বাংলাদেশের সুইডেন দূতাবাস, ইউএনডিপি, ইউএনএফপিএ এবং ইউএন উইমেনের সহযোগিতায় সোমবার (২০ জানুয়ারি ২০২৫) চট্টগ্রামের ডিসি হিল এলাকায় ‘বাংলাদেশি ও সুইডিশ বাবা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীর শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীটি পিতৃত্বের যথাযথা ভূমিকা এবং পরিবার ও সমাজের ওপর এর গুরুত্বকে তুলে ধরছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
পিতৃত্ব সর্বত্রই পরিবর্তিত হচ্ছে, প্রথাগত রোলের বাইরে এসে এখন দায়িত্ব ও সমতার ভাগাভাগির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিখ্যাত সুইডিশ ফটোগ্রাফার ইউহান ব্যাভম্যানের ‘Swedish Dads’ সিরিজের অনুপ্রেরণায় এই প্রদর্শনী বাংলাদেশে পিতৃত্বের বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরেছে, যাতে বাংলাদেশি বাবারা ভালোবাসা, যত্ন এবং সমাজে সমতার গুরুত্ব নিয়ে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে, সুইডিশ বাবারা সক্রিয় ভূমিকায় পিতামাতার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন, যা আমাদের সমাজে পরিবর্তনের অনুপ্রেরণা জোগায়।
চট্টগ্রামের আগে ঢাকা ও খুলনায় এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় চট্টগামের প্রদর্শনীটি চলবে ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত। অনলাইনে এক মাসব্যাপী প্রতিযোগিতায় ১০০টি আবেদন থেকে নির্বাচিত ২৩ জন বাবার আলোকচিত্র এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছেন। বিচারক প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এইচ.ই. নিকোলাস উইকস, ইউএনডিপি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ, মিঃ স্টেফান লিলার, ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধি মাসাকি ওয়াতাবে, ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি মিস গীতাঞ্জলি সিং, প্রথম আলোর সিনিয়র ফটোগ্রাফার সাবিনা ইয়াসমিন এবং সাইফুল হক।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী উনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, এইচ.এ. নিকোলাস উইকস, ইউ এনডিপির স্আবাসিক প্রিতিনিধি স্টেফান লিল্লের।
ইউএন উইমেনের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘টাইম ইউজ সার্ভে ২০২১’ রিপোর্ট অনুযায়ী, অবৈতনিক গৃহস্থালি এবং ঘরের কাজে, বাংলাদেশি নারীরা পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৭.৬ গুণ বেশি সময় ব্যয় করেন, যা কর্মক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণকে সীমিত করে এবং অর্থনৈতিক সুযোগ কমায়। ঘরের কাজ বা সন্তান পালনে বাবারা দায়িত্ব নিলে, নারীদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ বৃদ্ধি পায়, পারিবারিক জীবন সমৃদ্ধ হয় এবং অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। সামাজিক বৈষম্য মোকাবেলায় তা একটি রূপান্তরমূলক ভূমিকা পালন করতে পারে। এই বিষয়গুলি প্রতিফলনের জন্যেই এই প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীটি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শন করার মাধ্যমে, পিতৃত্ব, পজিটভ ম্যাস্কুলিনিটি, সমতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে ভবিষ্যত গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।
- ক্যানভাস অনলাইন
ছবি: সংশ্লিষ্টদের সৌজন্যে