বিউটি সার্ভিস I ব্রাইট অ্যান্ড রিভাইটালাইজিং ফেশিয়াল
ফেশিয়াল। ত্বকচর্চার রুটিনে মাসে অন্তত একবার অপরিহার্য এ বিশেষায়িত সেবা। আর এর সঙ্গে যদি যোগ হয় স্পার কার্যকারিতা, তাহলে তো কথাই নেই! একটি ফেশিয়ালই ফলপ্রদ হয়ে ওঠে বহুমুখীভাবে। এমনই মাল্টিফাংশনাল সার্ভিস ব্রাইট অ্যান্ড রিভাইটালাইজিং ফেশিয়াল। যা ত্বকচর্চায় একই সঙ্গে নানাভাবে কার্যকর। ফেশিয়ালটি ত্বকে জরুরি আর্দ্রতার জোগান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একে মসৃণ করে তোলে। পাশাপাশি ত্বককোষের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, দেখায় তারুণ্যদীপ্ত। বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখাগুলো কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। দেখায় সজীব, সতেজ ও উজ্জ্বল। তৈলাক্ত, শুষ্ক কিংবা স্বাভাবিক– যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য জুতসই ব্রাইট অ্যান্ড রিভাইটালাইজিং ফেশিয়াল। হাই এন্ড এ ফেশিয়ালের শুরুতেই দেওয়া হয় স্পা উপযোগী রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ। গ্লাইডিং, নিডিং আর ফ্রিকশন স্ট্রোকে বিভিন্ন মাত্রার চাপ প্রয়োগ করে চলে পুরো প্রক্রিয়া। যা শুধু শরীরের ক্লান্তিই দূর করে না, ফেশিয়ালের জন্যও প্রস্তুত করে তোলে ত্বককে। মূল প্রক্রিয়া শুরু হয় ত্বক পরিষ্কারের মাধ্যমে। ব্রাইট অ্যান্ড রিভাইটালাইজিং ফেশিয়ালে ডাবল ক্লিনজিং করা হয় ত্বক পরিষ্কারের জন্য। এর ফলে ত্বকের গভীর থেকে তেল, ময়লা আর দূষণ দূর হয় আরও কার্যকরভাবে। এর পরপরই ব্যবহার করা হয় পিলিং ফর্মুলার মাইক্রো স্ক্রাব। এটি ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, করে তোলে দাগছোপমুক্ত। ক্লিনজিং আর স্ক্রাবিংয়ের পরপরই শুরু হয় ব্ল্যাকহেডস রিমুভিংয়ের কাজ। এর জন্য ব্যবহার করা হয় বিশেষভাবে তৈরি হট অ্যান্ড কোল্ড হ্যামার মেশিনের হট ইউনিট। যা ত্বকের পেশিগুলোকে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে। বাড়ায় রক্তসঞ্চালন। এ ছাড়া লোমকূপগুলো খুলে দেয় বলে ত্বকের গভীরে থাকা ধুলা-ময়লা, দূষণ আর বাড়তি তেল পরিষ্কার হয় সহজে। ত্বকের শোষণক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকর হট হ্যামার। ব্ল্যাক হেডস রিমুভিংয়ের পরের ধাপে দেওয়া হয় হোয়াইটেনিং টোনার। তারপর অত্যাধুনিক গ্যালভানিক মেশিন দিয়ে ম্যাসাজ করে নেওয়া হয় পুরো ত্বক। এরপর আবার খালি হাতে চলে স্পেশালাইজড সুদিং ম্যাসাজ। তারপর মুখে মাখানো হয় বিশেষায়িত সেরাম। পরে হ্যামারের কোল্ড ইউনিট দিয়ে চলে ম্যাসাজ। এটি ত্বককে টানটান করতে সাহায্য করে। ইলাস্টিসিটি লেভেল বাড়ায়। ফলে বলিরেখামুক্ত থাকে ত্বক। এ ছাড়া লোমকূপের খোলা মুখ সংকুচিত করতেও দারুণ কার্যকর এ মেশিন। ত্বক মসৃণ করে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর পরপরই ত্বকে দেওয়া হয় প্যাক। তা-ও আবার দু-দুটি। প্রথমে মাখানো হয় হোয়াইটেনিং মাস্ক। যা মুখে রেখে দেওয়া হয় পনেরো থেকে বিশ মিনিটের জন্য। শুকিয়ে যাওয়ার পর তা তুলে নিয়ে মাখানো হয় ভিটামিন সি মাস্ক। সবশেষে বিশেষায়িত সেরাম মাখানো হয় ত্বকে। হাজার পাঁচেক টাকা আর ঘণ্টা দুয়েক সময় খরচ হতে পারে ফেশিয়ালটি করতে। তবে যেতে হবে স্পেশালাইজড কোনো স্যালনে।
জাহেরা শিরীন
মডেল: আয়েশা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: সৈয়দ অয়ন
কৃতজ্ঞতা: পারসোনা স্প্রিং স্পা