ইভেন্ট I ফেস অব বাংলাদেশ
এশিয়ার শীর্ষ মডেল বাছাই প্ল্যাটফর্ম ‘এশিয়ান মডেল ফেস্টিভ্যাল’-এ যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বড় পরিসরে শুরু হয়েছে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’। ২০১৭ সালে বাংলাদেশে প্রথম এর কার্যক্রম শুরু হয়। এবারের আয়োজনের রেজিস্ট্রেশন শেষ হয় ১৮ মার্চ। আবেদন করেন কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী।
এই আবেদনের ভিত্তিতে শুরু হয় প্রাথমিক বাছাই। বাছাই হওয়া ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে ঢাকায় সিলেকশন পর্ব অনুষ্ঠিত হয় ২০ ও ২১ মার্চ। ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগে সেরা ১২ জন প্রতিযোগী নিয়ে মাসব্যাপী আয়োজন করা হয় গ্রুমিং সেশন। তারপর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরা দুজন ছেলে ও দুজন মেয়েকে বাছাই করা হবে ফেস অব বাংলাদেশ হিসেবে। যাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত এশিয়ান মডেল ফেস্টিভ্যালের ১৩তম আসরে অংশ নেবেন।
এ বিষয়ে ক্রসওয়াক কমিউনিকেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফ বলেন, ‘বর্তমানে আমরা সবাই গ্লোবাল সিটিজেন। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের তুলে ধরা অনেক জরুরি। ফেস অব বাংলাদেশ এমনই এক আয়োজন। আগে মডেলিং ছিল শখ, এখন পেশা। তাই প্রস্তুতিটাও বেশি।
পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে কয়েকটি ধাপে। প্রথম ধাপে একটি সিলেকশনের মাধ্যমে ৩০ জন মেয়ে ও ৩০ জন ছেলে নির্বাচিত হন। এরপর ১২ জন করে মোট ২৪ জন পার্টিসিপেন্ট সিলেক্ট হওয়ার পর তাঁদের নিয়ে পরে একটি গ্রুমিংয়ের আয়োজন করা হয়। ২৩ এপ্রিল হোটেল লা মেরিডিয়ানে অনুষ্ঠিত হবে একটি গালা ইভেন্ট। সেখান থেকে দুজন মেয়ে এবং দুজন ছেলেকে নির্বাচন করা হবে। ১৩ মে তাঁরা কোরিয়ায় চলে যাবেন।’
বাছাই পর্বে বিচারকেরা চারটি প্যানেলে বিচারকাজ পরিচালনা করেন। যেখানে দেখা হয় লুক অ্যান্ড ফিটনেস, ফটোজেনিসিটি, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও ইন্টেলিজেন্সি। এ বিষয়ে পারসোনার ডিরেক্টর ও ক্যানভাস ম্যাগাজিনের অ্যাসোসিয়েট এডিটর হোসনে নুজহাত বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের মডেলিং ইন্ডাস্ট্রিকে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে।
পাশাপাশি মডেলরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ পাবেন। এর আগেও আমরা দেখেছি, ট্যালেন্ট হান্ট শো থেকে আসা মডেলরা বেশ ভালো কাজ করেছেন। ফেস অব বাংলাদেশের মতো আয়োজন বেশি বেশি হওয়া উচিত। কেননা এগুলো আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আরও বেশি প্রস্তুত করে তোলে।’
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে এ নিয়ে উৎসাহের কমতি ছিল না। প্রতিযোগী মডেল জিনিয়া জিনি বলেন, ‘এখানে আসার স্বপ্ন তো একটাই—যদি কিছু একটা হতে পারি আরকি। ছোটবেলা থেকেই এ ধরনের স্বপ্ন ছিল। বাবা-মা আমাকে ছোটবেলা থেকেই নাচ, গান করাতেন এবং থিয়েটারে নিয়ে যেতেন। এখন আমি মডেলিংকেই প্রফেশন হিসেবে দেখতে চাই। সিলেক্ট না হলে মন তো একটু খারাপ হতেই পারে। তবে ভাগ্যে যা আছে তাকে তো মেনেই নিতে হবে।’
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী আরেক মডেল চয়ন সরকার বলেন, ‘লক্ষ্য হচ্ছে আমার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। ছোটবেলা থেকেই আমি নান্দনিক হতে চেয়েছি। মডেলিং ভালোবাসি। বিচারকদের যদি মনে হয়, আমি সিলেক্ট হওয়ার যোগ্য, তাহলে হয়তো সুযোগ পাব। তখন আমি ভালো কিছু করার চেষ্টা অবশ্যই করব। মনে হয় আমি সিলেক্ট হতে পারব। অংশ নিতে পারব কোরিয়ায়।’