ইভেন্ট I বাংলার রসনাবিলাস
ঐতিহ্যবাহী ও সুস্বাদু বাংলা খাবারগুলোর নাম শুনলে জিবে জল আসে ভোজনরসিকদের। কত পদের খাবার, কত যে বাহারি নাম! এমনই কিছু খাবারের সমাহার ঘটেছিল হোটেল হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারে।
বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারের সুনাম অবশ্য অল্পদিনের নয়। সকালের নাশতা হোক কিংবা দুপুরের আহার, বিকেলের নাশতা কিংবা নৈশভোজ—এসব মুখরোচক খাবারের জুড়ি মেলা ভার। হলিডে ইন ঢাকা তাদের পথচলায় সব সময় দেশীয় ঐতিহ্য ধারণ করে। দেশীয় খাবারকে প্রাধান্য দেওয়ার অংশ হিসেবে এখানে আয়োজিত হয়েছিল বাংলার রসনাবিলাস ফুড ফেস্টিভ্যাল। তাতে ছিল দেশীয় মসলা ও উপাদান ব্যবহারের আধিক্য। এই হোটেলে অনেক বিদেশি অতিথি অবস্থান করেন। তাদের মধ্যেও দেখা গেছে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবারের প্রতি আগ্রহ। এর ফলে তাদের কাছে বাঙালির আতিথেয়তার প্রচার ঘটেছে দারুণভাবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর এই বুফে আয়োজন চলেছে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত। অতিথিরা উপভোগ করেছেন সর্ষে ইলিশ, চিংড়ি মালাইকারি, কাচ্চি বিরিয়ানি, মোরগ পোলাও, লুচি, নিরামিষ খিচুড়ি, ডাল, ভর্তা, বেগুন ভাজা, করলা, ঢ্যাঁড়স, কাঁকরোল, চিকেন চাপ, চিকেন সসেজ, কাঠি রোল, চিকেন ভেজিটেবল পাকোড়া, বেগুনি, আলু টিক্কি, হাঁস ভুনা, ব্রেডেড চিকেন পারমেসান, পাবদা ঝোল কারি, ইলিশ পাতুরি, ভেজিটেবল ফ্রাইড রাইস, লইট্টা ভুনা, হারিয়েলি চিকেন টিক্কা, সলটেড পেপার সি ফুড, মাছের টিক্কা, চিংড়ি-নারকেলের কাড়ি, মি গোরেং, তেলে ভাজা বোয়াল মাছ, মাছের বিভিন্ন পদ, নানাবিধ ফলসহ আরও অনেক খাবার। মিষ্টান্নের মধ্যে ছিল রসগোল্লা, দই, লাড্ডু, ভাজা পুলি চমচম, সেমাই, রসবড়া, চকলেট কেক, ভ্যানিলা কেক, চমচম, আইসক্রিম, জিলাপি, রোজ পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, শাহি টুকরা গোলাপ জামুন, সন্দেশ, ফিরনি, পায়েস ইত্যাদি। তালিকা দেখেই বোঝা সম্ভব, অধিকাংশ দেশীয় খাবারের সঙ্গে বিদেশি খাবারও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল ভোজনরসিকদের জন্য।
বিশেষ বাই ওয়ান গেট থ্রি অফারও ছিল বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ড মেম্বারদের জন্য। নভো এয়ারের সৌজন্যে ছিল ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট-ঢাকা কাপল এয়ার টিকিট। আয়োজনটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ক্যানভাস ম্যাগাজিন।
ফুড ডেস্ক
ছবি: হোটেল হলিডে ইন ঢাকা সিটি সেন্টারের সৌজন্যে