হরাইজন
হোয়াই নট জিরো পয়েন্ট টু
ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনবিএ) সম্প্রতি জানিয়েছে, বাস্কেট বল খেলোয়াড়দের রঙিন স্নিকার ব্যবহারে আর থাকছে না নিষেধাজ্ঞা। এর পরপরই খ্যাতনামা এনবিএ প্লেয়ার রাসেল ওয়েস্ট ব্রুক রিলিজ করেছেন তার স্নিকারস সিরিজের দ্বিতীয় সংযোজন ‘হোয়াই নট জিরো পয়েন্ট টু’। এই ফ্যাশন আইকন গত বছরের প্রথম দিকে হাজির হয়েছিলেন তার নিজস্ব স্নিকারস সিরিজ নিয়ে। রাসেলের এই স্নিকারস সিরিজ মূলত একটি কোলাবোরেশন প্রজেক্ট। যেখানে তিনি জুটিবদ্ধ হয়েছেন মাইকেল জর্ডানের স্নিকার ব্র্যান্ড এয়ার জর্ডানের সঙ্গে। হোয়াই নট সিরিজের মূল বৈশিষ্ট্য এর চমৎকার ডিজাইন, কিছুটা জ্যামিতিক ধাঁচের আকার ও কাটিং এজ। যা খুব অল্প সময়েই বিশ্ববাজারে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে।
ডিজাইন ও রঙের দিক দিয়ে প্রথমটির থেকে এটি কিছুটা আলাদা। জর্ডান হোয়াই নট জিরো পয়েন্ট টুতে রয়েছে রঙের আধিক্য। এতে প্রধানত ব্যবহৃত হয়েছে নীল, লাল, হলুদ ও কমলা রঙ। রয়েছে আরও কিছু রঙের মিশ্রিত ডিজাইন। তবে এই রঙগুলোর ব্যবহারের পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। স্নিকারে ব্যবহৃত এই রঙগুলো রাসেলের বাস্কেটবল ক্যারিয়ারে পরা সব জার্সির রঙের প্রতিনিধিত্ব করে।
ভার্জিল আবোলোহর ব্র্যান্ড
নতুন ফ্যাশন ব্র্যান্ড নিয়ে হাজির হচ্ছেন ভার্জিল আবোলোহ। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টের মাধ্যমে এমনই ইঙ্গিত দেন এখনকার আলোচিত এই ফ্যাশন ডিজাইনার।
মার্কিন নাগরিক ভার্জিল আবোলোহ আদতে একজন ডিজে এবং মিউজিক প্রডিউসার। নিতান্তই শখের বশে শুরু করেন ফ্যাশন ডিজাইনিং। কিন্তু তার এই শখের ডিজাইন মুগ্ধ করে ফ্যাশন জগৎকে। হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার। কাজ করেন মিলানের বিখ্যাত স্ট্রিট ওয়্যার ব্র্যান্ড ‘অফ-হোয়াইট’-এ। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন আন্তর্জাতিক ফ্যাশন জায়ান্ট ব্র্যান্ড লুই ভুইতোঁর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর হিসেবে। তার ডিজাইন করা লুই ভুইতোঁর মেনজ জুয়েলারি বিশ্ববাজারে ব্যাপক সুনাম কুড়িয়েছে। তাই এই ফ্যাশন আইকন এবার নিজের নামেই শুরু করতে যাচ্ছেন একটি জুয়েলারি ব্র্যান্ড। তবে জুয়েলারির পাশাপাশি থাকছে মেনজ ওয়্যার, স্নিকার ইত্যাদি।
সেলফ লেইসিং
সেলফ লেইসিং তথা ফিতা বাঁধা ট্রেইনার জুতা বাজারে আনতে যাচ্ছে নাইকি। এটি ব্যবহারকারীর পায়ের আকৃতি অনুযায়ী ফিট হয়ে যাবে। জুতাটি নিয়ন্ত্রিত হবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে। এমন জুতার ধারণা পাওয়া গিয়েছিল ১৯৮৯ সালে স্পিলবার্গ পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘ব্যাক টু দ্য ফিউচার’ চলচ্চিত্রে। পরবর্তীকালে নাইকি গবেষণা করে ২০১৬ সালে তেমন একটি জুতার বাস্তব রূপ দেয়। জুতাটি চলতি মাসেই বাজারে আসার কথা।
ব্যবহারকারীরা নিজের ইচ্ছানুযায়ী জুতার ফিটিংয়ে পরিবর্তন আনতে পারবে। মাপ কাস্টমাইজ করা যাবে। পুরো কাজটি করা যাবে স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে। প্রয়োজনীয় মাপগুলো অ্যাপে সংরক্ষণ করা যায়। এ জুতার সর্বশেষ সংস্করণের নামদেওয়া হয়েছে ‘নাইকি অ্যাডাপ্ট’। দাম ৩৫০ মার্কিন ডলার। খেলোয়াড়দের জন্য জুতাটি তৈরি করা হয়েছে। বাস্কেটবলে এর প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।