গোসলের ক্ষেত্রে কেউ পছন্দ করেন গরম পানি, কেউবা ঠাণ্ডা পানি। উভয় প্রকার পানি দিয়ে গোসল করারই কিছু উপকারী দিক আছে। যেমন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে মনে প্রশান্তি আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের পেশির ক্ষমতা বাড়ে। পাশাপাশি শরীরের ব্যথাও কমে। এ কারণেই তো শরীরচর্চা কিংবা খেলাধুলার সময় আঘাত পেলে সেখানে ঠাণ্ডা পানি ঢালার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের লিম্প ভেসেলগুলো সংকুচিত হয়। ফলে পুরো রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। এতে মানব শরীরের প্রতিটি অঙ্গে প্রচুর পরিমাণে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছে যায়। ফলে দেহের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে শরীর থেকে বেশ কিছু ক্ষতিকর অ্যাসিড বেরিয়ে যায়। এর ফলে পেশিতে কোনো আঘাত থাকলে সেটা দ্রুত সেরে ওঠে।
এ ছাড়া ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসলের সময় মানুষের শরীর থেকে এন্ডোরফিন ও নোরাড্রেনালিন নামে দুটি ক্যামিকেলের ক্ষরণ হয়। এ দুই ক্যামিকেল শরীর থেকে বেরিয়ে গেলে ক্লান্তি দূর হয়। পাশাপাশি শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
চুল ও ত্বকের সুস্থতায় ও ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করার উপযোগী। ত্বক ও চুলের ভেতরের প্রাকৃতিক তেল যাতে বেশি ক্ষরণ না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে ঠাণ্ডা পানি। ফলে ত্বক ও চুল শুষ্ক হয় না।
সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ভোরবেলা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে মানুষের শরীরে বেশ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক অবসাদ ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে আসে।