বাংলাদেশে চাষ উপযোগী তরমুজের উন্নত জাতগুলো হলো পতেঙ্গা জায়েন্ট, টপ ইল্ড, গোরি, ওয়ার্ল্ড কুইন, বিগটপ, চ্যাম্পিয়ন, অ্যাম্পায়ার, সুইট বেবি, ভিক্টর সুপার হাইব্রিড এবং ওশেন সুপার হাইব্রিড। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় জাত হলো সুগার বেবি। এটি ক্যালসিয়াম, লৌহ ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পুষ্টিকর ফল। পাকা ফল মূত্র নিবারক, দেহকে শীতল রাখে, অর্শ লাঘব করে। বীজের শাঁস খেলে লিভারের ফোলা ভাব কমে। আমাশয়, বীর্যহীনতা ও প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া বন্ধ করে। ফল ও বীজ মাথা ঠান্ডা রাখে। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সাইটুলিন (অ্যামাইনো অ্যাসিড)। সাইটুলিন মানবদেহে আরজিনিন নামে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যামাইনো অ্যাসিড উৎপাদনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখে। আরজিনিন টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে নিষ্ক্রিয় ইনসুলিনকে সক্রিয় করে গ্লুকোজ বিপাকের হার বৃদ্ধি করে। তরমুজ উচ্চ রক্তচাপ প্রশম করে এবং রক্তের অতিরিক্ত জমাটবদ্ধতা প্রতিরোধক। সারা দেশে তরমুজের চাষ হলেও চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, পাবনা, যশোর, দিনাজপুর, বগুড়া, রাজশাহী, নাটোর, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, ফরিদপুর, বরিশালসহ চরাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে তরমুজের চাষ করা হয়।
Related Projects
‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২২’ পেল কোকা-কোলার ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস
- March 8, 2022
সম্প্রতি ‘বেস্ট ইনোভেশন-এসডিজি ইনক্লুশন’ বিভাগে…