দিনের শুরু হয় সকাল দিয়ে। সকাল ভালো যার সকল ভালো তার। একটি সুন্দর দিনের জন্য দিনের শুরুটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শুরু ভালো বা খারাপ হলে তার প্রভাব পুরোটা দিনের ওপরেই পড়ে। সকালে কিছু ভুল কাজ করা ক্ষতিকর।
সকালে উঠেই কফি নয়: আমরা অনেকেই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কফি পান করি। ভাবি, এটা বুঝি আমাদের চাঙা করবে। আমাদের শরীরে কর্টিসল নামক এক জাতীয় হরমোন উৎপাদিত হয়। তাতেই ঘুম ভাঙে। কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে কর্টিসল হরমোন উৎপাদনকে কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম ভাঙতে দেরি হয়। সকালবেলা স্বাভাবিকভাবে ঘুম না ভাঙলে তা থেকে মাথা ধরতে পারে এবং কাজের সময়ে আলসেমি দেখা দেয়। সকালে কফি পান করলে তা অন্তত সকাল দশটার পর পান করা উচিত।
অন্ধকারে সকাল না কাটানো: আমাদের ঘুমুতে যাওয়া ও ঘুম থেকে জেগে ওঠা নির্ভর করে আলোর উপস্থিতির ওপর। আলোর পরিমাণ আমাদের জানান দেয় কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে। আর এ কাজটি করে আমাদের শরীরে থাকা এক প্রকার হরমোন যার নাম মেলাটনিন। সকালবেলা তাই আলোতে কাটানো উচিত, নচেৎ ঘুম পুরোপুরি কাটবে না। অনেকেই একটু বেশি ঘুমানোর জন্য সকালবেলা চান ঘরটাকে আরেকটু অন্ধকার করে রাখতে, যা মোটেও উচিত নয়।
তন্দ্রা ভাব: অনেকেই ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণ আবার তন্দ্রাভাবে থাকেন। তন্দ্রা ভাব আমাদের শরীরকে আবার গভীর ঘুমের জন্য প্রস্তুত করে গড়ে তোলে। কিন্তু তখন নানা কাজের কারণে আর ঘুমানো যায় না। এতে সারা দিন মাথা টলমল করে। এমন অভ্যাস মোটেও উচিত নয়। অ্যালার্ম শোনার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব ঘুম থেকে জেগে উঠতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সকালে উঠলেই মাথায় ঘোরে সারা দিন কী করতে হবে। সকালবেলা টেনশনমুক্ত থাকতে হবে।
সকালে মেইল চেক নয় : সকালবেলা মেইল চেক করা আমাদের একদিন পিছিয়ে দেয়। এভাবে প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে জানান গবেষকরা। সকালে উঠে মেইল চেকিং আমাদের মস্তিষ্ককে আরও ভারী করে তোলে। সুতরাং, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে মেইল চেক না করাই ভালো।
সকালবেলা বিছানায় কাটাবেন না: অনেকেই সকাল বিছানায় আরামে আরামে কাটাতে পছন্দ করেন। এ অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সকালবেলা বিছানায় না কাটিয়ে ব্যায়াম করলে তা শরীরের জন্য অনেক উপকারী।