আলাপন I শিকড়সন্ধানী সৃজনসুহৃদ
স্থাপত্যকে অন্যতর মাত্রা দিয়েছেন। আভিজাত্যের ঘেরাটোপ ছাড়িয়ে পৌঁছে দিয়েছেন প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায়। খ্যাতি তাঁকে লুব্ধ করে না। নির্মোহ, প্রকৃতি-অনুরাগী স্থপতি মেরিনা তাবাস্সুমের সঙ্গে আনন্দ-আলাপনে মেতেছেন শেখ সাইফুর রহমান
Design creates culture. Culture shapes values. Values determine the future.
-Robert L. Peters
রবীন্দ্রসরোবরকে উপেক্ষা করে ঢিল ফেলা দূরত্বে গাছগাছালির মাঝে দাঁড়িয়ে লাল ইটের আয়তাকার দোতলা একটি বাড়ি। পুরোনো, বহু ব্যবহারে জীর্ণ প্রবেশপথ পেরিয়ে ভেতরে দাঁড়ালে দুর্গ মনে হয়। প্রবেশ আর প্রস্থান পথ পৃথক। সুড়ঙ্গসদৃশ। ভেতরে গেলে দরদালান চোখে পড়ে। উঠোনের মতো এই জায়গাটা মনে পড়িয়ে দেয় ছেলেবেলা। গন্তব্য আর সাক্ষাৎপ্রার্থীর নাম জিজ্ঞেস করলে দ্বাররক্ষী বিচলিত হয়। দোতলা থেকে একজন দেখিয়ে দেন। একতলার দুই রুমের অফিস। দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকি। বাইরের ঘরে আরও দুজন অনুজের সঙ্গে বসে নকশায় নিবিষ্ট ছিলেন। কুশল বিনিময়ের পর নিজের রুমে নিয়ে বসান। শুরু হয় আলাপন।
ভাবছিলাম কোথা থেকে শুরু করি। কিন্তু সচরাচর যা হয়, এবারও তার বাইরে যেতে পারলাম কই। বেশি আলোচিত বিষয়টিই উসকে দিল আলোচনা। দক্ষিণখানের বায়তুর রউফ মসজিদ। নারী স্থপতির সৃষ্টিকর্ম। এর কারণে আন্তর্জাতিক সম্মাননা, খ্যাতি- অনেক কিছুই এসেছে। খোদ হার্ভার্ড তাঁকে নিয়ে গেছে পড়ানোর জন্য।
মসজিদের নকশা এবং নারী। এই যুগলবন্দি বাংলাদেশে যে প্রথম, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্বেও বোধ হয়। অবশ্য এটা সম্ভব হয়েছে স্থাপনাটি পারিবারিক হওয়ায়। তবে বিষয়টি এভাবে দেখার কারণ নেই; বরং এটা তিনি সম্ভব করেছিলেন বলেই আবুধাবি তাঁকে ডেকে নিয়ে যায় ভবিষ্যতে সেখানকার মসজিদ নির্মাণের গাইডলাইন (মস্ক ডেভেলপমেন্ট রেগুলেশন) তৈরি করে দেয়ার জন্য। সময় নিয়ে এই প্রকল্প তিনি শেষ করে দিয়ে আসেন। এরপর আর কী হয়েছে, তা দেখা বা জানা হয়নি। তবে খোঁজ নেবেন বললেন।
আহা! এটা যদি আমাদের এখানে হতো! এর মধ্যে চা এসেছে। তাতে চুমুক দিতে দিতে ভাবছিলাম নারী ও মসজিদ- বেশ হতে পারত শিরোনাম। কিন্তু আরও তো রয়েছে বাকি জীবনের গল্প। তাই প্রসঙ্গান্তরে যেতেই হয়।
আলাপনের অনুরোধ দিন কয়েক আগের। এরই মধ্যে এক সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ডিসিসি মার্কেটে সরাসরি দেখা হওয়ায় বলে-কয়ে সময় নেয়া। তারপর মুখোমুখি বসিবার অবকাশ। কারণ, এমনিতে পাদপ্রদীপের আলো এড়িয়ে চলেন। নিরাপদ দূরত্বে অদৃশ্য এক বলয়েই তাঁর আবর্তন। তাই তাঁর কাজ, উদ্ভাবন, সৃজনমুনশিয়ানা সেভাবে নজরে আসে না। তাতে তাঁর কীই-বা আসে যায়। বরং, একলা চলোর অভিযাত্রায় তিনি খুঁজে নেন অপার আনন্দ।
স্থপতি তিনি। শিল্পীই বটে। সৃষ্টির অন্য শাখাতেও তো হাঁটা যেত অবিরল। কিন্তু কেন এ পথে?
– হাসলেন। তারই মাঝে যেন দেখে নিলেন এক পলকে ফেলে আসা দিনগুলো। বাবার চেম্বারে রোগীদের ভিড়। তাদের প্রতি চিকিৎসকের মমতা আর চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের অপরিমেয় শ্রদ্ধা মায় সেই উদ্ভিন্ন জীবনের দেয়ালে শোভিত নানা ঘটনার ম্যুরাল।
খ্যাতি নয়, সম্মানিত হতে চেয়েছেন যেকোনো পেশায়। কিন্তু ডাক্তার হতে চাননি। অথচ সেই সময়ের কাঙ্ক্ষিত দুটো পেশার একটি ডাক্তারি। বাড়ির আবহে সেটাই বিদ্যমান। বাবা-চাচা, কাজিনদের কেউ না কেউ ডাক্তার, না হয় ইঞ্জিনিয়ার।
হলি ক্রস থেকে এইচএসসি পাস করলেন বটে। রেজাল্ট ভালোই হলো। ছাত্রী তিনি বরাবরই ভালো। কিন্তু প্রত্যাশামাফিক হলো না। ফলে বেশ বড় একটা ধাক্কা খেলেন। এই সময়ে বাবাই তাঁকে আর্কিটেকচারে পড়ার পরামর্শ দিলেন। তিনিও লেগে পড়লেন।
কথা প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখলেন, ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন। হাসতে হাসতে বললেন, যা-ই বলেন, ব্যর্থতা কিন্তু মানুষকে অন্য রকম শক্তি জোগায়। আমি তাই ফেল করতে ভয় পাই না। কারণ, সাফল্য দিয়ে যাত্রার শেষ হয়। ক্রমাগত সাফল্য উন্নতির পথ রুদ্ধ করে দেয়। বিশেষ করে তা একবার মাথায় ঢুকে গেলে অবনতির কারণ হতে পারে। এর থেকে জন্ম নেয় আত্মশ্লাঘা।
যা হোক, শুরু হয় এক নতুন জগতে সন্তরণ। আর তাতে অনাবিল আনন্দ খুঁজে পেতে থাকেন। ভরে উঠতে থাকে পাত্র। বুঁদ হয়ে থাকেন সৃষ্টির সৌকর্যে।
– বলতে পারেন, এটা ছিল একধরনের সেলফ ডিসকভারি। আর সেই ছোটবেলায় নতুন কিছু সৃষ্টির যে অভিলাষ ছিল, সেটা এ সময়ে এসে ঠিকঠাক পাখা মেলতে শুরু করে।
নিজের মতো করে ভাবতে, সেই ভাবনায় রঙ চড়ানোর প্রক্রিয়ায় পেরিয়ে যেতে থাকেন একের পর এক পর্ব। ধীরে ধীরে পরিণতি পেতে থাকে তার কর্মপ্রবাহ। হলি ক্রসের সেই কিশোরী একদিন বেরিয়ে আসেন স্নাতক স্থপতি হয়ে। চিন্তা, ভাবনা, দর্শন, বোধ, উদ্ভাবনস্পৃহায় স্নাত হয়ে। সেটা ১৯৯৫। তারুণ্যে উদ্দীপ্ত এক স্থপতি বন্ধুর সঙ্গে জুটি বেঁধে নেমে পড়েন স্বাধীনতাস্তম্ভের ডিজাইনে। আর তা নির্বাচিত হয়। কাজও শুরু করেন। কিন্তু যা করতে চেয়েছিলেন তা হয়নি। আক্ষেপটা তাই থেকেই গেছে।
এরপর অনেক কাজ করেছেন। পার হয়েছেন নানা চড়াই আর উতরাই। সময় তাঁকে অভিজ্ঞতা দিয়েছে। সেই ১৯৯৫ সালে যৌথভাবে গড়ে তোলা আরবানা ছেড়ে চলে এসে নিজেই গড়ে নেন নতুন ভুবন- এমটিএ। ২০০৫ সালে।
সাফল্য এর মাঝে এসেছে বৈকি। তবে এর জন্য তিনি আদৌ উদ্গ্রীব নন; বরং তিনি কাজ করতে চান নিজের মতো করে। পুরস্কারের জন্য নয়। ফলে সেদিকে তেমন খেয়াল থাকে না। এরই মাঝে ২০১৬ সালে তিনি পেয়ে যান আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার। ৬৯ দেশের ৩৪৮টি সৃষ্টিকর্মের মধ্যে ১৯টি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়। সেই কাতারে ইরাকের জাহা হাদিদের মতো স্থপতিও ছিলেন।
এই সম্মাননা দক্ষিণখানের মসজিদের জন্য। যার কথা দিয়েই শুরু হয়েছিল এই আলাপন। নানির দেয়া জমি আর প্রাথমিক তহবিলে এই মসজিদের কাজ শুরু। সুলতানি আমলের মসজিদ স্থাপত্যের প্রেরণায় গম্বুজবিহীন স্থাপনা। এক্সপোজড ব্রিকের পলেস্তারাহীন দেয়াল। যেখানে ইটের রঙ আলাদা মাত্রা দিয়েছে।
এই মসজিদের নকশা করতে এক বছর সময় নেন। কেবল এটা কেন, যেকোনো কাজেই তাঁর সবচেয়ে বেশি সময় যায় গবেষণায়। শিকড়ের সন্ধান করেন আগে। তারপর সেই আকরে ভরিয়ে তোলেন ক্যানভাস। রাঙান ভাবনার রঙে। এ জন্যই তো মসজিদটি কেবল উপাসনালয় নয়; বরং সম্মিলনস্থল। ঠিক আগে যেটা ছিল। মসজিদের সেই মৌলিক ধারণা থেকে আমাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আমূল।
– এটা অটোমানদের সংযোজন। পুরোনো নকশায় ডোম ছিল না। তাই আমিও রাখার প্রয়োজন বোধ করিনি। বরং ওই স্পেসকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে এই নকশা তাঁকে সত্যিই দিয়েছে ভুবনজোড়া খ্যাতি। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে পরিচয়ের পর হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব ডিজাইনের ডিন সেখানে পড়ানোর জন্য তাঁকে আমন্ত্রণ জানান। তিনি পড়াচ্ছেন। সেখানে তাঁর বিষয় কম খরচে বাড়ি তৈরি। মাত্র দুই লাখ টাকায় দোতলা বাড়ি। এই মডেল দারুণ পছন্দ হয়েছে তাদের। তাঁর ছাত্ররা একবার এসে দেখেও গেছে। আবার আসবে ডিসেম্বরে। তৈরি হবে পাঁচটি বাড়ি।
সম্মান, স্বীকৃতি ইত্যাদি পাওয়ার পর সবাই তারকা হয়ে যান। অনেকের মধ্যেই পরিবর্তন আসে। আপনি কেন সে পথে হাঁটেন না। কেনই-বা নিজেকে স্টার আর্কিটেক্ট বা স্টারকিটেক্ট ভাবতে চান না?
– আবারও হাসেন। অ্যাওয়ার্ড তারকা বানায় না। ইন্সপায়ার করে। কাঁধে দায়িত্ব চাপায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দায়িত্বশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে।
– তা ছাড়া আমার কাজ সাধারণ মানুষের জন্য। আমি জানি, বিশ্বের মাত্র ১ শতাংশ মানুষ স্থপতিদের সহায়তা নেয়ার সামর্থ্য রাখে। আমি চাই আমাদের দেশে এই সংখ্যাটা অনেক বাড়ুক।
– আরেকটা বোধ আমার মধ্যে কাজ করে। আমার সৃষ্টি তো সেই পণ্য নয় যে তার জন্য ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। আমি আমার কাজকে কমোডিফাই করে ফেলতে ইচ্ছুক নই।
ঝিনাইদহের প্রকল্প নিয়ে কথা বলছিলাম। সেটা একটু বিস্তারে জানার ইচ্ছা।
– মূল ভাবনাটা আসলে খন্দকার হাসিবুল কবিরের। লো বাজেটের এই প্রকল্পকে বলা যেতে পারে এশিয়ার মডেল। অনেক দেশেই অনুসৃত হচ্ছে। এটা কিন্তু কোনো ক্ষুদ্রঋণ বা ওই জাতীয় প্রকল্প নয়; বরং এখানে আমি উইমেন এম্পাওয়ারমেন্ট দেখি। কারণ, এটা একটা সমিতির মাধ্যমে পরিচালিত কর্মকান্ড। যেখানে নারীরাই সিংহভাগ। তারাই ডিসিশন মেকার। সাপ্তাহিক সঞ্চয় তারা সংগ্রহ করেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেন ঋণ কাকে আগে দেওয়া হবে, কাকে পরে।
এর সঙ্গে আরও যোগ করেন যশোরের পানিগ্রামে একটি রিসোর্ট গড়ে তোলার কথা। শুরু করেছিলেন এক আমেরিকান ভদ্রমহিলা। তিনি শেষ করতে পারেননি। পরে বেঙ্গল এটা নিয়ে কাজ করছে। এখানেও রয়েছে স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টা। আর প্রকৃতিকে বন্ধু হিসেবে ব্যবহারের প্রয়াস।
আবারও ফিরে যাই অধ্যাপনা প্রসঙ্গে। বাইরে পড়াচ্ছেন। বাংলাদেশে পড়ান। কেমন লাগে?
– পড়াই তো নিজের জন্য। বলা যেতে পারে আত্মোন্নয়ন। না হলে যে একটা জায়গায় থেমে যেতে হবে। তা ছাড়া নতুন প্রজন্ম আমাকে প্রাণিত করে তাদের ভাবনা, বোধ আর জীবনীশক্তিতে।
ভালো লাগা স্থাপনার কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই উল্লেখ করেন হায়া সোফিয়ার কথা। করদোভার মসজিদ, স্পেনের ইসলামি আমলের স্থাপত্য।
মৌলিক কাজ করেন এমন স্থপতিরাই তাঁর প্রিয়। এই তালিকায় আছেন পিটার জুমথর, আলভারো সিজা, জুনিয়া ইশিগামিরা।
মৃত নগরীতে পরিণত হতে চলা ঢাকা নিয়ে তাঁর খেদ আছে। দায় তিনি এ জন্য অনেকের সঙ্গেই চাপান স্থপতিদের উপরেও।
– এই শহর আমার প্রিয়। এখানেই আমি জন্মেছি। বড় হয়েছি। তাই আমি মনে করি, আমাদের এই প্রিয় শহরকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব এখনো। তাই সম্পৃক্ত হয়েছি বেঙ্গল ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একাডেমিক ডিরেক্টর হিসেবে। নানা ক্ষেত্রের পেশাদারদের একটা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। যেখানে থাকবেন স্থপতি, পরিকল্পক, নগর-নকশাবিদ। তারা এই শহর নিয়ে আলাপ-আলোচনা করবেন, গবেষণা করবেন, পরিকল্পনা করবেন ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই। কারণ, এঁরাই পারেন শহরকে বাঁচাতে।
কী করতে চান তিনি ভবিষ্যতে? কোনো স্বপ্নসৃজন?
– আবারও সেই সিগনেচার হাসি। তাতে স্পষ্ট হয়, ভিজ্যুয়ালাইজ করছেন কিছু। তারই মাঝে বললেন, একটা বাগান করার শখ। সেটা ওই বেনটোটার (শ্রীলঙ্কা) বাওয়ার গার্ডেনের মতো। তবে ঢাকায় তো সম্ভব নয়, ঢাকার বাইরে। যদি হয় কোনো দিন।
আজীবনের প্রেরণা অনকোলজিস্ট বাবা প্রফেসর মো. আব্দুল হাই। গৃহিণী মা আর চার ভাইবোন। গান শোনেন। বই পড়েন। ছবি দেখেন। লোকশিল্পের প্রতি রয়েছে বিশেষ অনুরাগ। এসব নিয়ে কাজ করতে পছন্দও করেন। তাই হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। হুড়োহুড়ি পছন্দ নয়, তাই হয়তো বেশি কাজ করেন না। যেটাই করেন, সময় নিয়ে। নকশার আগে গবেষণায় সময় দেন সবচেয়ে বেশি। তারপর নকশা ও তার বাস্তবায়ন। শেষ পর্যন্ত লেগে থাকেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি যেন সত্যে উপনীত হতে চান। ঠিক লুই আই কান যেমন বলেছেন: আর্কিটেকচার ইজ দ্য রিচিং আউট ফর দ্য ট্রুথ।
সমে পৌঁছে প্রশ্নটা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলাম না। জিজ্ঞেস করেই বসলাম: কেমন লাগে জাহা হাদিদ? বিশ্বজোড়া নাম। ভুবনজোড়া খ্যাতি। স্টারকিটেক্ট।
-না, টানে না। তাঁরা করে দেখান দুই হাজার ডলারের বাড়ি।
কথায় কথায় তিনি বলছিলেন, আর্কিটেকচার বস্তুত রান্নার মতো। এবার মিলিয়ে নেয়া গেল। কারণ, এখানেও প্রয়োজন দক্ষতার। গুড় ঢাললে মিষ্টি হবে সেটা কে না জানে। জাহা হাদিদরা তো এটাই করে থাকেন। তবে কম গুড়ে সুস্বাদু পায়েস বানাতে পারাটাই তো কৃতিত্বের। এই অসাধ্য সাধন করে চলেছেন তিনি। কাজ করছেন প্রান্তিক মানুষের জন্য। স্থপতিসঙ্গ যাদের কাছে ভাবনাতীত। তাই তো মেরিনা তাবাস্সুম রোলমডেল। অন্য রকম আইকন আর্কিটেক্ট। শুভকামনা ও ধন্যবাদ।
ছবি: সৈয়দ অয়ন ও মেরিনা তাবাস্সুম আর্কিটেক্ট