ভবিষ্যতের খাবার শেওলা
বেড়েই চলেছে বিশ্বের জনসংখ্যা। কমছে কৃষিজমি। ফলে ভবিষ্যতে নতুন খাবারের দিকে বাধ্য হয়েই ঝুঁকতে হবে। মানুষের খাদ্যতালিকায় এমন কিছু যোগ করতে হবে, যা সহজলভ্য, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। সেটির খোঁজ চলছে। গবেষকদের লক্ষ্য এখন এক প্রকার বিশেষ শেওলার দিকে। যা হতে পারে আগামী দিনের মানুষের সুপারফুড।
মাইক্রো অ্যালজি ও সায়ানো ব্যাকটেরিয়া এক প্রকার জলজ উদ্ভিদ। এগুলো এককোষী। লবণাক্ত ও সাধারণ- উভয় পানিতেই জন্মায়। সারা বিশ্বে এই শেওলার অনেক প্রজাতি আছে। সেগুলোর মধ্যে ‘ক্লোরেলা’ ও ‘স্পিরুলিনা’ ইতিমধ্যে মানুষের খাদ্যতালিকায় এসেছে। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট সায়েন্সেসের প্রফেসর আলিসন স্মিথ বলেন, ‘মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই নীল সবুজ শেওলা খাচ্ছে। কয়েক শ বছর আগে থেকেই দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ তাদের পুকুর থেকে নিয়ে স্পিরুলিনাকে খাবারে সংযোজন করে আসছে।’
মাইক্রো অ্যালজিতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। খাবারটি মাংসের বিকল্প হতে পারে। স্পিরুলিনা মেয়নিজের জায়গা নেবে। পুষ্টিবিদ রিয়ানন ল্যামবার্ট বলেন, ‘স্পিরুলিনায় ৫৫ থেকে ৭০ শতাংশ প্রোটিন থাকে। এতে উদ্ভিদভিত্তিক খাবারের চেয়ে ভালো অ্যামিনো অ্যাসিড প্রোফাইল আছে।’
এসব শেওলা সরাসরি খেতে হবে না ভবিষ্যৎ পৃথিবীর মানুষদের। তা আসবে সবুজ কাপ কেক বা স্মুদি হিসেবে।