skip to Main Content

ফিচার I স্বরচর্চায়

কণ্ঠস্বর মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। কিছু শিল্পীর স্বর সম্পদতুল্য। যেমন কণ্ঠশিল্পী, আবৃত্তিকার ও ডাবিং আর্টিস্ট। আরও বলা যেতে পারে রেডিও আরজে, টেলিভিশন উপস্থাপক ও সংবাদ পাঠকদের কথা। বক্তা কিংবা লাইভ প্রেজেন্টারদের কণ্ঠও ভালো হওয়া চাই। কিন্তু এমন কিছু প্রভাবক আছে, যা অজান্তেই স্বর খারাপ করে দিতে পারে। বিশেষ করে কিছু খাবার। সেগুলো আকস্মিক ও দ্রুত স্বরে মন্দ প্রভাব ফেলতে সক্ষম। তাই পারফরম্যান্সের আগে আগে ওসব খেলেই বিপদ। বিপরীতে কিছু খাদ্য কণ্ঠস্বর শ্রুতিমধুর করে তুলতে পারে। কোন খাবার স্বরোপযোগী আর কোনটি নয়, তা জানা থাকলে নিজের স্বরচর্চা নিজেই করা সম্ভব। সতর্কও থাকা যায়। প্রথমে জেনে নেওয়া যাক কী কী খাবার এড়াতে হবে:
 পারফরম্যান্সের আগে পনির, দধি ও দুগ্ধজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। এগুলো হজম হতে বেশি সময় নেয়। অনেক ক্ষেত্রে পেটে অ্যাসিড উৎপন্নের মাধ্যমে স্বরযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে।
 প্রসেসড সুগারযুক্ত খাদ্য গ্রহণে পরিমিতি থাকা ভালো। এসব খাবার খুব দ্রুত শক্তি ক্ষয় করে দিতে পারে। কেননা, কণ্ঠস্বরকেন্দ্রিক কলাগুলো উপস্থাপনের জন্য শারীরিক শক্তির প্রয়োজন পড়ে।
 ক্যাফেইনযুক্ত খাদ্য গ্রহণেও সতর্ক থাকা চাই। এই উপাদানসমৃদ্ধ খাবার গলার আর্দ্রতা কমিয়ে দিতে পারে। তা ছাড়া কণ্ঠের পেশি সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। ফলে গান গাওয়া কিংবা আবৃত্তির সময় ভোকাল কর্ডে চাপ অনুভূত হতে পারে।
 চকলেট, ভাজাপোড়া, মাখন ও বরফের ক্ষেত্রেও একই কথা।
 যেকোনো ঝাল খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তা থেকে পাকস্থলীর অ্যাসিড বেড়ে গিয়ে রিফ্লাক্স হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

কণ্ঠস্বর ভালো রাখতে যেসব খাবার নিয়মিত খাওয়া যেতে পারে:
 মধু ও আদার রসের মিশ্রণ ভীষণ উপযোগী। প্রতিদিন সকালে প্রায় এক চা-চামচ আদার রসে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে গলা সুস্থ থাকবে। নিয়মিত পানে দীর্ঘ মেয়াদে কণ্ঠস্বর সুমিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
 স্বর ভালো রাখতে যষ্টিমধুর গুণের কথা কমবেশি সবারই জানা। কণ্ঠনালির ধুলাবালি দূর করতে এর জুড়ি নেই। ডাস্টের কারণে হওয়া কাশি নিরাময়েও সক্ষম এটি। ধারণা করা হয়, খাবারটি নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে কণ্ঠস্বর শ্রুতিমধুর হতে থাকে। বাচ্চাদের গলা ভেঙে গেলে যষ্টিমধু পানিতে ভিজিয়ে খাওয়ানোর চল আছে। এটি চিবিয়ে রস পানে কথার জড়তাও দূর হয় বলে কথিত।
 কণ্ঠ ভালো রাখতে নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি করলে গলা বেশির ভাগ সময়ই আর্দ্র থাকে। ফলে কণ্ঠ বসে যাওয়া কিংবা ভোকাল কর্ডে প্রদাহের আশঙ্কা থাকে না।

 ফুড ডেস্ক
ছবি: ইন্টারনেট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top