সম্পাদকীয়
এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর- এই ছয় মাস ক্যানভাস মুদ্রিত আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কেন হয়নি, তা আপনারা কমবেশি জানেন। তবে আমরা থেমে থাকিনি। ম্যাগাজিনটির অনলাইন সংস্করণ অব্যাহত রাখতে পেরেছি। এত বিপর্যয়ের মধ্যেও আপনারা আমাদের যে ছেড়ে যাননি, তা অনুভব করেছি। এরই ফলস্বরূপ বর্তমান সংখ্যাটি প্রকাশিত হলো।
এটা আমাদের শারদীয় সংখ্যা। তবে এর সঙ্গে নিউ নরমালের প্রাসঙ্গিক বিষয়-আশয়ও থাকছে। এবারের কভারস্টোরি দেবী দুর্গার ফ্যাশন নিয়েই। এ সম্পর্কে এর আগে তেমন কিছু রচিত হয়নি। বাংলার লোকায়ত জীবনে এবং অভিজাত শ্রেণির মধ্যে দুর্গার ভিন্ন ভিন্ন সাজ দেখে এসেছি। এর সঙ্গে নাগরিক মধ্যবিত্ত কীভাবে এই দেবীকে সাজিয়েছে, তা-ও দৃষ্টিগ্রাহ্য হয়েছে। কেবল তা-ই নয়, কালে কালে এর পরিবর্তনও লক্ষণীয়। দেবীর সাজপোশাক-সম্পর্কিত আলাপের পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, দুর্গোৎসব যে আরাধনা ও শিল্পকলার যুগলবন্দী, এমনটি বিশ্বে আর কোথাও দেখা যায় না।
এই শারদীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে আরও কিছু বিষয় এ সংখ্যায় স্থান পেয়েছে। যেমন শঙ্খচূর্ণে রূপচর্চা, চিরচেনা চিনি, শোলাশিল্প, ইনডোর প্ল্যান্টেশন ইত্যাদি।
করোনাজনিত বাস্তবতার উপজীব্যগুলো এই ক্যানভাসে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচিত হয়েছে। ফলে ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশনের সাম্প্রতিক পরিবর্তন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রেস্তোরাঁয় খাদ্য গ্রহণের প্রসঙ্গটিও এসেছে আলোচনায়। উল্লেখ্য, পূজা এবং কোভিড-১৯ মিলিয়ে কিছু বিষয়ও আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেমন পোর্টফোলিও। এতে সামাজিক ভিড়ে যেতে না পারা পূজারিদের উৎসবের পোশাক কেমন হবে, তার রূপরেখা বাতলে দেওয়া হয়েছে। আশা করি আপনাদের কাজে আসবে।
এবার একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। গত ছয় মাসে আমরা অনেককেই হারিয়েছি। বেশির ভাগই করোনা সংক্রমণের শিকার। এখনো অনেকেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন। যারা চলে গেছেন, তাদের জন্য শোক প্রকাশ করছি। যারা শয্যাশায়ী, তাদের জন্য আরোগ্য কামনা। যারা এখনো সুস্থ আছেন, তাদের উদ্দেশে একটাই কথা- স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সাবধানে থাকুন।
সবাইকে শারদীয় শুভেচ্ছা।