বনানীতে ১৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলার মিষ্টির দ্বিতীয় শাখা উদ্বোধন হয়েছে। এতে প্রদর্শিত হয় ৩৬টি ভিন্ন ধরনের মিষ্টি। মূলত বিভিন্ন জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির সম্ভার হলো বাংলার মিষ্টি। উল্লেখযোগ্য মিষ্টিগুলো হলো: যশোরের রসগোল্লা ও চমচম, খুলনার মিহিদানা লাড্ডু, রাজবাড়ীর চমচম, ফরিদপুরের মালাই সর, বরিশালের গটিয়া সন্দেশ ও আদি রসগোল্লা, দিনাজপুরের গুড় ক্ষীরমোহন, রংপুরের হাবসি হালুয়া, রাজশাহীর রসকদম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালো তিল কদম, পাবনার ইলিশ পেটি, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি ইত্যাদি। কালো তিল কদম মিলবে কেজিতে ৬৫০ টাকা, ইলিশ পেটি ৭৫০ টাকা, খাজা সন্দেশ ৭৫০ টাকা, ছানা জিলাপি ৬৫০ টাকা ও ক্ষীরমোহন ৭৫০ টাকা। এসব মিষ্টির মধ্যে কিছু তৈরি হয় বাংলার মিষ্টির ফ্যাক্টরিতে। যেমন- কালো জাম, তিল কদম, হাবসি হালুয়া, ছানা জিলাপি ইত্যাদি।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিনাত চৌধুরী বলেন, ঐতিহ্য ধরে রাখার বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। মূলত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী প্রসিদ্ধ মিষ্টির সঙ্গে পরিচয় ঘটানোই বাংলার মিষ্টির মূল লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে গুলশান ১-এ প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। এরপর অল্প সময়ের মধ্যে ভোজনরসিকদের কাছে জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মোট ৫৭টি জেলা থেকে মিষ্টি নিয়ে আসে; যেখানে মিষ্টির ধরন শতাধিক।