‘অমৃতচুম্বী’-এ নামটির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত নন। এ শব্দের অর্থ হচ্ছে পেঁপে। আয়ুর্বেদীয় ভাষায় পেঁপেকে অমৃতচুম্বী বলা হয়ে থাকে। এই অমৃতচুম্বী পাকা কিংবা কাঁচা উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। তবে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, এর স্বাস্থ্যপোকারিতা আকাশচুম্বী।
পেঁপের মধ্যে থাকে ক্যারোটিন, যা মানুষের শরীরের নানা উপকারে আসে। ১০০ গ্রাম পেঁপেতে ক্যালরি থাকে ৪৩ গ্রাম, সুগার ৭.৮২ গ্রাম ও কার্বোহাইড্রেট ১০.৮২ গ্রাম।
দৈনন্দিন ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করতে একটি পাকা পেঁপে খেতে পারেন। যাদের দুধের প্রোটিনে বারণ আছে, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন পাকা পেঁপে। এ ছাড়া কাঁচা কিংবা পাকা- উভয় প্রকার পেঁপেতে রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্যগুণ।
ভিটামিনে ভরপুর: আমাদের দেশে যত ফল পাওয়া যায় পুষ্টিগুণে পেঁপে তার মধ্যে অন্যতম। এতে রয়েছে ভিটামিন এ ও সি। যাদের পেটে গণ্ডগোল আছে, তারা পেঁপে খেতে পারেন। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে বিধায় যারা মুটিয়ে যাওয়া থেকে নিস্তার পেটে চান, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন পাকা পেঁপে।
কাঁচা পেঁপের উপকারিতা: কাঁচা পেঁপেতে প্যাপাইন নামক হজমকারী এনজাইম থাকে। এটি অম্বল, কৃমি সংক্রমণ, আলসার, ত্বকে ঘা, কিডনি ও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
পেপসিনের প্রভাব: কাঁচা পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে পেপসিন বিদ্যমান। লিভারের নানা রোগ সারাতে কাঁচা পেঁপে বেশ কার্যকর। পেঁপের রসে এমন সব উপাদান আছে যা আমাশয়, অশ্ব, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সক্ষম।
পেট ফাঁপায় উপশম: পাকা পেঁপের সঙ্গে একটু লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপার সমস্যা দূর হয়।
ত্বক ভালো রাখে: পেঁপে খেলে ত্বক ভালো থাকে, তা পেঁপে খাওয়া হোক কিংবা ত্বকে লাগানো হোক।
ওজন কমাতে: পেঁপেতে ক্যালরি কম থাকার পাশাপাশি প্রাকৃতিক সুগার বিদ্যমান। তাই যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা নিশ্চিন্তে পেঁপে খেতে পারেন। প্রতিদিন এক বাটি করে পেঁপে খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে আসবে।