skip to Main Content

ছুটিরঘন্টা I ফিরে ফিরে যাই

বহু ব্যয় করে, বহু পথ ঘুরে পাহাড়-সমুদ্র অথবা কিছু না কিছু দেখতে যাই আমরা। সবকিছু দেখে ফেলার লোভে কিছুই না কে না দেখেই কেটে যায় একজীবন। এর মধ্যে কোথাও আবার ফিরে ফিরে যাওয়ার বাসনা জাগে। এমনই এক পাহাড়ি নিসর্গের কোলে প্রত্যাবর্তনের গল্প শোনাচ্ছেন সৌভিক দাস

আমার ত্রিশ বছরের ভবঘুরে জীবনে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশ চষে বেড়িয়েছি।
প্যারিসের মিউজিক অ্যাকাডেমিতে ফরাসি তরুণীর পাশে বসে শুনেছি পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সংগীত, স্কটল্যান্ডের প্রাচীন দুর্গের প্রাচীরে স্পর্শ করেছি শত বছরের শেওলা, লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের নিচে বসে জুড়িয়ে নিয়েছি ক্লান্ত শরীর, গ্রিসের সান্তোরিনি দ্বীপপুঞ্জে খেয়েছি ভিনিগারে ডুবানো কাঁচা মাছ, ব্রাজিলের সমুদ্রসৈকতে দেখেছি স্বল্পবসনা বাদামি ত্বকের নারীদের সৌন্দর্য-সমারোহ।
শ্যাম দেশের রাস্তার খাবার, বার্মার খনিজ ঐশ্বর্য, আফ্রিকার আদিম নাচ, ভারতবর্ষের বিস্মৃত অতীত, ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলে সবিনয়ে দাঁড়িয়ে থাকা নেপালের রাজবাড়ি, ইস্তানবুলের কাবাব- সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করেছে; কিন্তু কোনো দেশেই দ্বিতীয়বার ফিরে যেতে ইচ্ছে করেনি। শুধু একটিমাত্র দেশ আছে, যেখানে ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন আমি প্রায় রাতেই দেখি এবং ফিরে ফিরে যাই। সেই দেশটির নাম ভুটান।
সেই প্রথমবার গিয়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে এই দেশে বারবার ফিরে আসবো। ড্রুক এয়ারলাইনসে অনুরোধ করে প্লেনের জানালার পাশে সিট নিয়েছিলাম। পাহাড়ে ঘেরা পারো শহরের এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার সময়েই বুঝতে পারবেন যে আপনি হিমালয়ের কোলে সারা পৃথিবীর অজান্তে লুকিয়ে থাকা একটা সাম্রাজ্যে প্রবেশ করতে চলেছেন। প্লেন থেকে নেমে নিঃশ্বাস নিলেই অনুভূত হবে এই দেশের বাতাস অন্য দেশের মতো নয়। অনেক হালকা, অনেক স্বস্তির। আগে থেকে ভিসা করে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেতে সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে দশ মিনিট সময় লাগলো হয়তো। লাগেজও পেয়ে গেলাম খুব কম সময়ে। কোথাও কোনো ঝঞ্ঝাট নেই।
আগেই একটা গাড়ি ঠিক করা ছিল। এয়ারপোর্ট থেকে বেরোতেই দেখি আমাদের নাম লেখা একটা বোর্ড নিয়ে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছেন ড্রাইভার-কাম-গাইড মি. রিন-ঝিন। গাড়িতে উঠতেই তিনি বললেন, খিদে পেয়েছে নিশ্চয়ই? চলুন, আপনাদেরকে এই শহরের সবচেয়ে ভালো মোমোর দোকানটায় নিয়ে যাচ্ছি। মোমো মূলত তিব্বতের একটা খাবার। অসাধারণ তার স্বাদ! পথে একটা দোকানে থেমে ইন্টারনেট প্যাকেজসহ একটা লোকাল সিমকার্ড কিনে নিলাম। গুগল ম্যাপ সঙ্গে থাকলে ঘুরে বেড়ানোটা অনেক সহজ হয়ে যায়। নূপুর পরা কিশোরীর মতো কলকল শব্দে বহমান পাহাড়ি নদীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটা আমাদেরকে এয়ারপোর্ট থেকে পারো শহরে পৌঁছে দিল।
ছিমছাম ছোট্ট পাহাড়ি শহর পারো। সারা পৃথিবী একে চেনে প্রায় সাড়ে তিন শ বছর আগে স্থাপিত টাইগার-নেস্ট মনাস্ট্রির জন্য। খাড়া একটা পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা একটা বৌদ্ধবিহার। তিব্বতের বৌদ্ধবিহারগুলোর আদলে তৈরি এই টাইগার-নেস্টকে দেখতে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগ্রহী পর্যটকেরা আসেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার হাঁটা পথ পেরিয়ে পৌঁছবেন পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই বৌদ্ধবিহারে। এই পথের বাঁকে বাঁকে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে অপার সৌন্দর্যময় সব দৃশ্য! কখনো দেখবেন দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ প্রান্তর, মাদকতাময় একটা বুনো গন্ধকে অনুসরণ করতে করতে বাঁক ঘুরলেই দেখবেন নাম-না-জানা পাহাড়ি ফুলের বিছানা।
আরও উপরে উঠে গেলে অ্যাভাটার সিনেমার মতো প্রাচীন একটা জঙ্গল। বিশাল বিশাল বৃক্ষরাজি যেন মহাজাগতিক অভিভাবকের মতো পাহাড়টাকে পাহারা দিয়ে রেখেছে। এরপর পাহাড়ের উপরে কিছুটা সমতল জায়গা পেরিয়ে একটা প্রাচীন গুহা পেরোলেই যখন অনেক উঁচু থেকে নেমে আসা একটা প্রবল ঝর্না চোখে পড়বে, তখন বুঝবেন গন্তব্যের প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। হয়তো দূর থেকে শুনতে পাবেন অপার্থিব অদ্ভুত একটা সুরে প্রাচীন প্রার্থনার ধ্বনি।
কিংবদন্তি রাজত্বের নতুন রাজধানী থিম্পু। পারো থেকে থিম্পু এক ঘণ্টার রাস্তা। ভুটানের রাজধানী। এই শহরটিও একটি পাহাড়ি নদীর ধারে। এখানেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অবাক করা সুন্দর কিছু জায়গা। নদীর কিনারা ধরে হেঁটে একটু এগিয়ে গেলে সাজানো-গোছানো একটা পার্ক। আর একটু এগোলেই সে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম। এরপর আরেকটু সামনে গেলে তীর-ধনুক প্রতিযোগিতার মাঠ আর সব শেষে একদম নদীর কিনারে স্থানীয় বাজার।
এখানকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়টার চূড়ায় বসে শহরটার দিকে স্নেহের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন বিশাল আকৃতির ধ্যানমগ্ন গৌতম বুদ্ধ। বুদ্ধা-পয়েন্ট নামে বিখ্যাত এ পাহাড়ের চূড়া থেকে ছবির মতো শহরটাকে পাখির চোখে দেখে নিয়েছিলাম। দূর দিগন্তের কাছে দেখা যায় ধ্যানস্থ হিমালয়ের তুষারশুভ্র পর্বতমালা। সূর্যাস্তের আলোয় দূরের পাহাড়গুলোকে স্বর্গের খুব কাছাকাছি বলে মনে হয়। ভীষণ মায়াবি লাগে।
থিম্পু থেকে পুনাখা বা আরও উত্তর-পূর্ব দিকে যেতে হলে ইমিগ্রেশন থেকে একটা বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। এই ইমিগ্রেশন অফিসও থিম্পুতেই। সকাল-সকাল আমি সেই অফিসে গিয়ে জানতে পারলাম, ভিসাসহ পাসপোর্টের ফটোকপি নিয়ে আসতে হবে। তখন অনেক সকাল। কোনো দোকান খোলেনি। একটা লাইব্রেরি দেখলাম খোলা রয়েছে। ওদেরকে অনুরোধ করতেই প্রয়োজনীয় ফটোকপি করে দিলেন। টাকা দিতে চাইলে বললেন, অতিথিদের এতটুকু সাহায্য করা তো আমাদের কর্তব্য। টাকা দিতে হবে না।
তৎক্ষণাৎ একটা উপলব্ধি হলো। এই দেশটাকে অন্য সব দেশের চেয়ে এত বেশি ভালো লাগে; কারণ এই দেশের সাধারণ মানুষের ভালো ব্যবহার। কেউ কাউকে ঠকানোর চেষ্টা করছেন না; ট্যুরিস্ট দেখে জিনিসপত্রের দাম বেশি চাইছেন না; এখানকার মানুষ বলে ভ্রু কুঁচকে তাকাচ্ছেন না, বরং মাথা নুইয়ে স্বাগত জানাচ্ছেন। এর জন্যই ভুটান বাকি অন্য সব দেশের চেয়ে আলাদা। এটা ভালো মানুষদের দেশ।
থিম্পু জং, আর্ট-স্কুল, মিউজিয়াম- সবকিছুতে জড়িয়ে আছে ভুটানের রাজকীয় শৈল্পিক নিদর্শন। কেনাকাটার জন্যও থিম্পুতে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী শিল্প উপকরণের সমৃদ্ধ সংগ্রহ!
মেঘের দেশে ১০৮ স্তূপ দেখতে হলে যেতে হবে দচুলা। থিম্পু থেকে উত্তর দিকে আধঘণ্টার পথ পাড়ি দিলে দচুলা পয়েন্টে পৌঁছা যায়। আমাদের গাড়িটা পাহাড় বেয়ে যত উপরের দিকে উঠতে থাকে, উন্মোচিত হতে থাকে একের পর এক অপরূপ দৃশ্য! পাহাড় বেয়ে আরও উপরে উঠে অবাক হয়ে দেখলাম আকাশ থেকে যেন হালকা তুলার মতো মেঘের টুকরো নেমে আসছে। আমাদের ড্রাইভার পেছন ফিরে বিনীত উল্লাসের সঙ্গে জানালেন, আপনারা সৌভাগ্যবান। বছরের প্রথম তুষারপাত শুরু হলো আজ!
বাংলাদেশের সমতল ভূমির মানুষ আমরা; তুষারপাত দেখতে পাওয়া আমাদের কাছে অবাক করা তো বটেই। ড্রাইভারকে অনুরোধ করতেই তিনি রাস্তার এক পাশে গাড়িটা দাঁড় করিয়ে রাখলেন। আমরা ছোট শিশুদের মতোই তুষার নিয়ে খেলা করতে শুরু করলাম।
আগুন নিয়ে খেলা বিপজ্জনক জানি; সেই যুক্তিতে বরফ নিয়ে খেলা নিশ্চয়ই তার বিপরীত কিছু একটা হবে! প্রথমে একটু ঠান্ডা-ঠান্ডা লাগলেও কিছুক্ষণ হুটোপুটি করার পর ঠান্ডা আর টেরই পেলাম না। তবে ক্ষান্ত দিতে হলো। আমাদের যেতে হবে যে। তাই উঠে পড়ি গাড়িতে। গাড়ি আবার চলতে শুরু করে। আর যেতে যেতে পথের দু-ধারে যেসব অভাবনীয় দৃশ্য উন্মোচিত হতে থাকে, তা চিরদিন মনে থাকবে। পাহাড়ের পর পাহাড় শুভ্র তুষারে ঢেকে গেছে। তার উপর এসে পড়েছে সকালের সোনা রোদ! সেই স্বর্গীয় তুষার-শুভ্র পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথের মধ্য দিয়ে আমরা পৌঁছে গেলাম দচুলা পয়েন্টে। মেঘের চেয়ে উঁচুতে অবস্থিত এই স্থান থেকে হিমালয় পর্বতমালা স্পষ্ট দেখা যায়। পায়ের নিচে ভেসে চলেছে ধবধবে সাদা মেঘেদের দল। দচুলা পয়েন্টে অবস্থিত ১০৮ স্তূপ দেখতে অনেকেই এখানে বেড়াতে আসেন। পাহাড়ের উপর এই জায়গাটা এত পছন্দ হয়ে গেল যে আমরা এখানেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। দূরে একটা পাহাড়ে একটা ডাকবাংলোর মতো বাড়ি দেখা যাচ্ছে। বিনা নোটিশে রুম পাওয়া যাবে কি না সেটাই চিন্তার বিষয়। সেখানে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, পুরো ডাকবাংলোটাই খালি! এর বারান্দায় রাখা দূরবীনে চোখ রেখে হিমালয়ে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে সন্ধে নামলো, সেই সঙ্গে হাতের কাছে নেমে এলো নক্ষত্রের রাত্রি।
প্রাচীন রাজধানী পুনাখার স্মৃতিই-বা ভুলি কেমন করে। ভুটানের সবকিছু ভুলে গেলেও পুনাখা মেরি পুনসাম রিসোর্টে বসে উপত্যকার ছোট ছোট বাড়িতে টিম টিম করে জ্বলতে থাকা আলোগুলোর কথা আজীবন মনে থাকবে।
পুনাখা ভুটানের প্রাচীন রাজধানী। স্বচ্ছ নদীর পাশে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল প্রাচীন প্রাসাদ। ওরা বলে জং। এখন অবশ্য বৌদ্ধ আশ্রম। নদীর উপর কাঠের তৈরি একটা সেতু পেরিয়ে সেখানে পৌঁছতে হয়। বহু যুগ আগে তিব্বতে চৈনিক নৃশংস আগ্রাসনের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা ভিক্ষুরা এসব বৌদ্ধবিহার প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিব্বত থেকে শিখে আসা শৈল্পিক অলংকরণে রাঙিয়ে তোলেন। দেয়ালজুড়ে আঁকা বিশাল বিশাল ছবিতে ফুটিয়ে তুললেন বিস্মৃত সব লোকগাথা। সেই সঙ্গে রয়েছে কিংবদন্তিসম শিক্ষকদের কাল্পনিক প্রতিকৃতি। নন্দনতত্ত্বে আগ্রহী চোখ সব কটি বৌদ্ধবিহারের অলংকরণে এবং রঙের ব্যবহারে অসাধারণ সামঞ্জস্য খুঁজে পাবেন।
তবে পুনাখায় সবচেয়ে আশ্চর্য হয়েছিলাম সেখানকার ফার্টিলিটি টেম্পলে গিয়ে। অদ্ভুত জায়গা বটে! আজ থেকে প্রায় পাঁচ শ বছর আগে দ্রুকপা কুনলে নামের একজন প্রখ্যাত যোগী পুরুষ এই মঠ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবছর হাজার হাজার নিঃসন্তান দম্পতি সন্তান লাভের আশায় প্রার্থনা করতে এখানে আসেন। মানবসভ্যতার শুরু থেকেই উর্বরতা ও প্রজননকে ঘিরে নানা মিথ প্রচলিত রয়েছে। এই যোগী পুরুষও ব্যতিক্রম নন। শোনা যায়, তিনি সংগীতের মাধ্যমে বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন। তাঁর উদ্যোগেই তিব্বত থেকে কাঠের তৈরি বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গ নিয়ে এসে এই মঠে স্থাপন করা হয়। এ অঞ্চলের সব অলংকরণ ও নকশায় সেই অতীতের পুনঃপ্রচার পরিলক্ষিত হয়।
বিস্তীর্ণ উপত্যকা ফোবজিকা। এ আরেক অভিজ্ঞতা বটে। শেষবার ভুটানে গিয়ে নতুন এই জায়গার খোঁজ পেলাম। পুনাখা থেকে আরও দুই ঘণ্টার পথ। দীর্ঘ মনে হলেও পুরো রাস্তায় কোনো ক্লান্তি নেই। মৌন মহান হিমালয় দেখতে দেখতে পৌঁছে যাওয়া যায়। বিস্তীর্ণ উপত্যকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট কাঠের বাড়ি। আর উপত্যকার সবুজ প্রান্তরে চরে বেড়ায় পাহাড়ি গাভি ইয়াক।
পথের ধারে ছোট্ট একটা দোকানে পাশের গ্রাম থেকে আসা এক বৃদ্ধা তাঁর নিজ হাতে বোনা উলের চাদর, পাহাড়ি গয়না আর ছোট ছোট পুতুল বিক্রি করেন। তার হাসিমুখ দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
ফোবজিকা উপত্যকায় গিয়ে আমার দৃষ্টি সুপ্রশস্ত হলো। এক পাহাড়ের গায়ে দাঁড়িয়ে বহু দূরের পাহাড়কে অনায়াসে পাহারা দেওয়া যায়।
এই উপত্যকায় দুই পাহাড়ের মাঝখানে কিছু নেই। নেই নেই, কিছু নেই। দৃষ্টি থামিয়ে দেওয়ার জন্য কোথাও কোনো বেয়াড়া বিলবোর্ড দাঁড়িয়ে নেই, পথ আটকে দাঁড়িয়ে নেই দৈত্যাকার অট্টালিকা, নেই নীল আকাশকে ধূসর করে তোলা কালো ধোঁয়া। যানবাহনের শব্দ নেই, মাইকের উৎপাত নেই। কিচ্ছু নেই। শুধু আছে শূন্যতা আর নৈঃশব্দ্য।

লেখক: জাতিসংঘের কর্মকর্তা; নেশা পরিব্রাজন।
Email: showvikbd@gmail.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top