এই বিস্তৃত মহাবিশ্বে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, সে বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। এর পক্ষে বিপক্ষে রয়েছে নানা মতামত। কিছু মতামত যৌক্তিক, আবার কিছু মতামত যুক্তির কাছে পরাস্ত। তবে কিছু কিছু ঘটনা মহাবিশ্বের বাইরেও মানুষের মতো প্রাণী থাকার ইঙ্গিত দেয়।
পৃথিবীর আকাশে মাঝে মধ্যেই অপরিচিত আকাশ জানের হদিস পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে করে তাদের ধারণা, পৃথিবীর বাইরের কোনো জাতিই এই অপরিচিত আকাশযান নিয়ে উড়ে যায় পৃথিবীর ওপর দিয়ে। ১৯৪৭ সালে মেক্সিকোর রজওয়েল’এ রহস্যময় আকাশযান বিধ্বস্তের ঘটনা পৃথিবীর বাইরে বুদ্ধিমান প্রাণী থাকার ধারণাকে আরও উসকে দেয়।
তবে বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী দেশগুলোও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ! কিন্তু ভিনগ্রহে প্রাণের সন্ধান রয়েছে- এমন তথ্যে তারাই আবার খরচ করে থাকে কোটি কোটি অর্থ।
ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণীদের পৃথিবীতে আশা যাওয়ার বিষয়ে যাদের বিশ্বাস রয়েছে তারা প্রতিনিয়তই এই অজানা মহাকাশযান বা ইউএফও (আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট) সম্পর্কে নানা তথ্য প্রকাশ করে থাকেন। গোটা বিশ্বেই এমন বিশ্বাসীদের খুঁজে পাওয়া যায়।
পৃথিবীতে ইউএফও আসার দাবিকে আরও জোরালো করতে প্রতিবছর ২ জুলাই বিশ্ব ইউএফও দিবসও পালন করে থাকেন ইউএফও বিশ্বাসীরা। প্রতিবারের মতো আজও পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইউএফও দিবস।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এবার নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালনের পরিকল্পনা কয়েছে ইউএফও বিশ্বাসীদের। ভিনগ্রহ থেকে বুদ্ধিমান প্রাণীদের পৃথিবীতে আগমনের নানা তথ্য পরিবেশনসহ আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালিত হবে এ দিবসটি।
২০০১ সালে ইউএফও সন্ধানী হ্যাকটেন একদোগান দিবসটি পালন শুরু করলে অধিকাংশ বিশ্বাসীরা এই দিনটিকেই গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে ডব্লিউইউএফওডিও (ওয়ার্ল্ড আনআইডেন্টিফাইড ফ্লায়িং অবজেক্ট ডে অর্গানাইজেশন) এ দিনটিকেই বিশ্বব্যাপী পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।