বাইট
কফির জন্য একদিন
ধারাবাহিকভাবে চতুর্থ বছরের মতো ‘আন্তর্জাতিক কফি দিবস’ উদ্যাপন করলো লা মেরিডিয়ান ঢাকা। ৩ অক্টোবর লা মেরিডিয়ান ঢাকার সিগনেচার লাউঞ্জ ল্যাটিচুড ২৩-এ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়। এতে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, তারকা, ফুড ব্লগার ও ফুডিজরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগান থেকে দোকানে যাওয়া পর্যন্ত কফির যাত্রার উদ্যাপনে বিশ্বজুড়ে আন্তর্জাতিক কফি দিবস পালন করা হয়। যেসব নারী ও পুরুষ কফির উৎপাদন থেকে প্রস্তুতের সঙ্গে জড়িত, দিবসটি তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্যই। এর মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মধ্যে কফির ‘ফেয়ার ট্রেড’কে উৎসাহিত করা হয়। কফি উদ্দীপনামূলক পানীয়, এটা শুধু আমাদের সৃষ্টিশীলতাকেই উজ্জীবিত করে না, পাশাপাশি এটা চিত্তাকর্ষকও।
হোটেলটিতে কফি আর্ট নিয়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়, যার মধ্যে ছিল ‘কালারড লাতে আর্ট টিউটোরিয়াল’। যেখানে ইতালির চিমবালি ও ইল্লি থেকে দক্ষ বারিস্তারা প্রধান শেফের তত্ত্বাবধানে বিশেষ ধরনের টপিংয়ের সঙ্গে এক্লেয়ার্স তৈরি করেন। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের জন্য কুকি কাপ, কফি ককটেল ও নানা উপাদেয় খাবারের বুফে পরিবেশন করা হয়।
এই আয়োজন নিয়ে লা মেরিডিয়ান ঢাকার মহাব্যবস্থাপক কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘আমাদের অন্যান্য খাদ্য উৎসব ও সাংস্কৃতিক উদযাপনের মতো এবারও আমরা ঢাকায় এ রকম একটি আন্তর্জাতিক মানের উৎসব আয়োজন করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের এই উদ্যাপনে ঢাকার কফিপ্রেমীদের একসঙ্গে পেয়ে আমরা রোমাঞ্চিত।’
হোটেলটি নিয়মিতভাবে রাজধানীবাসীর জন্য এ ধরনের আন্তসাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
খাজানায় পেশোয়ারি ফুড ফেস্টিভ্যাল
‘কাহানি এক সোয়াদ কি’ শিরোনামে খাজানা রেস্টুরেন্ট আয়োজন করে পেশোয়ারি ফুড ফেস্টিভ্যাল। ঢাকার ভোজনরসিকদের পাকিস্তানের পেশোয়ার অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী সব খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে এই আয়োজন। ঐতিহাসিক শহর হিসেবে স্থানটির বিশেষ পরিচিতি রয়েছে ভ্রমণপিয়াসীদের কাছে। তা ছাড়া এ অঞ্চলের খাবারের রয়েছে আলাদা ঐতিহ্য। প্রাক্-আধুনিক কাল পর্যন্ত নানা সময়ে এই ভূখন্ডে বহিঃশক্তির আগমন ঘটেছে। এর মাঝে কনিষ্ক, আফগান, শিখ ও ব্রিটিশরা কয়েক শতাব্দী ধরে এই অঞ্চল শাসন করেন। এখানকার খাবারেও তাদের প্রভাব লক্ষ করা যায়।
পেশোয়ারের ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্ট থেকে আসা মাস্টার শেফরা খাজানার ভোজনরসিকদের সামনে উপস্থাপন করেন সেই অঞ্চলের খাবার। এগুলোর মধ্যে সিকান্দারি রান, তন্দুরি গোবি, কস্তুরি কাবাব, গোশত পেশোয়ারি কাবাব, ডাল বুখারা, পেশোয়ারি বিরিয়ানিসহ প্রায় ৩০টি পদের খাবার স্থান পায়। এ ছাড়া ডেজার্ট হিসেবে পিস্তাকো কুলফি ও পেশোয়ারি রসমালাই ভোজনরসিকদের বিশেষ আগ্রহে পরিণত হয়। পেশোয়ারি ফুড ফেস্টিভ্যাল নিয়ে খাজানার ডিরেক্টর (অপারেশন) অভিষেক সিনহা বলেন, বাংলাদেশের খাদ্যপ্রেমীদের পেশোয়ারের খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ তুলে ধরতেই এই আয়োজন। পেশোয়ারের মাস্টার শেফরা সেখানকার মসলা দিয়ে এই উৎসবের খাবার তৈরি করেন।
৭ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে এই ফেস্টিভ্যাল।
মেডিটেরিনিয়ান বুফে ফেস্টিভ্যাল
দ্য ওয়ে ঢাকার বৈচিত্র্যময় খাবার আয়োজনে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে আয়োজন করা হয় মেডিটেরিনিয়ান ফুড ফেস্টিভ্যাল। এর আগে হোটেলটি সি ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। সাড়া জাগায় রাজধানীর ভোজনরসিকদের মধ্যে। সুস্বাদু ও বৈচিত্র্যময় মেডিটেরিনিয়ান খাবার উপভোগের জন্য মেডিটেরিনিয়ান ধারায় মনোরমভাবে সাজানো হয় দ্য ওয়ে ঢাকার রেস্টুরেন্ট টপ অব দ্য ওয়ে। বন্ধুবান্ধব ও সপরিবারে অথেনটিক মেডিটেরিনিয়ান খাবার উপভোগ করেন উৎসবে আগত অতিথিরা।
এই উৎসবে দ্য ওয়ে ঢাকার এক্সিকিউটিভ শেফ গ্রেগরি গোমেস এবং তাঁর টিম অতিথিদের জন্য তৈরি করে সুস্বাদু সব খাবার। যেখানে প্রাধান্য পায় নানান ধরনের মেডিটেরিনিয়ান কুজিনের ৫০ পদের বেশি খাবার। ভোজনরসিকদের খাবারের একটি নতুন অভিজ্ঞতা দিতে উৎসবটির আয়োজন করে দ্য ওয়ে ঢাকা।