ব্লগার’স ডায়েরি I স্বাচ্ছন্দ্যের পোশাক
একসময় শুধু বর-কনের পোশাক নিয়েই ভাবা হতো। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিয়েবাড়ির সবাই আজকাল নিজ নিজ সাজপোশাক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। বিশেষ পোশাক, সে অনুযায়ী সাজ ও অনুষঙ্গে নিজেকে হাজির করতে চায় বিয়ের অনুষ্ঠানে। গায়েহলুদ থেকে শুরু করে প্রতিটি পর্বে থাকা চাই আকর্ষণীয়, কেতাদুরস্ত। তা সকাল, দুপুর কিংবা রাত- যেকোনো সময়ই হোক না কেন।
সাজপোশাক অনেকটা নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। আমাদের দেশে বিয়ের আয়োজনগুলো শীতের সময়ই বেশি হয়। তবে পুরোপুরি শীত অথবা গরমের সময় অনুষ্ঠানের পোশাক নির্বাচন যতটা সহজ, অন্য মৌসুমে ততটা কঠিন। যেমন অক্টোবর-নভেম্বরে নগরীর আবহাওয়া সুবিধাজনক নয়। এমন সময় বরের পোশাক কী হতে পারে! প্রোগ্রাম যদি হয় এনগেজমেন্ট বা কাবিনের, তাহলে হালকা রঙের একটি পাঞ্জাবি বা খুব লাইট কালারের শেরওয়ানি পরা যায়। গায়েহলুদ ইদানীং প্রি-থিমড থাকে অধিকাংশ সময়। আগে থেকেই সবাই কী কালার পরবে, তা নিয়ে হইহল্লা লেগে যায়। আমি মনে করি গোল্ডেন বা হালকা মেরুন বেশ মানানসই। প্রিন্টের শাল সানাই পাঞ্জাবি এ সময় বরের জন্য হতে পারে যথাযথ। এতে লুকটাও কমপ্লিট হয়।
গায়েহলুদের পর আসে বিয়ের দিন। বিয়ের দিনের লুক সম্পূর্ণ নির্ভর করে অনুষ্ঠানের সময়ের ওপর। দিনে বা রাতে যখনই হোক, আউটফিটের চেঞ্জটা দরকার সময় অনুযায়ী। দুপুরে হলে ফরমাল শার্ট, যেকোনো ফরমাল প্যান্টের সঙ্গে টাক ইন করে পরলে সবার মাঝে স্ট্যান্ড আউট করাটা সহজ হবে। একই সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্যও নিশ্চিত হয়ে যায়। অনুষঙ্গ হিসেবে অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের ঘড়ি ও বেল্ট থাকা চাই। এ দুটো থাকলে গরমে ব্লেজার পরা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়। জুতার ব্যাপারটা সব সময়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। কেননা বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই দীর্ঘ সময় জুতা পায়ে হাঁটাহাঁটি বা বসে থাকা। তাই জুতা হতে পারে টাসেলড লোফার বা অক্সফোর্ড শু। যা ব্রাউন বা ব্ল্যাক যেকোনো আউটফিটের সঙ্গে যায়। আর যদি শু কালেকশন খুব বেশি থাকে, তাহলে আউটফিটের সঙ্গে কনট্রাস্ট করেও পরা যায়। অনুষ্ঠান দুপুরে হলে আমার মনে হয় হালকা রঙগুলো মানিয়ে যাবে। যেমন অফ হোয়াইট, লাইট পিঙ্ক, বিস্কুট অথবা স্কাই ব্লু।
রাতের অনুষ্ঠান হলে বলবো আপনি ভাগ্যবান। কেননা এতে নিজেকে সবচেয়ে বেশি স্টাইলিশ করা যায়। বিয়ে একটি বিশেষ দিন। তাই নিজেকে সুন্দরভাবে সবার সামনে উপস্থাপন করাটাও এতে জরুরি।
রাতের অনুষ্ঠানে একটা সুন্দর ট্যাক্সিডোর সঙ্গে বো-টাই হচ্ছে আমার কমন চয়েস। স্ট্রাইপ, জেব্রা প্রিন্ট বা প্লোইন কালার- সব কটিই এখন ট্রেন্ডি। আর খুব এক্সপেরিমেন্ট করতে না চাইলে ব্ল্যাক কালারটিই বেছে নেওয়া উচিত। অথবা স্যুটটি গ্রে, ব্ল্যাক বা এই ধাঁচেরও হতে পারে। যা-ই পরি না কেন, সবার আগে নিজের কমফোর্টটাকেই প্রাধান্য দিই। আন-কমফোর্টেবল কিছু পরে, নিজেকে জোকার হিসেবে রিপ্রেজেন্ট না করাটাই বেশি জরুরি। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত একটি কথা হচ্ছে, যেটাই পরি না কেন, তা হোক ডিজাইনার আউটফিট বা নরমাল স্ট্রিটওয়্যার- কনফিডেন্টলি ক্যারি করতে পারাটাই হলো ফ্যাশন।
সাহাত বিন সেলিম
ছবি: সোয়েব
Instagram: shahat23
Facebook: binstagrram
Snapchat: shahat23