পেট খালি তথা ক্ষুধার্ত অবস্থায় কিছু কাজ মোটেও করা ঠিক নয়। ক্ষুধার প্রভাব দেহের ওপর পড়া ছাড়াও মনের ওপরও পড়ে। আর তাই মেজাজ খিটখিটে থাকে।
খিটখিটে মেজাজে কারও সঙ্গে তর্কে জড়ানো বোকামি হবে। সে সময় বেফাঁস কিছু বলে ফেলতে পারেন। তখন সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হতে পারে। ঠিক তেমনি খালি পেটে আরও বেশ কিছু জিনিস করা অনুচিত। আসুন জেনে নিই সেসব বর্জনীয় বিষয়।
ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না: খালি পেটে ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া অনুচিত। শুধু ব্যথানাশক কেন, যেকোনো ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
খালি পেটে ঘুমানো ঠিক নয়: একেবারে খালি পেটে ঘুমানো ঠিক না। তাতে করে ভালো ঘুম না হওয়ারও সম্ভাবনা। কিছু না হোক ঘুমানোর আগে অন্তত এক গ্লাস দুধ অথবা একটি আপেল খেয়ে ঘুমানো উচিত।
খালি পেটে কফি ঠিক নয়: খালি পেটে কফি পান করলে অ্যাসিড তৈরি হয়ে বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। ভরা পেটে বা হালকা কোনো স্ন্যাকস খেয়ে কফি পান করা যেতে পারে।
অ্যালকোহল গ্রহণ করবেন না: খালি পেটে মদ্যপান করলে কিডনি, লিভার আর হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি ভুগতে পারেন প্রচণ্ড অ্যাসিডিটিতেও।
সিদ্ধান্ত নেবেন না: খালি পেটে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তার প্রভাব কাজের ওপর পড়তে পারে। খালি পেটে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর জন্য পরবর্তী সময়ে পস্তাতে হতে পারে। পেটে কিছু থাকাবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো।
ব্যায়াম থেকে বিরত থাকুন: খালি পেটে ব্যায়াম করবেন না। ধারণা করা হয়, খালি পেটে ব্যায়াম করলে বেশি ক্যালরি খরচ হয়, এটা সত্যি নয়। বরং এতে শরীরের শক্তি কমে যায়।
চুইংগাম খাবেন না: খালি পেটে চুইংগাম খাওয়া অনুচিত। খালি পেটে চুইংগাম চিবুলে পেটে ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো সময়েই ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বেশি চুইংগাম না চিবোনোই ভালো।