ফিচার I বলবর্ণনা
প্রথম বিশ্বকাপ হয় ১৯৩০ সালে, উরুগুয়েতে। সেবার বল নিয়ে ঘটে অদ্ভুত ঘটনা। উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় লাতিন আমেরিকার দুই দেশ আর্জেন্টিনা ও স্বাগতিক উরুগুয়ে। দুই দেশই দাবি জানায় তাদের নিয়ে আসা বল দিয়ে ম্যাচ খেলার। এ নিয়ে শুরু হয় বিপত্তি। শেষ পর্যন্ত ফিফা দুই অর্ধে দুই দলের বল দিয়ে ম্যাচ পরিচালনা করে। এরপর থেকেই প্রতি ম্যাচেই ফিফার সরবরাহ করা বলে খেলতে হয়। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ফিফার দেওয়া বল দিয়ে চলত বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। পরে ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে জার্মান ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস প্রথম ৩২ প্যানেলের বিখ্যাত সাদাকালো বলের প্রচলন করে। সেই থেকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ পর্যন্ত অফিশিয়াল বল পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে এটি এতই জনপ্রিয় যে ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে অফিশিয়াল বল ব্রাজুকার জন্য আলাদা টুইটার পেজ খোলে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন। শুধু তা-ই নয়, ২০১৩ সালের ৩ ডিসেম্বর অফিশিয়াল বল উন্মোচনের দিনে ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া প্রত্যেক শিশুকে একটি করে বল উপহার দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ফিফা বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বলের গল্পটা অনেক বড়।
প্রথমেই বলা যাক আসন্ন বিশ্বকাপের বলের কথা। রাশিয়া বিশ্বকাপে অফিশিয়াল বলের নাম রাখা হয়েছে টেলস্টার। তবে এ নাম নতুন নয়। এর আগেও কয়েকটি বিশ্বকাপে এ নামের বল ব্যবহার করা হয়েছে। এবারের টেলস্টার বলটি ফুটবল ভক্তদের কাছে অনেকটাই পরিচিত। ১৯৭০ সালের সেই সাদাকালো টেলস্টার বলের মতোই এবার বানানো হয়েছে এবারের টেলস্টার। পার্থক্য শুধু ৩২ প্যানেলের জায়গায় এবার থাকবে ৬টি প্যানেল। আর তৈরিতে প্রয়োগ করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। ১৯৯৪ সালের যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের পর এবার মাঠে দেখা যাবে সাদাকালো বল।
২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে অফিশিয়াল বলের নাম ছিল ব্রাজুকা। আর এটিই ছিল প্রথম বল, যা কিনা মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোড়ন তোলে তার কৃত্রিম কণ্ঠ দিয়ে। ৬ প্যানেলের এ বল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে রঙিন বল হিসেবেও পরিচিত।
ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বিতর্কিত বল বলা হয় ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জাবুলানিকে। গোলকিপারদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো বলটি সবচেয়ে ঘৃণিত হিসেবেও পরিচিতি পায়। ওই বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ী স্পেনে গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস, জাবুলানিকে বিচ বল হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তিনি শুধু একাই নন, ফ্রান্সের হুগো লরিস, ইতালির জিয়ানলুইজি বুফন এবং ইংল্যান্ডের ডেভিড জেমস বলটিকে ঝড়, লজ্জাজনক ও ভয়ংকর বলেছিলেন। তবে, স্ট্রাইকারদের কাছে বলটি বেশ জনপ্রিয় ছিল। ৮ প্যানেলের বলটি স্বাভাবিকের তুলনায় একটু বেশিই উড়ত। দক্ষিণ আফ্রিকার জুলু ভাষায় জাবুলানি শব্দের অর্থ ছিল উদ্যাপন। বিশ্বকাপে অ্যাডিডাসের একাদশ অফিশিয়াল বল হওয়ায় এবং মাঠের প্রতি দলের ১১ জন খেলোয়াড়ের জন্য জাবুলানিতে রং ছিল ১১টি।
২০০৬ সালের জার্মানি বিশ্বকাপের বলের নাম ছিল টিম জিস্ট। জার্মানদের দলীয় ঐক্য এবং টিম স্পিরিটের কারণে এ বলের এমন নাম দেওয়া হয়। সেবারই প্রথম বলের সেলাই না দিয়ে ১৪ প্যানেল থার্মাল প্রযুক্তিতে জুড়ে দেওয়া হয়। আর প্রতিটি বলে দুই প্রতিপক্ষের নাম, ভেন্যুর নাম এবং তারিখও বসানো হয় প্রথমবারের মতো।
২০০২ সালে প্রথম এশিয়ার দুই দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় বসে বিশ্বকাপের আসর। তবে এ বিশ্বকাপের অফিশিয়াল বল ছিল অভিন্ন, ফিভারনোভা। বরাবরের মতো এবারও পৃষ্ঠপোষক ছিল অ্যাডিডাস। ১৯৭৮ সালের পর থেকে ব্যবহৃত হওয়া ট্যাঙ্গো বলের পরিসমাপ্তি হয় এ বিশ্বকাপে; সূচনা হয় নতুন যুগের। এ বলের বৈশিষ্ট্য ছিল ওপরের অংশের নিচে সিনথেটিকের আলাদা লেয়ার। যা কিনা কিকের সঙ্গে বলটিকে সঠিক জায়গায় নিয়ে যায়।
ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৯৮ সালের অফিশিয়াল বল ছিল ট্রাই কালার। এ বলটিই ট্যাঙ্গো যুগের শেষ বল। তাই ছিল কিছুটা আলাদা। ট্যাঙ্গোর ত্রিভুজাকৃতির অংশগুলো ফরাসি পতাকার রংগুলো বহন করে। এটি ছিল বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যবহৃত প্রথম মাল্টিকালারড বল।
১৯৯৪। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপ। বলের নাম ছিল কোয়েস্ট্রা। এ বলটির মূল উপজীব্য ছিল কোয়েস্ট ফর স্টারস অর্থাৎ তারকার খোঁজে। আর ছিল মহাকাশযান অ্যাপোলো ১১-এর চাঁদে পদার্পণের ২৫ বছর পূর্তির উপলক্ষ।
১৯৯০ সালের ইতালি বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বল এটরুসকো ইউনিকো। এ নামকরণের মাহাত্ম্য হলো দেশটির নগরায়ণ এবং শিল্পে এটরুসকান্স-এর অবদানকে উদ্যাপন করা। এটি ছিল বিশ্বকাপের প্রথম বল, যার ভেতরে ফোমের নমনীয় স্তর ছিল।
১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছিল অ্যাজটেকা নামের বল। অ্যাজটেকা ছিল বিশ্বকাপের প্রথম সিনথেটিক বল, যা ছিল সত্যিকারের গোলাকার। সেই সঙ্গে ভালো পারফরম্যান্স এবং পানি নিরোধকও ছিল বলটি।
১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপের বলটির নাম রাখা হয় এসপানা। নাম পরিবর্তন হলেও এর আগের ১৯৭৮ সালের বলই ছিল স্পেনে। ১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপের বল ট্যাঙ্গো এতটাই সফল আর জনপ্রিয় ছিল যে ’৮২-এর বিশ্বকাপে ফিফা শুধু নামটিই পরিবর্তন করে। ট্যাঙ্গো হচ্ছে বিশ্বকাপের প্রথম বল যেখানে সিনথেটিক এবং চামড়ার উপকরণ ব্যবহার করা হয়নি। এখানে নতুনভাবে ব্যবহার করা হয় নমনীয় ও দীর্ঘস্থায়ী কোটিংয়ের স্তর। এই বল ব্যবহারের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৫২ বছর ব্যবহৃত চামড়ার বলের পরিসমাপ্তি ঘটে। ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপের বল ট্যাঙ্গোকে বলা হয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় বল। টেলস্টারের মতো এ বলেও ৩২টি প্যানেল রাখা হয়। তবে, পার্থক্য ছিল শুধু কালো রঙের।
১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ এ টুর্নামেন্টের ইতিহাসে নতুন মাত্রা আনে। এ বিশ্বকাপ থেকেই ফিফার অফিশিয়াল বলে পৃষ্ঠপোষকতা শুরু হয়। আর বিশ্বকাপের প্রথম স্পন্সরশিপ বলের নাম রাখা হয় অ্যাডিডাস টেলস্টার। এ বিশ্বকাপে অ্যাডিডাসের সঙ্গে ফিফার চুক্তি হয় এবং বলের উপরিভাগে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নাম ও লোগো ব্যবহারের সুযোগ পায়। এতে করে বলের প্রযুক্তিতেও পরিবর্তনের সূচনা হয়। ১৯৬৮ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৯৬৮ সালে মেক্সিকো সিটি অলিম্পিকে উন্নত মানের বল সরবরাহ করায় ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন অ্যাডিডাসের সঙ্গে চুক্তির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। এর ফলে ফিফা জার্মান প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করে। টেলস্টার বলটি ছিল সাদা কালো রঙের এবং ৩২ প্যানেল বিশিষ্ট। তখনো রঙিন টিভি আবিষ্কৃত না হওয়ায় সাদাকালো টিভিতে দর্শকদের খেলা দেখার সুবিধার জন্যই মূলত বলের এই রং রাখা হয়। এটা বলে রাখা ভালো, এই বিশ্বকাপের মাধ্যমেই প্রথমবারের মতো বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ টিভিতে দেখার সুযোগ পায়। মজার বিষয় হলো, পুরো বিশ্বকাপে মাত্র ২০টি বল ব্যবহৃত হলেও টেলস্টারের ৬ লাখ রেপ্লিকা বিশ্বজুড়ে বিক্রি হয়।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের বলের নাম ছিল স্লাজেনজার চ্যালেঞ্জ ফোর স্টার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এখানে দ্বিতীয়বারের মতো ব্লাইন্ড টেস্টের মাধ্যমে বল নির্বাচন করা হয়। ১১০টি বলের মধ্য থেকে চ্যালেঞ্জ ফোর স্টার নির্বাচন করা হয়। ২৫ প্যানেলের বলটির নির্বাচনের জন্য ওই সময়ের সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।
১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে ব্যবহৃত বলের নাম রাখা হয় দি ক্র্যাক। ১৮ প্যানেলের এ বলের প্রস্তুতকারক চিলিয়ান কোম্পানি কাস্তোতিও জামোরা। তবে ইউরোপিয়ান দলগুলোর এ বলের ব্যাপারে আপত্তি ছিল। তারা খেলার জন্য টপস্টার বল সঙ্গে নিয়ে এসেছিল, যা তারা চার বছর আগের বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে চিলি ১০০ টপস্টার বলের শিপমেন্ট করতে বাধ্য হয়।
১৯৫৮ সালের সুইডেন বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হয়েছিল টপস্টার। এ বিশ্বকাপ সামনে রেখে বল নির্বাচন পদ্ধতির বড় পরিবর্তন আনে সুইডিশ ফুটবল ফেডারেশন। এ জন্য ফিফা উন্মুক্ত নিলাম পদ্ধতি ব্যবহার করে এবং নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের লোগো ছাড়া বল বিবেচনার জন্য আনতে বলা হয়। পরে শতাধিক অংশগ্রহণকারীর মধ্যে টপস্টার বল বাছাই করা হয়। এ বিশ্বকাপের মূল পর্বের দলগুলোকে প্রস্তুতির জন্য বিশ্বকাপের আগেই ৩০টি করে বল দেয় ফিফা। যদিও ব্রাজিল আরও বল কিনে নেয়। তার ফলও তারা পায়। ১৯৫০ সালের মারাকানা ট্র্যাজেডি ভুলে সেলেসাওরা প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করে সুইডেনেই।
এরপর ইউরোপের আরেক দেশ সুইজারল্যান্ড নিজেদের দেশের বিশ্বকাপে সুইস ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন নামে বল ব্যবহার করে। বিশ্বকাপ কর্তৃপক্ষ শুধু বলটির ডিজাইনের জন্যই অনেক খরচ করে। সুইজারল্যান্ডের বাসেলের একটি প্রতিষ্ঠান অভিনব বলটি প্রস্তুত করে। ১৮ প্যানেলের বলটিতে একটি অভিনব আঁকাবাঁকা ডিজাইন রাখা হয় যা ছিল হলুদ রঙের।
১৯৫০ সালের ব্রাজিল বিশ্বকাপের বলকে বলা হয় বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম অফিশিয়াল বল। পর্তুগিজ ভাষায় ডুপলো টি নামের বলটির ইংরেজি প্রতিশব্দ সুপারবল। বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব ম্যাচে একই বল ব্যবহার করা হয়। আর এ বলে এয়ার ভাল্ভ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এ প্রযুক্তি নতুন ছিল না। আর্জেন্টিনার একটি প্রতিষ্ঠান ১৯৩০ সালের দিকে সুপারবলের মতো বল তৈরি করেছিল এবং দেশটির লিগে এটি ব্যবহার করা হতো কিন্তু ওই সময় তা ফিফার অনুমোদিত ছিল না। নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ব্রাজিল বল সরবরাহ করার পরই বলটির নাম সুপারবল রাখা হয়।
তাকানো যাক ১৯৩৮ সালের ফ্রান্স বিশ্বকাপের দিকে। সেবার বলের নাম রাখা হয় অ্যালেন। প্যারিসের একটি প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বলে নিজেদের নাম ছাপে। অ্যালেন অফিশিয়াল শব্দটির ওপরেই লেখা হয় কোপা দে মুন্দো। এটি ছিল ১৩ প্যানেলের তুলার লেসিং সমৃদ্ধ বল।
ফেডারেল ১০২। এই নাম ছিল ১৯৩৪ সালে ইতালিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ব্যবহৃত বলের। এই বল তৈরির জন্য বেনিতো মুসোলিনি তার সরকারই এই বল তৈরি করে। ১৩ প্যানেলের লেইস বলটি সচরাচর চামড়ার বলের বাইরে নতুন একটি আবিষ্কার হয়ে আসে। মুসোলিনির প্রতি হতাশার কারণে ইতালি ও চেকোস্লোভাকিয়ার অধিনায়ক ফেডারেলের পরিবর্তে ইংলিশদের তৈরি একটি বল ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
সবশেষ ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপের বলের নাম রাখা হয় টি-মডেল ও টিয়েন্টো। আগেই বলা হয়েছে, আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ের কারণে এ বিশ্বকাপে দুই অর্ধে দুই দেশের বল ব্যবহার করে ফিফা। তাই এই দুটি বলকেই বলা হয় বিশ্বকাপের প্রথম বল। উরুগুয়ের টি-মডেল ছিল আর্জন্টিনার নিয়ে আসা টিয়েন্তোর চেয়ে অপেক্ষাকৃত হালকা ও আকারে ছোট। জুলে রিমের বিশ্বকাপের স্বপ্ন পূরণ হয় যখন ১৩টি দেশ প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে উরুগুয়ে আসে। আর এ সময়ে কোনো অফিশিয়াল বল ছিল না। সকার বল প্রযুক্তি ওই সময়ে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল। এমনকি একই ব্র্যান্ডের বলের মাঝেও ব্যাপক পার্থক্য দেখা যায়।
প্রযুক্তির উন্নয়ন ও আধুনিকতায় ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপ আর আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপের বলের পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এই উৎকর্ষ অব্যাহত থাকবে। ফলে ভবিষ্যতে প্রতিটি আয়োজন আর অনুষঙ্গ যে পূর্বসূরিদের ছাড়িয়ে যাবে, তা সহজেই অনুমেয়। তবে, প্রতিটি বিশ্বকাপের প্রতিটি বল আর তার গল্প হয়ে থাকবে একেকটি ইতিহাস।
প্রদীপ দেবনাথ
ছবি: সংগ্রহ