skip to Main Content

অ্যাডভার্টোরিয়াল I আবাসনে আধুনিকতা

‘আসুন, জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে উপভোগ করুন’—শহরে ভালো আবাসন খুঁজতে থাকা বাসিন্দাদের এমন আমন্ত্রণ জানাচ্ছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের নতুন প্রজেক্ট ‘আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস’। প্রতিষ্ঠানটির উল্লেখযোগ্য প্রজেক্টগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। রাজধানীর বনানী আবাসিক এলাকার ২৩ নম্বর রোডের ৯৪ নম্বর প্লটে ১১ দশমিক ৭২ কাঠার বিশাল পরিসরে গড়ে উঠেছে এই প্রকল্প। থাকছে সব ধরনের আবাসিক সুবিধা। প্রথমত এটি দক্ষিণমুখী একটি আবাসন প্রকল্প হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে। স্নিগ্ধ বাতাসের নিয়মিত আনাগোনার জন্য মানুষের কাছে দক্ষিণমুখী আবাসন বরাবরই বেশ কাঙ্ক্ষিত। আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস সেই আকাক্সক্ষাকে বাস্তব রূপ দেবে পরিকল্পিত নকশায়। আবাসনটি বসবাসকারীদেরকে অকৃত্রিম প্রাকৃতিক আবহে বসবাসের ব্যবস্থা করে দেবে। একে সাজানো হয়েছে সেভাবেই।
যেকোনো আবাসনের মূল সমস্যা হলো রাস্তা। সাধারণত তা বেশ সংকীর্ণ হয়। কিন্তু আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস আবাসনের সামনে রয়েছে ৫০ ফুট প্রশস্ত রাস্তা। তা ছাড়া সেখান থেকে সব দিকে যোগাযোগ খুবই সহজ। কাকলী মোড় ও কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউর নিকটবর্তী হওয়ায় রাজধানীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই এই আবাসনে যাতায়াত করা যায় সহজে ও অল্প সময়ে। বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে আবাসনের অদূরেই। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া থেকে মাত্র হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস। বনানী জামে মসজিদ ও গুলশান সোসাইটি জামে মসজিদ রয়েছে কাছেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যাবে এই আবাসনের খুবই কাছে অবস্থিত বনানী কাঁচাবাজার থেকে। অবসর যাপন কিংবা ডেইলি জগিং করার জন্য পাশেই রয়েছে বনানী ক্লাব মাঠ এবং বনানী খেলার মাঠ।

ঢাকার মধ্যে এ রকম সুযোগ-সুবিধাসহ একটি জায়গা পাওয়া খুব একটা সহজ নয়। তা ছাড়া ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে গাড়ি চলা পথে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে মাত্র ১৫ মিনিট লাগবে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস-এ পৌঁছাতে।
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস-এ মিলবে তিনটি ভিন্ন মাপের অ্যাপার্টমেন্ট: ২৪১৮ স্কয়ার ফুট, ২৫০৭ স্কয়ার ফুট এবং ২৫৫০ স্কয়ার ফুট। ডুপ্লেক্স রয়েছে ৪৩০৪ স্কয়ার ফুটের। সঙ্গে ২৫৪ স্কয়ার ফুটের ট্যারেস। ৩২ বাই ৩২ ইঞ্চি মিরর পলিশ টাইলস বসানো হয়েছে শোবার ঘরের মেঝেতে। রয়েছে ৮ ফুট উচ্চতার বার্মাটিক ডোর। অন্দরের শোবার ঘর, রান্নাঘর ও টয়লেটের দরজাগুলো ৭ ফুট উঁচু। লেজার কাট টাইলস দিয়ে সজ্জিত হয়েছে ওয়াশরুম। কিচেনে আছে ঠান্ডা ও গরম পানির দুটি পৃথক সংযোগ। এ ছাড়া পুরো অ্যাপার্টমেন্টের টাইলস, বেসিন ও ইলেকট্রিক্যাল ব্যবস্থায় রয়েছে নান্দনিকতার ছোঁয়া।
পর্যাপ্ত আলো ও বাতাস চলাচল নিশ্চিত করেই আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস-এর নকশা পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্রামের জায়গা ছাড়াও রয়েছে ছাদবাগান ও বারবিকিউ জোন। স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য আছে জিমনেসিয়াম। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য রয়েছে ওয়াটার পিউরিফিকেশন সিস্টেম। ৫৫ শতাংশ খোলা স্থান ছাড়াও রাখা হয়েছে শিশুদের খেলার জায়গা। মিলবে ডাবল হাইট এন্ট্রি এবং রয়েছে সুইমিংপুলও। পাওয়া যাবে ফুল ব্যাকআপ জেনারেটর সেবা। পুরো আবাসনে অগ্নিনির্বাপণসহ সব নিরাপত্তাব্যবস্থা শতভাগ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই মানুষকে আবাসনসেবা দিয়ে আসছে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। বেশ আগে আনোয়ার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবসা শুরু করেন।

ষাটের দশকে তিনি যুক্ত হন আবাসন ব্যবসায়। তখন থেকেই কিনতেন অসংখ্য বাসাবাড়ি ও জমি। তারপর সেগুলো সংস্কার করে বিক্রি করতেন। পরবর্তীকালে টেক্সটাইলের পাশাপাশি নির্মাণকাজের ব্যবসায় যুক্ত হন। তিনি ঠিকাদার হিসেবে কাজ নিয়ে সাবকন্ট্রাক্টিংয়ের মাধ্যমে কাজ করাতেন। বেশ কিছু নির্মাণকাজ নিজেও করেছেন। আশির দশকে রড উৎপাদন শুরু করেন আলহাজ আনোয়ার হোসেন। ১৯৯৭-৯৮ সালে আসেন সিমেন্ট ব্যবসায়। আনোয়ার গ্রুপের সব কটি কারখানার নির্মাণকাজ নিজেদেরই করা। সেই ধারাবাহিকতায় আবাসন ব্যবসায় যুক্ত হয় আনোয়ার গ্রুপ। গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ আনোয়ার হোসেন সব সময়ই দেশের জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে বলতেন। তিনি তাদের ব্যবসায়িক পণ্যের মাধ্যমে এ দেশের প্রতিটি ঘরে পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতেন। আনোয়ার গ্রুপের জনপ্রিয় মালা শাড়ী, মানোয়ার কাটলারের মতোই আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের জার্নিটাও একই রকম। পুরান ঢাকার নবাবপুরে আনোয়ার টাওয়ার নামের প্রকল্প নির্মাণ দিয়ে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের যাত্রা শুরু হয়েছিল। ইতিমধ্যে আবাসন ব্যবসায় সফলতার সঙ্গে দুই দশক পার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক রক্ষণশীল ও রুচিশীল একটি কোম্পানি। খুব বেশি প্রকল্প নিয়ে কাজ না করে প্রতিষ্ঠানটি অল্পসংখ্যক দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পে মানসম্পন্ন কাজ করে থাকে। শতভাগ নান্দনিকতা বজায় রাখাই তাদের লক্ষ্য। প্রতিষ্ঠানটি রাজউকের বিল্ডিং কোড মেনে সবুজায়নকে বেশি প্রাধান্য নিয়ে ভবন নির্মাণ করে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই জমি নির্বাচন করে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। এরপর প্রাকৃতিক আবহ বজায় রেখে জুতসই নকশায় আবাসন নির্মাণ করে কোম্পানিটি। এ ছাড়া প্রতিটি প্রকল্পে ফায়ার সেফটি নিশ্চিতের ওপর বেশি জোর দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড গ্রেডের সিমেন্ট ও রড ব্যবহার করে ভবনগুলো নির্মাণ করে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক।
গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। একটি বিষয় আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, তা হলো প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকদের কাছে সব সময় গ্রাহক ও সরবরাহকারীরা সহজে পৌঁছাতে এবং কথা বলতে পারেন। এ ছাড়া প্রকল্পের গুণগত মান ও সময়মতো হস্তান্তরে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের সুনাম দীর্ঘদিনের।
বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রজেক্ট নিয়ে আসে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক। ক্রেতাদের চাহিদামাফিক আবাসনগুলো তৈরি হয়ে থাকে। হ্যান্ডওভার করার সময় ক্রেতাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির শতভাগ পূরণ করে প্রতিষ্ঠানটি।
ইতোমধ্যে আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক বেগ পার্ক ভিউ অ্যান্ড আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক জেকেএইচসি অ্যাট নর্থ গুলশান, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক শাহজাহান অ্যাট ধানমন্ডি, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক ফরিদা রিট্রিট অ্যাট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, ল্যান্ডমার্ক লুমিনাস অ্যাট উত্তরা এবং আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক অ্যাঞ্জেলিক অ্যাট শ্যামলী প্রজেক্টের কাজগুলো শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তা ছাড়া আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইসপারিং গ্রিন অ্যাট নর্থ গুলশান, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হুইস্লিং উডস অ্যাট বনানী, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক লেক সেরিন অ্যান্ড সিনথিয়া অ্যাট ধানমন্ডি, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক নীল আকাশ অ্যান্ড আকাশলীনা অ্যাট উত্তরা, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক স্কাই গার্ডেন অ্যান্ড গ্লোরিওসা অ্যাট বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা এবং আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক হোসেন হাউজিং—১০ বিঘা জমির ওপর এক্সক্লুসিভ কনডোমিনিয়াম অ্যাট শ্যামলী—এই প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে।

 লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top