গ্রীষ্মকালের ফলগুলোর মধ্যে জাম অন্যতম। এটি পুষ্টিগুণে ভরা। স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, আকারে ছোট হলেও এ ফলে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। পাশাপাশি রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের শক্তি বাড়ায় এবং ক্যানসারের মতো জটিল রোগকে দূরে রাখতে এর ভূমিকা অতুলনীয়। সুস্বাদু এই ফল যদি এই মৌসুমে খাদ্যতালিকায় রাখা যায়, তা আমাদের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি: জামে রয়েছে এন্থোসায়ানিন এ ভিটামিন সি। এ ফল ডিএনকে সুরক্ষিত রাখে। পাশাপাশি ত্বকে কোলাজেনের উপাদান বাড়িয়ে দেয়। যা আমাদের ত্বকের বয়স কমিয়ে আনে এবং ত্বকের বলিরেখা দূর করে।
রোগমুক্ত রাখে: গবেষণায় জানা যায়, ক্রনিক ইনফ্লেমেশনের কারণে শরীরে এক প্রকার রোগ বাসা বাঁধতে শুরু করে, সেগুলোর মধ্যে ক্যানসার, হার্টের রোগ, ডিপ্রেশন উল্লেখযোগ্য। জাম শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রোপার্টিজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগের মাত্রা কমে আসে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ঘাটতি দূর করে: সারা দিন আমাদের শরীরে নানা ধরনের টক্সিন প্রবেশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যদি সঠিক সময়ে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেওয়া না যায়, তবে শরীরে একাধিক রোগের জন্ম হয়। পাশাপাশি শরীরে ক্যানসারের সেল জন্ম নেওয়ার শঙ্কা বেড়ে যায়। জামে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরে থেকে খুঁজে খুঁজে টক্সিনকে বের করে দেয়। এ কারণেই চিকিৎসকেরা নিয়মিত জাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
হাড় মজবুত করে: জামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন রয়েছে, যা হাড় গঠন করে। হাড়কে আরও দৃঢ় করে। হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় জামের ভূমিকা অভাবনীয়।
ওজন কমায়: যারা ওজন কমাতে চান, তারা নিয়মিত এক বাটি জাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ, জামে আছে ফাইবার যা পেটে গিয়ে অনেকখানি জায়গা দখল করে থাকে। এতে ক্ষুধার প্রবণতা কমে আসে বিধায় সহজেই ওজন কমে যায়।
মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা বাড়ায়: জাম মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতা ও বুদ্ধি বাড়াতে অতুলনীয়।
হার্ট ভালো রাখে: জামে উপস্থিত একাধিক উপাদান যা উচ্চ রক্তচাপ, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। যার কারণে হার্টের কোনো ক্ষতি হওয়ার প্রবণতা একেবারে কমে যায়।