skip to Main Content

ফরহিম I অলসদের জন্য

নানান ব্যস্ততায় ছেলেদের নিজের লুক ‘টপ নচ’ রাখতে যত্ন নেওয়ার সময় হয় না। সারা দিনের ক্লান্তির পরে স্কিনকেয়ারের ইচ্ছাটাও চলে যায়। আলসেমিও একটা কারণ। কিছু গ্রুমিং হ্যাক রয়েছে, যা স্কিনকেয়ার সহজ করে তুলবে

টুথব্রাশ ফর সফট লিপস
শীতকাল আসার আগেই ত্বক আর ঠোঁট রুক্ষ হয়ে ওঠে। ত্বকে ময়শ্চারাইজার মাখা একটা নিয়মিত প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়লেও আলাদা করে লিপ বাম দিতে অনেকেই ভুলে যান। তা ছাড়া ঠোঁটের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এক্সফোলিয়েশনও জরুরি। তাই আলসেমি করে লিপ স্ক্রাব ব্যবহার না করলেও প্রতিদিন ব্রাশ করার সময় টুথব্রাশটা কাজে লাগানো যায়। ব্রাশ করার পরে ২০-৩০ সেকেন্ডের জন্য টুথব্রাশ দিয়ে নিজের ঠোঁট এক্সফোলিয়েট করলেই চলবে। এতে ঠোঁটের মরা চামড়াগুলো পড়ে যাবে সহজেই। এরপর অবশ্যই একটা ভালো লিপ বাম দিয়ে নেওয়া জরুরি।
ভ্যাসলিন ফর লং লাস্টিং ফ্রাগরেন্স
ত্বক সুস্থ রাখতে ভ্যাসলিন বেশ কার্যকর। বডি ফ্রাগরেন্স লক করতেও এটি সহায়ক। ভ্যাসলিন এমন এক ধরনের ময়শ্চারাইজার, যা নিজের ময়শ্চারের মাধ্যমে পারফিউম কিংবা বডি মিস্টের সুগন্ধ ধরে রাখে অনেক বেশি সময়ের জন্য। অল্প ভ্যাসলিন নিয়ে পালস পয়েন্টগুলোতে মাখিয়ে নিতে হবে, অর্থাৎ কবজির নিচে, গলা, ঘাড় এবং কানের পেছনে। দু-তিন মিনিট অপেক্ষা করে পছন্দের পারফিউম কিংবা মিস্ট স্প্রে করে নিতে হয় ওসব জায়গায়।
গো ইজি অন শ্যাম্পু
গোসলের সময় পানি দিয়ে চুল ধোয়া যেতে পারে। তবে প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুলের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এতে থাকা কেমিক্যাল চুলকে খুব সহজেই রুক্ষ করে ফেলে। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন শ্যাম্পু করাই যথেষ্ট। প্রতিদিন ধুলাবালি কিংবা স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেলের কারণে চুল ময়লা হয়ে গেলে শ্যাম্পুর পরিমাণ কমিয়ে নেওয়া যায়। এক থেকে দুই ফোঁটা শ্যাম্পু হাতের তালুতে নিয়ে ফোম বানিয়ে শুধু স্ক্যাল্পে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। চুল একটু বড় হয়ে থাকলে আগায় অল্প পরিমাণে কন্ডিশনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
কন্ডিশন বিফোর শেভিং
হুট করে শেভিং ক্রিম শেষ! সে ক্ষেত্রে চিন্তা না করে রেগুলার কন্ডিশনারটাই ব্যবহার করা যেতে পারে শেভিং ক্রিম হিসেবে। হেয়ার কন্ডিশনার ত্বকে আর্দ্রতা বাড়িয়ে দাড়ি নরম করে তোলে। এতে শেভিং অনেক সহজ হয় এবং রেজর বাম্পের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে আসে। তা ছাড়া এতে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েলও থাকে সুরক্ষিত।
হ্যান্ড ক্রিম টু হেয়ার রেসকিউ
শুষ্কতার প্রকোপ থেকে বাঁচতে একটা ভালো মানের হ্যান্ড ক্রিম প্রয়োজন। বাড়তি একটি টিউব রাখা যেতে পারে চুলের জন্যও। হ্যান্ড ক্রিম বেশ লাইটওয়েট হয়ে থাকে, যা কন্ডিশনারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটা চুলকে ময়শ্চারাইজ করে শুষ্ক ও ফ্রিজি ভাব দূর করে দেয়। তালুতে অল্প হ্যান্ড ক্রিম নিয়ে পুরো হাতে মেখে আঙুল দিয়েই চুলে হালকাভাবে ব্রাশ করে নিতে হবে। এটা হেয়ার সেরাম হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ইউজ বিয়ার্ড অয়েল
দাড়ি রাখাটা অনেকের শখের হলেও প্রতিনিয়ত যত্ন নেওয়া বেশ ঝক্কির কাজ। কম পরিশ্রমে যত্ন নিতে ব্যবহার করা যায় বিয়ার্ড অয়েল। দাড়ির নিচের ত্বক শুষ্ক হওয়া থেকে রক্ষা করে সুস্থ রাখতে এটি বেশ কার্যকর। দাড়িতে হওয়া খুশকি আর চুলকানি থেকেও নিস্তার মেলে এটি ব্যবহার করলে। সুগন্ধিযুক্ত বিয়ার্ড অয়েলে দাড়ি আরও ঘন মনে হয়।
বাই বাই ব্ল্যাকহেডস
ব্ল্যাকহেডস কিংবা হোয়াইট হেডস খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। দুদিন পরপরই এগুলো ত্বকে, বিশেষ করে নাকের ওপর এসে জুড়ে বসে। বাসায় বসেই কিছু পদ্ধতি মেনে ব্ল্যাকহেডস তুলে ফেলা যায়। সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে ব্যান্ড এইড কিংবা ডাক টেপ। এটি বেশ কার্যকর। এই টেপ নাকের ওপর ভালোভাবে চেপে চেপে লাগাতে হবে। ১৫ মিনিট পর জোরে ব্যান্ড এইড টেনে তুলে নিলে তার সঙ্গেই ব্ল্যাকহেডস উঠে আসে।
পাউডার ফর গ্রিজি হেয়ার
অনেক সময় চুল ধোয়ার অবসর মেলে না। এতে পরদিন সকালে চুল হয়ে থাকবে তেলতেলে। আবার কারও কারও নিয়মিতই মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল বের হয়। এ ধরনের সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে সহজ উপায় বেবি পাউডার কিংবা ট্যালকম পাউডার। স্ক্যাল্পে অল্প পাউডার দিয়ে চুল ভালোভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। এতে পাউডার স্ক্যাল্পের অতিরিক্ত তেল শুষে নেবে। ফলে চুলে একটা কোমল এবং আরামদায়ক ভাবের সৃষ্টি হবে।

 শিরীন অন্যা
মডেল: নিহাফ
ছবি: ফারাবী তমাল
মেকওভার: পারসোনা মেনজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top