ডিজাইনার’স টক I পেটিট ফ্যাশন
খাটোদের বুঝেশুনে পোশাক বা জুয়েলারি বাছাই করতে হয়। যাতে আরও খাটো না মনে হয়। দেখতে কিছুটা লম্বা লাগে। জানাচ্ছেন ডিজাইনার লিপি খন্দকার
কালার
আসলে মানুষ খাটো বা লম্বা হোক, আমার মনে হয় না সে ক্ষেত্রে কালার খুব একটা ম্যাটার করে। এমন নয় যে, বিশেষ কিছু রঙের পোশাক পরলে খাটো মানুষকে লম্বা মনে হয় বা দেখতে বেশি খাটো মনে হয়। যার যার গায়ের রঙ অনুযায়ী যে রঙগুলো মানিয়ে যায়, সেগুলোই তাদের বেছে নেয়া উচিত।
লেংথ
সাইজে শর্ট হলে পোশাকের লেংথ খুবই বড় বিষয়। এতে গড়বড় থাকলে খাটোদের আরও খাটো মনে হয়। ওয়েস্টার্ন পোশাকের ক্ষেত্রে খাটো টপ এবং স্কিনটাইট প্যান্ট পরলে ভালো লাগে। লুজ ট্রাউজার পরা একেবারেই উচিত নয়। টপসের লেংথ্ বড়জোর কোমরের একটু নিচে বা হিপ পর্যন্ত হতে পারে। কামিজ লম্বা হলে সমস্যা নেই। তবে বেশি ঘেরওয়ালা কামিজ যাতে না হয়। ভালো লাগবে এ-লাইন কামিজগুলো। সালোয়ারের ক্ষেত্রে অবশ্যই চুড়িদার। ঢোলা সালোয়ারের চেয়ে চুড়িদার বা চোশত পরলে ভালো দেখায়।
প্যাটার্ন এবং প্রিন্ট ছোট হওয়াটা প্রেফারেবল। বড় আকারের প্রিন্ট যত এড়ানো যায়, ততই মঙ্গল। ছোট ছোট ফুল বা মোটিফের প্রিন্টে খাটো মানুষদের অনেক ভালো লাগে। চেকের ক্ষেত্রেও তাই। চেকের ঘের এক বা দেড় ইঞ্চি হতে পারে বড়জোর। বড় বড় প্রিন্ট বা চেক পরলে অনেকটা দৃষ্টিকটু বটে। স্ট্রাইপে হরাইজন্টাল এড়ানো উচিত। ভার্টিক্যাল এবং থিন স্ট্রাইপে খাটোদের দেখতে লম্বা মনে হয়।
চেক কম্বিনেশন
এ ক্ষেত্রেও ছোট ছোট চেক। আগেই বলেছি, বড় বড় চেক এবং লাউড প্রিন্ট খাটো মানুষের জন্য একেবারেই নয়।
ফুটওয়্যার সিলেকশন
প্ল্যাটফর্ম শু এবং পয়েন্টেড হিল হলে ভালো হয়। হাইহিল পরা যেতে পারে, তবে উচ্চতা বেশি না হলেই ভালো। শারীরিক উচ্চতা বাড়ানোর জন্য মাঝারি সাইজের হিলগুলোই বেশি মানানসই তাদের জন্য। তবে অনেকে দৈহিক সমস্যা বা অভ্যেস না থাকার জন্য হিল পরতে পারেন না। তাদের লাগবে নাগরা বা কোলাপুরি জাতীয় জুতা। দুই ফিতার স্যান্ডেলগুলোও মানানসই। তবে ব্লক শু একেবারেই ত্যাগ করা উচিত।
অ্যাকসেসরিজ
কম বা বেশি যার যার পছন্দমতো পরতে পারেন। তবে ভালো লাগবে লম্বাজাতীয় গয়নাগুলো। যেমন লম্বা মালা, লম্বা কানের দুল। খাটো মেয়েদের গলা ছোট হয় বলে চিকজাতীয় যেকোনো জুয়েলারি পরা তাদের একেবারেই উচিত নয়। খুব চওড়া নেকলেসও এ ধরনের গলায় ভালো লাগবে না।
গ্রন্থনা: রত্না রহিমা
মডেল: নৃত্যশিল্পী সম্পৃতি
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: তানভীর খান
কিছু দিন আগেও ফ্যাশন ডিজাইন সম্পর্কে মানুষের তেমন ধারণা ছিলনা। এখন আর সেই সময় নেই। মানুষ এখন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন। সবাই চান নতুন কিছু, চান আধুনিকতার বৈচিত্র্যময় জীবন। এই বৈচিত্র্যের পূর্ণতা এনে দিয়েছে ফ্যাশন ডিজাইনিং কোর্স। তাই বর্তমান সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন রয়েছে সচেতনতা, তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশুনার প্রতিও বাড়ছে আগ্রহ। ফ্যাশন ডিজাইন হচ্ছে এমনই একটি কর্মমুখী ক্ষেত্র যেখানে আপনার একটু সদিচ্ছা ও পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকলে শুধু একটি পেশাদারী কোর্সের মাধ্যমে শুরু করতে পারেন আকর্ষণীয় এই পেশা। নিজেই হয়ে উঠতে পারেন একজন সফল উদ্যোক্তা, হতে পারেন স্বাবলম্বী।