দাম দিয়ে সুগন্ধি কিনেছেন। কিন্তু ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা পরই ঘ্রাণ মিলিয়ে যায়? এর কারণ হতে পারে সঠিকভাবে সুগন্ধি ব্যবহার না করা। সুগন্ধির সঠিক ব্যবহারের কয়েকটি পদ্ধতি হলো:
গোসলের পর স্প্রে করুন: গোসলের পরপর ত্বকের লোমকূপ উন্মুক্ত থাকে। তখন শরীরে সুগন্ধি স্প্রে করলে দীর্ঘক্ষণ সুবাস ছড়ায়। গোসলের পর ঘ্রাণহীন ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করে, তার উপরে সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
পালস পয়েন্ট: শরীরের যেখানে যেখানে নাড়ির স্পন্দন পরীক্ষা করা যায়, সেসব জায়গা উষ্ণ থাকে বিধায় সেই জায়গাগুলো সুগন্ধ ছড়াতে সহায়তা করে। শরীরের ওসব জায়গা আবৃত থাকায় একবারে সুগন্ধ না ছড়িয়ে ধীরে ছড়ায়। তাই সেসব জায়গায়, অর্থাৎ কবজির ভেতরের অংশে, কানের পেছনের অংশে, বুকের মাঝ বরাবর, মধ্যচ্ছদা, হাঁটুর পেছনের অংশে, কনুইয়ে ভাঁজে, গোড়ালিতে সুগন্ধি ব্যবহার করুন। এতে ঘ্রাণ দীর্ঘক্ষণ বজায় থাকবে।
ঘষবেন না: সুগন্ধি ব্যবহারের পরে তা দুহাতের কবজি দিয়ে ঘষা অনুচিত। ঘষা দিলে সুগন্ধির অণুর গঠন ভেঙে যায়, ফলে সঠিক ঘ্রাণ পাওয়া যায় না।
চুলে স্প্রে করুন: সুগন্ধি দীর্ঘস্থায়ী করতে চাইলে চুলে সামান্য স্প্রে করতে পারেন। চুলে সুগন্ধি ধরে রাখার ক্ষমতা থাকে।
সুগন্ধি ঝাঁকাবেন না: সুগন্ধি ঝাঁকিয়ে ব্যবহার করবেন না। ঝাঁকালে সুগন্ধি দ্রুত বাতাসে মিলিয়ে যায় এবং ঘ্রাণ দুর্বল করে দেয়।