সম্পাদকীয়
যখন লিখতে বসেছি, সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। কী ভয়াবহ আর হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য! কত অমূল্য প্রাণ সবার চোখের সামনে শেষ হয়ে গেল! কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, কত সন্তান হারিয়েছে তাদের মা-বাবাকে, ভাবলে আজও চোখ ভিজে আসে। মনে হয়, যারা এই দুর্ঘটনার শিকার, তাদের সবাই আমার স্বজন। তারা তো দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য শ্রম দিয়ে যাচ্ছিলেন। একটু দায়িত্বশীল হলে ভয়ঙ্কর এই বিপর্যয় থেকে তারা রক্ষা পেতেন। আসলে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্তাদের মধ্যে অভিভাবকের গুণ থাকাটা বেশি জরুরি। এটা থাকলে আমাদের শিল্পখাত অপেক্ষাকৃত শ্রমিকবান্ধব হয়ে উঠবে। বহির্বিশ্বের কাছেও আমাদের সম্মান বাড়বে।
এবারের ক্যানভাস গ্রীষ্মকেন্দ্রিক। কিন্তু গ্রীষ্ম কি আছে আগের মতো? এ নিয়ে একটা লেখাও রয়েছে আমার, এই সংখ্যায়। রয়েছে গরমের ফ্যাশন, তাতে স্থান পেয়েছে অপ্রচলিত পোশাক নিয়ে একটি রচনাও। সৌন্দর্যচর্চায় এবার যুক্ত হয়েছে বিউটি ওয়াটার আর চুলের যত্নে পানীয়। গরমের দিনে বেশ জুতসই, তাই না? লাইফস্টাইলেও যোগ করা হয়েছে সে রকম বিষয়, যেমন খাবার হিসেবে শুক্তোর তিনটি রেসিপি দেয়া হলো। সহজ, স্বাস্থ্যকর, রোগ প্রতিরোধী। কভার স্টোরি থাকছে ঘুম বিষয়ে, অন্যান্য ভিন্ন স্বাদের রচনা তো অনিবার্য, বরাবরের মতোই।
একটা দীর্ঘশ্বাস দিয়ে লেখাটি শেষ করতে হচ্ছে। আমাদের অতি প্রিয় বেলাল চৌধুরী আর নেই। তিনি স্বনামধন্য সাহিত্যিক; কিন্তু এর চেয়ে বড় পরিচয় সত্যিকারের মানুষ আর মনেপ্রাণে বাঙালি ছিলেন। জীবনভর পরার্থে নিজেকে বিলিয়ে গেছেন। তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
মহান মে দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে।