skip to Main Content

বিশেষ I ফিচার নারীবাদ

মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার পতনের পর থেকে নারী পুরুষতন্ত্রের শিকার। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে। এর প্রতিক্রিয়ায় নারীবাদের জন্ম। বিকাশ নানা রূপে। তবে এটি তাত্ত্বিক আকার পেয়েছে বিশ শতকের প্রথমার্ধে। লিখেছেন আশরাফুল হক

বিশ শতকের পৃথিবী জন্ম দিয়েছে অনেক সংবেদনশীলতার, নারীবাদ সেগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন এক চেতনা, যা নারীকে মানুষ হিসেবে পুরুষের সমকক্ষ করে দেখার ভিত্তি গড়ে দেয়। নারীর সমতা ও স্বাধীনতায় বিশ্বাস এর মূলকথা। এর লক্ষ্য সমাজে বিদ্যমান লৈঙ্গিক বৈষম্যের অবসান ঘটানো। নারীবাদের দাবি হলো, পুরুষের মতোই নারী সব কাজে সক্ষম, সে কারণে পুরুষ থেকে তারা কম নয় এবং সমাজে তাদের অধিকার পুরুষের সমান হওয়া উচিত। এটা সম্ভব হলে সমাজে বিদ্যমান লৈঙ্গিক বৈষম্যের অবসান ঘটবে। পৃথিবীজুড়ে নারীবাদী অ্যাকটিভিস্টরা ছড়িয়ে আছেন, যারা কাজ করছেন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য। ভোটাধিকার, পারিবারিক সম্পত্তি ও শিক্ষার অধিকার, বৈবাহিক জীবনে সমানাধিকার, রাজনীতি ও ব্যবসায় সমান সুযোগ, পুরুষের সমান মজুরি, মাতৃত্ব-অবসর ইত্যাদি নারীবাদীদের মৌলিক দাবি। পিতৃতন্ত্রের অবসান ও নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া এগুলোর বাস্তবায়ন সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন। ফলে, এটাও এই মতবাদের কর্মী ও অনুসারীদের প্রধান একটি এজেন্ডা।
নারীবাদীরা নিজ দেহের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যও সক্রিয় এবং ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ ও পারিবারিক নিগ্রহ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সচেষ্ট থাকেন। যে কেউ হতে পারেন নারীবাদী; লৈঙ্গিক পরিচয় এ ক্ষেত্রে গৌণ। তবে পুরুষেরা নারীবাদী হলে তাদের ধরা হয় প্রোফেমিনিস্ট বলে।

নারীবাদী তত্ত্বজ্ঞানের বেশ কটি শাখা, যেমন- নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, উইমেন স্টাডিজ, নারীবাদী সাহিত্য সমালোচনা, ইতিহাস, মনোসমীক্ষণ ও দর্শনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে। এই তত্ত্ব লিঙ্গবৈষম্যকে বোঝার চেষ্টা করে এবং জেন্ডার রাজনীতি, ক্ষমতার সম্পর্ক ও সেক্সুয়ালিটির ওপর গুরুত্ব দেয়। সামাজিক ও রাজনৈতিক জটিল সম্পর্কগুলো ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি নারীবাদী তত্ত্ব জোর দেয় নারীদের অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার ওপর। স্টেরিওটাইপিং, লৈঙ্গিক নিপীড়ন, পুরুষতন্ত্র ইত্যাদি নারীবাদী তত্ত্বের প্রতিপাদ্য।
এই তত্ত্বে সমাজে নারীর ভূমিকা ও জীবনযাপনের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করে লিঙ্গবৈষম্যের প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করা হয়। তাতে সমাজনির্দেশিত লৈঙ্গিক অবস্থান ও যৌনতার প্রসঙ্গও অধিভুক্ত। পাশাপাশি সম্পত্তির মালিকানা, ভাষার লিঙ্গনিরপেক্ষতা, পক্ষপাতহীন বেতনকাঠামো, প্রজনন-সংক্রান্ত অধিকার ইত্যাদি বিষয়ও এতে স্থান পেয়ে আসছে। নারীবাদী তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে জ্ঞানের নানা শাখা গড়ে উঠেছে, যেগুলো বিভিন্ন জেন্ডার ইস্যুকে ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে।
১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে ফরাসি দার্শনিক ও ইউটোপীয় সমাজবাদী চার্লস ফুরিয়ে প্রথম ‘ফেমিনিজম’ শব্দটির আনুষ্ঠানিক ব্যবহার করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। ফেমিনিজম ও ফেমিনিস্ট শব্দ দুটি ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৭২ সালে, যুক্তরাজ্যে ১৮৯০ সালে এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১৯১০ সালে।
আধুনিক পাশ্চাত্য নারীবাদী আন্দোলনের রয়েছে কালানুক্রমিক চারটি ‘তরঙ্গ’। প্রথম ঢেউয়ের সময়ে, অর্থাৎ উনিশ শতক ও বিশ শতকের প্রথম ভাগে নারীর ভোটাধিকার অর্জনের ওপর জোর দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ঢেউ বলতে ষাটের দশকে নারীমুক্তি আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু হওয়া মতাদর্শ ও কর্মসূচিগুলোকে বোঝায়। এই সময়ে নারীর সামাজিক ও আইনগত সাম্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়। তৃতীয় তরঙ্গ হলো দ্বিতীয় তরঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া একটি ভিন্ন অভিমুখী ধারাবাহিকতা। এই পর্যায়ে লিঙ্গনির্ভর প্রথাগত সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তনের পক্ষে তর্ক হয়েছে এবং এখনো তা অব্যাহত।
উনিশ শতকের শুরুর দিকের কিছু কার্যকলাপের ধারাবাহিকতাকে নারীবাদের

প্রথম ঢেউ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে চুক্তির সম-অধিকার, বিবাহ, বাচ্চার দেখভাল এবং নারীদের সম্পত্তিতে অধিকার নিয়ে আন্দোলন চলছিল। উনিশ শতকের শেষের দিকে এই আন্দোলন নারীদের রাজনৈতিক ক্ষমতার দাবি, বিশেষভাবে তাদের ভোটাধিকার আন্দোলনে পরিণত হয়, যদিও নারীবাদীদের একাংশ তখনো নারীদের লিঙ্গগত, পুনরুৎপাদনমূলক এবং অর্থনৈতিক অধিকার অর্জনে সচেষ্ট ছিলেন।
তা ছাড়া এ শতকের শেষের দিকে ব্রিটেনের অস্ট্রেলিয়ান উপনিবেশগুলোতে নারীদের ভোটাধিকার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। যেসব উপনিবেশ নিউজিল্যান্ডের স্বশাসিত অবস্থায় ছিল, সেগুলোতে ১৮৭৩ সালে নারীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয় এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া ১৮৯৫ সালে নারীদের ভোটাধিকার এবং পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করার অধিকার দেয়। পরবর্তীকালে অস্ট্রেলিয়া ১৯০২ সালে নারীদের ভোটাধিকার প্রবর্তন করে।
নেদারল্যান্ডসে ভোটাধিকার এবং সম-অধিকারের জন্য উইলহেলমিনা ড্রুকারের (১৮৪৭-১৯২৫) নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলন সফল হয়। ব্রিটেনে ভোটাধিকার আন্দোলনকারীরা নারীদের ভোট দেওয়ার অধিকারের সপক্ষে প্রচার শুরু করে। ১৯১৮ সালে রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপল অ্যাক্ট পরিবর্তনের মাধ্যমে কমপক্ষে ৩০ বছর বয়সী নারী, যাদের সম্পত্তি আছে, তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়। ১৯২১ সালে এই আইন সংশোধন করে ২১ বছরের বয়সী সব নারীর জন্য ভোটাধিকার প্রবর্তন করা হয়। এমিলিন পাঙ্ঘরস্ট ছিলেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অ্যাকটিভিস্ট, যাকে টাইম ম্যাগাজিন একুশ শতকের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছে। বলেছে- ‘নারী সম্পর্কে এমন ধারণা তিনি দিয়েছেন, যাতে সমাজের ভিত কেঁপে উঠেছে এবং সেখান থেকে পিছনে তাকানোর কোনো উপায় নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদীদের তালিকায় লুক্রেশিয়া মট, এলিজাবেথ ক্যাডি স্টানটোন, সুসান বি এন্থনি প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এরা ভোটাধিকার আন্দোলনের আগে দাসপ্রথা বিলোপের সংগ্রাম করেছেন। কুকারের আত্মিক সমতার ধর্মতত্ত্বে এঁরা বিশ্বাসী ছিলেন, যেখানে নারী ও পুরুষকে ঈশ্বরের অধীনে সমান হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। ১৯১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৯তম সংশোধনীর সঙ্গে সঙ্গে নারীবাদের প্রথম ঢেউ শেষ হয়েছে বলে মনে করা হয়, কেননা এই সংশোধনীতে নারীদের ভোটাধিকার দেওয়া হয়। এরপর নারীবাদীরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের যুগে প্রবেশ করেন যেখানে সামাজিক ও সংস্কৃতিগত বৈষম্য এবং রাজনৈতিক অসমতার বিষযগুলো সামনে আসে।
অন্যদিকে, বিশ শতকের মধ্যভাগে এসেও দেখা যায়, ইউরোপের অনেক দেশেই নারীরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধিকার থেকে বঞ্চিত। এসব দেশে তখনো নারীবাদীরা ভোটাধিকার নিয়ে সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সুইজারল্যান্ডের নারীরা ১৯৭১ সালে ভোটাধিকার পান।
ভোটাধিকারের পাশাপাশি নারীবাদীরা পারিবারিক আইন সংশোধনের জন্য লড়াই করতে থাকেন। বিশ শতকের হাওয়া যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে লাগতে শুরু করলেও নারীরা খুব কম অধিকারেরই চর্চা করতে পারছিল। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ফ্রান্সে বিবাহিত নারীদের ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত স্বামীর অনুমতি ছাড়া কাজে যোগ দেওয়ার অধিকার ছিল না।
এ ছাড়া বৈবাহিক ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছিল। ভল্টারাইন ডি ক্লেয়ার, ভিক্টোরিয়া উডহাল, এলিজাবেথ ক্লার্ক এলমি প্রমুখ নারীবাদী ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’কে অপরাধ হিসেবে বিবেচনার জন্য আইন প্রণয়নের প্রচেষ্টাকে নারীবাদের প্রথম তরঙ্গের পরবর্তী ধাপ হিসেবে দেখেছেন। কেননা এ প্রয়াস উনিশ শতকে ব্যর্থ হয়েছিল। এখনো শুধু পাশ্চাত্যের অঙ্গুলিমেয় দেশের নারীরা এ অধিকার ভোগ করে, কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই নারীদের এই অধিকার নেই।
ফরাসি দার্শনিক সিমোন দ্য ব্যুভোয়া ১৯৪৯ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘দ্য সেকেন্ড সেক্স’ গ্রন্থে নারীবাদের অনেক প্রশ্নের সমাধান মার্ক্সীয় অস্তিত্ববাদের আলোকে ব্যাখ্যা করেন। বইটিতে তিনি নারীবাদীদের দৃষ্টিতে পুরুষের অন্যায়গুলো তুলে ধরেন। নারীবাদের দ্বিতীয় ঢেউকে ১৯৬০-এর দশকে শুরু হওয়া নারীবাদী আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করা যায়। যা ভোটাধিকার-পরবর্তী অন্যান্য অধিকার- যেমন জেন্ডার অসমতা নিয়ে কাজ করে। তা ছাড়া এ সময় সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অসমতা দূরীকরণে সচেষ্ট ছিলেন নারীবাদীরা। প্রাত্যহিক জীবনের সমস্যাগুলো যে রাজনৈতিক ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সৃষ্টি, সে ধারণা এতে প্রাধান্য পায়। এর ব্যাখ্যায় সক্রিয় নারীবাদী এবং লেখিকা ক্যারল হ্যানিসচ ‘পারসোনাল ইজ পলিটিক্যাল’ কথাটি তুলে ধরেন, যা পরবর্তীকালে নারীবাদের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সমার্থক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
১৯৯০-এর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রে নারীবাদের তৃতীয় ঢেউ জেগে ওঠে, যা দ্বিতীয় তরঙ্গকালীন উদ্যোগ এবং সংগ্রামগুলোর পরবর্তী ধাপ হিসেবে বিবেচিত। তারপরেও কিছু স্বাতন্ত্র্য, যেমন- সেক্সুয়ালিটি, নারীদের হেটেরোসেক্সুয়ালিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এমনকি যৌনতাকে নারীর ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরা ইত্যাদির মাধ্যমে নারীবাদের তৃতীয় ঢেউকে চিহ্নিত করা যায়। নারীবাদের তৃতীয় তরঙ্গ দ্বিতীয় ঢেউয়ের অস্তিত্ববাদী দার্শনিকদের নারীত্বের সংজ্ঞায় ‘মধ্যবিত্ত শ্রেণির সাদা নারীদের অভিজ্ঞতার’ ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বলে মনে করা হয়। তৃতীয় ঢেউ নারীবাদের ‘স্থানীয় রাজনীতি’র ওপর গুরুত্বারোপ করে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের কোনটি নারীদের জন্য ভালো অথবা খারাপ- এ ধরনের প্রশ্নও তোলে এবং জেন্ডার ও সেক্সুয়ালিটির উত্তর-কাঠামোবাদী ব্যাখ্যার পরিসর তৈরি করে। এই পর্বের নারীবাদী নেত্রীরা, যেমন গ্লোরিয়া অ্যায়াল্ডা, বেল হুকস, সেলা স্যান্ডোভাল, চেরি মোগারা, অ্যাড্রে লর্ড, ম্যাক্সিন হং কিংস্টন- যারা দ্বিতীয় ঢেউয়ের নারীবাদী হিসেবে বিশেষ পরিচিত, তারা অন্যান্য নারীবাদীর (সাদা নয়) সঙ্গে একত্র হয়ে নারীবাদের ভেতরে বর্ণবাদ-সম্পর্কিত বিষয় আলোচনার জন্য মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেছিলেন। এ ছাড়া তৃতীয় ঢেউয়ে বিভিন্ন নারীবাদের পার্থক্য, সমাজে নারী এবং পুরুষের ভিন্নতা, জেন্ডার ভূমিকার পার্থক্য- এসব নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। তৃতীয় তরঙ্গের সক্রিয়তার মধ্য থেকে জন্ম নিয়েছে নারীবাদের চতুর্থ ঢেউ, যার অবস্থান নারীকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার, ট্রাফিকিং ইত্যাদির বিরুদ্ধে। তবে এসব বিষয়ের থেকেও এটি কথা বলে নারীর আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা ও অবস্থান নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, প্রকৃতির অংশ হিসেবে নারীকে দেখার অনুশীলন যে ইকো-ফেমিনিজম নামে এক বিশেষ চেতনা হালে গড়ে উঠেছে, সেটিও এর অধিভুক্ত। এটি প্রকৃতি থেকে নারীকে বিচ্ছিন্ন করার পুরুষতান্ত্রিক প্রবণতার বিরুদ্ধে কথা বলে। এর অংশ হিসেবে এই তরঙ্গের নারীবাদীরা কন্ট্রাসেপটিভ, কসমেটিকস, পোশাক ইত্যাদি বিষয়ে সোচ্চার হয়ে থাকেন।
এটা বেশ চমকপ্রদ যে নারীবাদী চিন্তার প্রথম কৃতিত্ব যাকে দেওয়া হয়, তিনি একজন পুরুষ। তিনি বিখ্যাত ব্রিটিশ দার্শনিক, রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ জন স্টুয়ার্ট মিল। মিল দেখতে পান, নারীসংক্রান্ত বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই নারীদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে লিখতে শুরু করেন। ১৮৬১ সালে লিখিত ও ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত ‘দ্য সাবজেকশন অব উইমেন’ শীর্ষক নিবন্ধে নারীদের অধস্তন হিসেবে দেখার বিষয়টিকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করেন তিনি। প্রাচ্যে ও পাশ্চাত্যে এই সংবেদনশীলতা থেকে জন্ম নিয়েছেন বহু তাত্ত্বিক চিন্তাবিদ, লেখক, শিল্পী, সংগঠক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top