এই শহর এই সময় I জন জাগরণে
বাংলার প্রকৃতিতে শরৎ ও হেমন্তের ভাগাভাগি। বাতাসে শীতের ঘ্রাণ। কালেভদ্রে এক পশলা বৃষ্টিও। সব মিলিয়ে অক্টোবরজুড়ে ঋতুবৈচিত্র্যের পরশ পেয়েছেন রাজধানীবাসী। তাদের মনোজগৎ আরও রাঙিয়ে তুলতে সাংস্কৃতিক অঙ্গন ছিল বরাবরের মতোই সরব।
২২ অক্টোবর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুরু হয় ছয় দিনের ‘গণজাগরণের নৃত্য উৎসব’। নাচের মুদ্রায় জাগরণের বার্তা ছড়িয়ে। চলে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত। অংশ নেয় নৃত্যাঞ্চল, নন্দন কলা কেন্দ্র, তপস্যা, ঘুঙ্গুর নৃত্যালাপ, নৃত্যসুর, নাচঘর, নৃত্যছন্দ, ধ্রুপদী নৃত্যালয়, নৃত্যাক্ষ, আরাধনা, নৃত্যাঙ্গন, জ্যোতিনন্দন, সাত্ত্বিক গুরুকূল নৃত্যভূমি, নৃত্যম, নৃত্যগ্রাম, নৃত্যাশ্রম, নৃত্যায়ন, আর্টিস্ট্রি, নৃত্যশৈলী, পরম্পরা নৃত্যালয়, ভাবনা, দীক্ষা, ত্রিশূল, আভিনায়া, ধৃতি নর্তনালয়সহ ৭৫টি নৃত্যদল।
ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে প্রদর্শিত হয়ে গেল চিত্রশিল্পী রেজাউল হকের একক চিত্রপ্রদর্শনী ‘লিভিং অন দ্য এজ’। ২০ থেকে ৩১ অক্টোবর। তাতে শিল্পীর উদ্ভাবিত নতুন ধারার শিল্পকর্মের দেখা পেয়েছেন দর্শক। হিট কনভেকশন থিওরি বা তাপে কাগজ পুড়িয়ে করা ৪০টি কাজের পাশাপাশি চারকোল, মিশ্রমাধ্যম ও ড্রইং ঠাঁই পেয়েছিল এক্সিবিশনে। প্রতিটি চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য—মানুষ। তাতে ক্যানভাসে ধরা দিয়েছে জীবনের নানা আখ্যান। যাপিত জীবনের ধারাভাষ্যময় সেসব চিত্রকলায় আবেগ ও অনুভূতি পেয়েছে বিশেষ প্রকাশ। রংতুলির আঁচড়ে চিত্রশিল্পী আবেগের সেই বয়ানে ভিন্নভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সংগ্রামী জীবন। ছিল ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে অধিকার আদায়ের দৃশ্যমালাও। বলা বাহুল্য, সুখময় দৃশ্যকল্পের বাইরে যন্ত্রণা বা কষ্টের অভিব্যক্তির আশ্রয়ে প্রান্তিক মানুষের যাপনচিত্র ছবিতে উদ্ভাসিত করেছেন এই শিল্পী।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ উন্মাদনার সময়ে রক মিউজিকপ্রেমীদের অন্য রকম জোয়ারে ভাসিয়ে ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হলো ‘চলো বাংলাদেশ কনসার্ট’। গ্রামীণফোনের আয়োজনে। আর্মি স্টেডিয়ামে। তাতে ছিল প্রিতম ও হাবিব ওয়াহিদ থেকে শুরু করে আর্টসেল, ক্রিপটিক ফেইট, নেমেসিস, ওয়ারফেজসহ ১০টিরও বেশি ব্যান্ডের পারফর্ম। এ সময় মার্স রোভার দল, ফ্রিল্যান্সার ও গেমিং কমিউনিটির প্রতি জানানো হয় বিশেষ শ্রদ্ধা। বাংলা পপ ও হিপহপের রোমাঞ্চকে নতুন মাত্রা দিতে কনসার্টে এক সঙ্গে পারফর্ম করেন রাফা, হাসান, হাবিব ওয়াহিদ ও ব্ল্যাক জ্যাং।
লাইফস্টাইল ডেস্ক
ছবি: সংগ্রহ