skip to Main Content

বিউটি সার্ভিস I থ্রিডি ল্যাশ লিফট অ্যান্ড টিন্ট

আবেদনময় চোখের জন্য। নতুন এক সাজকৌশল। যা কনের তাকানোকে বাঙ্‌ময় করে তোলে

আইল্যাশ। দ্য লঙ্গার অ্যান্ড ফুলার, দ্য বেটার। কার্লি হলে তো কথাই নেই। চোখের ভাষা পাল্টে যাবে নিমেষেই। মুখশ্রীর সৌন্দর্যও বাড়বে বহুগুণ। কিন্তু এমন আইক্যাচিং আইল্যাশের অধিকারিণী তো সবাই হন না। তা হওয়ার অপশন রয়েছে অনেক। আইল্যাশের দৈর্ঘ্য আর ঘনত্ব বাড়াবে এমন মাসকারা আছে বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর। কিন্তু এক কোটে এর কোনোটাই কাক্সিক্ষত ফল দিতে পারে না। দরকার পড়ে কয়েক কোটের। ওয়াটারপ্রুফ এ মাসকারাগুলো দৈর্ঘ্য এবং ঘনত্ব বাড়ালেও আইল্যাশ কার্ল করতে পারে না অনেক ক্ষেত্রেই। ন্যাচারালও দেখায় না। তা ছাড়া সেটি তোলার সময় সহ্য করতে হয় বাড়তি হ্যাপা। ফলস আইল্যাশও পছন্দ করেন অনেকে। তবে তা ব্যবহারেও রয়েছে কিছু নিয়মকানুন। চোখের শেপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে প্রথমে। তারপর তা পরার সময়েও চাই বাড়তি সতর্কতা এবং আনুষঙ্গিক আরও সরঞ্জাম। ঠিকমতো পরা না হলে ফলস আইল্যাশের মেকিভাবটা খুব বিসদৃশ লাগে। চোখেও অস্বস্তি হয়। ফলস আইল্যাশ পরলে সাজানোর ধরনও খানিকটা পাল্টে যায়। সেদিকে চাই বাড়তি মনোযোগ। এখানেই শেষ নয়, ফলস আইল্যাশ খোলা, তা সংরক্ষণ, পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। পুরো ব্যাপারটা সময়সাপেক্ষ। ঝক্কিরও। অপেক্ষাকৃত উন্নত পদ্ধতি ট্রাই করতে চাইলে আছে ল্যাশ এক্সটেনশন। এতে ল্যাশ লম্বা, ঘন এবং কার্লি হয়। খরচটা বেশি। তা ছাড়া সাময়িক এ মেকওভার ন্যাচারাল আইল্যাশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এমন প্রমাণও মিলেছে। এক্সটেনশনের মেয়াদ শেষে আসল আইল্যাশ স্বাভাবিকতা হারায়। পাতলা হয়, অনেক সময় কুঁচকেও যায় এবং এই ট্রিটমেন্টের পর তার দেখভালে বাড়তি ঝক্কির আশঙ্কা থাকে। যখন-তখন চোখ কচলে নেওয়া একদম মানা। এক পাশ হয়ে শুতে হবে, বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমানো বারণ।
এক্সটেনশন করলে স্লিপিং মাস্ক পরেই ঘুমাতে হয়। এ ছাড়া কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার, মাসকারার অ্যাপ্লিকেশনেও থাকে বাঁধাধরা অনেক নিয়ম।
তাই আইল্যাশের সৌন্দর্য বাড়াতে নতুন অপশনের খোঁজ চলছিল। সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা অনেকটাই সফল এ ক্ষেত্রে। কারণ, নজরকাড়া আইল্যাশের জন্য তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন বিউটি সার্ভিস ‘থ্রিডি ল্যাশ লিফট অ্যান্ড টিন্ট’। সৌন্দর্যবিশ্বে ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেমিপারমানেন্ট এ সার্ভিস। যা আইল্যাশকে লিফট এবং কার্ল করবে। দেখাবে ঘন ও লম্বা। কোনো ধরনের ক্ষতি না করেই। দেখাবে ন্যাচারালি বিউটিফুল। এ প্রক্রিয়ায় মূলত আসল আইল্যাশে ত্বকবান্ধব নানা ধরনের কেমিক্যাল সলিউশন ব্যবহারের মাধ্যমে রিস্ট্রাকচার করে নিয়ে দেওয়া হয় নতুন লুক। ল্যাশ লিফটের ক্ষেত্রে বাড়তি কোনো প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না। ট্রিটমেন্ট নেওয়ার আগে ত্বক এবং চোখ মেকআপ মুক্ত করে নিতে হয়। পুরো প্রক্রিয়া কাস্টমাইজ করার অপশন থাকে অনেক স্যালনে। ল্যাশ হাই আপওয়ার্ড নাকি ফ্যানড আউট হয়ে থাকবে- জানিয়ে দিতে হবে ট্রিটমেন্ট শুরুর আগে। সে অনুযায়ী চোখের শেপ বুঝে কার্ল সাইজ বেছে নেন সার্ভিস প্রোভাইডাররা।
থ্রিডি ল্যাশ লিফট অ্যান্ড টিন্ট ট্রিটমেন্টের শুরুতেই চোখের উপরের পাতা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। তারপর দুচোখের নিচে আই মাস্কিং টেপ আটকে নিতে হয়। এরপর সিলিকনে তৈরি পিঙ্ক আই শিল্ড নিয়ে তাতে আইল্যাশ পোর্টেইড গ্লু মাখিয়ে নেওয়ার কাজ। এই সিলিকন শিল্ড দুচোখের পাতায় বসিয়ে দেওয়া হয়। মাসকারা ব্রাশের মতো ল্যাশ টুল দিয়ে আইল্যাশ উপরের দিকে রোল করে আটকে দেওয়া হয় গ্লু মাখানো সিলিকন শিল্ডে। প্রফেশনাল আইল্যাশ পার্মি সলিউশন অ্যাপ্লাই করে নেওয়া হয় তারপর। অপেক্ষা করতে হয় আধঘণ্টা। আইল্যাশ ফলিকলের ন্যাচারাল বন্ড ভেঙে যায় এ প্রক্রিয়ায়। তা কার্লি হয়ে ওঠে। এরপর আইল্যাশ ট্রিটমেন্ট সলিউশন মাখানো হয় ল্যাশে, বিশেষ ল্যাশ কম্ব অথবা ল্যাশ লিফট টুল দিয়ে। এতে করে মিলবে আইল্যাশের কাক্সিক্ষত আকার। এটা মাখিয়েও পনেরো মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর তৃতীয় ধাপে মাখানো হয় আইল্যাশ ক্লেনজার। যা রাখা হয় মিনিট পাঁচেক। সবশেষে আইল্যাশ রিস্টোর ক্রিম অ্যাপ্লাই করে পরিষ্কার করতে হয় ল্যাশ জোড়া। তারপর খুলে ফেলার কাজ সিলিকন শিল্ড আর চোখের নিচের মাস্কিং টেপ। ২৪ ঘণ্টা কোনো ধরনের আইল্যাশ প্রডাক্ট ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। ন্যাচারাল আইল্যাশকেই কার্ল করা হয় বলে এর দেখভাল খুব সহজ। মাসকারাও দিয়ে নেওয়া যায় ইচ্ছেমতো। ঘণ্টাখানেক লাগে পুরো প্রক্রিয়া সারতে। খরচ পড়ে দুই হাজার টাকার মতো।

 বিউটি ডেস্ক
মডেল: তৃণ
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top