বিশেষ ফিচার I বিয়ে নিয়ে কৌতুক -আনিসুল হক
‘বাবা, গাধারা কি বিয়ে করে?’
‘হ্যাঁ বাবা, গাধারাই বিয়ে করে!’
আরেকটা কৌতুক।
‘মা, পাশের বাড়ির আন্টি কাঁদছেন কেন?’
‘ওর বিয়ে গেছে, শ্বশুরবাড়ি চলে যাচ্ছে, সেই দুঃখে ও কাঁদছে।’
‘মা, তোমারও কি বিয়ে হয়েছিল?’
‘হ্যাঁ।’
‘কার সাথে?’
‘তোমার বাবার সাথে।’
‘যাক, নিজেদের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। না হলে তোমাকেও কাঁদতে হতো।’
একজন নিঃসঙ্গ প্রবীণা ঠিক করলেন যে তাঁর এই একাকী জীবনের একঘেয়েমি দূর করার জন্য তিনি একটা তোতাপাখি কিনবেন। তিনি গেলেন নীলক্ষেতে পশুপাখির দোকানে।
খাঁচার ভেতরে নানা রঙের পশুপাখি। সাদা খরগোশ, সবুজ টিয়া। এমন সময় তিনি শুনতে পেলেন, কে যেন বলে উঠল, ‘বাহ্, কী সুন্দর একজন ভদ্রমহিলা এসেছেন! কী অভিজাত তাঁর চেহারা!’
‘কে কথা কয়?’
‘ভদ্রমহিলা শুধু দেখতে সুন্দর তা নয়, খুবই স্মার্ট।’
তিনি চমকে উঠলেন। তাকিয়ে দেখলেন, একটা খাঁচায় একটা তোতাপাখি।
তিনি বললেন, ‘তুমিই কি কথা বললে?’
‘জি, ম্যাডাম। আপনার মতো স্মার্ট মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি। আপনি এসেছেন, আর এই দোকানটা স্নিগ্ধতায় ভরে উঠল।’
‘তোমার মতো তোতাপাখিও আমি দেখিনি। কী সুন্দর করে কথা বলো! আচ্ছা, তুমি কি আমার সাথে যাবে? আমি তোমাকে পুষব।’
‘তাহলে তো আমার জীবন ধন্য হবে, ম্যাডাম। আমি যদি আপনার কাছাকাছি থাকতে পারি!’
ভীষণ খুশি হয়ে ভদ্রমহিলা পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে তোতাপাখিটা কিনে নিয়ে বাসায় এলেন।
বাসায় আসার পর তোতাপাখি বলল, ‘বুড়ি, খিদা লাগছে, খাইতে দে।’
ভদ্রমহিলা চমকে উঠলেন। এ কেমন ধারা কথা বলার ছিরি!
‘এই, তুমি এইভাবে কথা বলছ কেন? সুন্দর করে কথা বলো।’
‘খাইতে দিস না। আবার আমারে কথা কওন শিখাস। বুড়িগুলান সব সময় হাড় জ্বালাইন্যাই হয়।’ তোতাপাখিটা বলল।
‘শোনো, আরেকটা কথা বললে কিন্তু আমি ভীষণ রেগে যাব।’
‘রাইগা যাবি তো যা। রাইগা গিয়া কী করবি?’
‘তোমাকে শাস্তি দেব।’
‘আয় দেখি আভাইগা বুড়ি। কাছে আয়। দেখি কে কারে শাস্তি দেয়।’
ভদ্রমহিলা যেই না পাখিটার কাছে গেলেন, অমনি পাখিটা তাঁকে ঠুকরে দিল।
‘যন্ত্রণা তো! এই, তোমাকে কিন্তু আমি ভীষণ সাজা দেব।’ ভদ্রমহিলা চোখমুখ শক্ত করে বললেন।
‘আমি জানি বুড়িরা কী শাস্তি দেয়। আমারে ছাইড়া দিবি। আমি উইড়া আবার দোকানে যামু। দোকানে আরও কত পশুপাখি আছে! তাগো লগে থাকুম। দোকানি আমারে কত আদর করবে!’
ভদ্রমহিলা আবার রেগে পাখিটার কাছে গেলেন। অমনি পাখিটা তাঁকে আবারও ঠুকরে দিল। মহিলার হাতের আঙুল কেটে গিয়ে রক্ত পড়তে লাগল। এবার তিনি পাখিটাকে খাঁচাসমেত তাঁর বিশাল ফ্রিজটার মধ্যে ঢুকিয়ে দিলেন।
পাঁচ মিনিট পর পাখিটাকে বের করলেন। পাখিটা বলল, ‘আমি আর কোনো দিনও আপনার সঙ্গে বেয়াদবি করব না। আচ্ছা, বলুন তো ম্যাডাম, ওই মোরগটা কী বেয়াদবি করেছিল? আপনাকে কি ঠুকরে দিয়েছিল? তা না হলে আপনি তার চামড়া ছিলেছেন কেন?’
এরপর আর কোনো দিন পাখিটা বেয়াদবি করেনি।
এবার আরেকটা গল্প।
নতুন বউ বিয়ে করে ফিরছে বর। একটা ঘোড়ার পিঠে চড়ে তারা দুজন কনের বাড়ি থেকে ফিরছে বরের বাড়ি। ঘোড়াটা খুবই দুর্বল। দুজনকে নিয়ে চলতে তার অসুবিধা হচ্ছে। এদিকে বরের কোমরে একটা পিস্তল।
ঘোড়াটা একবার হোঁচট খেল।
বর বলল, ‘এই একবারই আমি ক্ষমা করি। আরেকবার হোঁচট খেলে কিন্তু ক্ষমা করব না।’
আবার মাঝপথে ঘোড়ার পিঠে চলছে সদ্য বিবাহিত নববধূ। ঘোড়াটার পা একটা পাথরের সঙ্গে বাঁধল। সে হোঁচট খেল।
সঙ্গে সঙ্গে বউকে নিয়ে ঘোড়ার পিঠ থেকে নেমে বরটা তার কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুলি চালাল। ঘোড়াটা মারা গেল মরুভূমির বুকে কাতরাতে কাতরাতে।
বউ বলল, ‘ঘোড়াটাকে তুমি গুলি না করলেও পারতে।’
বর বলল, ‘আমি আমার কাজের সমালোচনা একবার সহ্য করব। দ্বিতীয়বার আর সহ্য করব না। এক…।’
এরপর এই মহিলা আর কোনো দিন তার স্বামীর কোনো কথা বা কাজের প্রতিবাদ করেনি।
এটা বিখ্যাত লেখা থেকে নেওয়া।
আমাকে দয়া করে চামড়া-ছাড়া করবেন না।