব্যাপক আকার ধারণ করে। দেশের এবং আন্তর্জাতিক চাহিদা পূরণে এখন আমরাই মানসম্পন্ন মাস্ক তৈরি করছি।’
অ্যাপারেল প্রমোটার্স লিমিটেডের পরিচালক পিটার ডং বলেন, ‘আমাদের কারখানা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তিতে পরিচালিত। যেখানে শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। আমরা ইতিমধ্যে এফডিএ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছি। যার দরুন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি শুরু করতে পেরেছি।’