skip to Main Content

সম্পাদকীয়

মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা কেমন আছি? আমরা মানে কি শুধু আমি, আমার পরিবার আর কাছের মানুষগুলো? এই যে পত্রপত্রিকায়, টিভিতে, ফেসবুকে রোহিঙ্গাদের লাশ দেখছি, মৃত শিশুর ছবি দেখছি আর যারা বেঁচে আছে, তাদের অসহায়তা দেখছি, তাতে মন কেন অস্থির হয়ে উঠছে! কেন মনে হচ্ছে, আমরা ভালো নেই; পৃথিবীর সব মানুষ যদি ভালো থাকতো, তবেই আমাদের সত্যিকারের ভালো থাকা হতো। এই বেদনাবোধের মধ্যেও আশ্বস্ত হই, যখন দেখি মানুষ দাঁড়াচ্ছে বিপন্ন মানুষের পাশে। খোদ আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন তাদের কাছে ছুটে যান সাহায্য নিয়ে, সন্তানহারা মা আর মাতৃহীন শিশুকে অকৃত্রিম মমতায় জড়িয়ে ধরেন, তখন মনে ভরসা জাগে। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে তিনি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছেন মানবতার মহান বার্তা।
ক্যানভাসের এই সংখ্যার কভারস্টোরি ‘পতনের উদ্যাপন’। শিরোনাম ধাঁধায় ফেলে দেয়ার মতো কৌতূহলোদ্দীপক, তাই না? একে তো ‘পতন’, তার আবার ‘উদ্যাপন’ হয় নাকি? আসলে পাশ্চাত্যের ফ্যাশন সিজনে এই সময়কে ইংরেজিতে ‘ফল’ বলে নির্দেশ করা হয়। এটা হলো পাতা ঝরার কাল, যখন প্রকৃতির মতো বদলে যায় পোশাকের রঙ, ফ্যাব্রিক আর প্যাটার্ন। শরৎ-হেমন্তেও বদলায় বাংলাদেশের প্রকৃতি। সাজপোশাকে আসে পরিবর্তন। দেখুন, আমাদের এবারের পোর্টফোলিও, নিশ্চয়ই বুঝতে অসুবিধা হবে না, লুক বদলে নেয়ার এই পর্ব কীভাবে উদ্যাপন করতে চেয়েছি। তা আপনাদের জন্যই।
আরও চমক আছে এই সংখ্যায়। গত কয়েক বছরে হ্যালোউইন হয়ে উঠেছে বিশ্বসংস্কৃতির অংশ। এটা বেশ মজার একটা উৎসব, যাতে রয়েছে বুদ্ধিমত্তা ও সৃষ্টিশীলতা প্রকাশের সুযোগ। প্রিয়জনের সম্মিলন তাতে আরও আনন্দময় হয়ে ওঠে। এবারের পার্টি টাস্কে হ্যালোউইন নাইট উপভোগের সেই নির্দেশনা সচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এ ক’দিনে আমরা হারিয়েছি শিল্পী আবদুল জব্বার, চলচ্চিত্র অভিনেতা রাজ্জাক, প্রকৃতিবিদ দ্বিজেন শর্মাকে। তিন অঙ্গনের তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি। মানুষের জন্য তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। আবদুল জব্বারের সুরেলা কণ্ঠ শুনতে শুনতে আমরা বেড়ে উঠেছি। তাঁর গাওয়া দেশাত্মবোধক গানের কোনো তুলনা নেই। তাঁর গান তো বেজে চলবে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি অধ্যায়ের সঙ্গী ‘নায়করাজ’ রাজ্জাক। তিনিই আমাদের চলচ্চিত্রের হিরো। আর দ্বিজেন শর্মা? প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে মানুষকে শিক্ষিত ও সচেতন করে তুলতে এই গুণীর কোনো তুলনা নেই। লেখক হিসেবেও তাঁর অবদান অসামান্য।

এই তিন কৃতীর প্রতি অনিঃশেষ শ্রদ্ধা জানাই।

কল্যাণ হোক সবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top