বুলেটিন
জি-বিউটির জনপ্রিয়তা
কোরিয়ান কে-বিউটি আর জাপানিজ জে-বিউটির পর জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জি-বিউটি অর্থাৎ জার্মান বিউটি ট্রেন্ড। যেখানে কোরিয়ান বিউটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিউটি বাম আর জেলি ক্লিনজারের ওপর, জাপানিজ বিউটি কাজ করে সনাতন সব জাপানিজ নির্যাস আর উপাদানের উপকারিতার আধুনিকায়নে। আর জার্মান বিউটির পুরোটাই ক্লিন বিউটিনির্ভর। অর্থাৎ সোজাসাপটা অর্গানিক উপাদানে তৈরি সব সৌন্দর্যপণ্য। জার্মান বিউটি ট্রেন্ডে মূলত ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়। যাতে থাকে না টক্সিনের ছিটেফোঁটা। ব্যবহৃত হয় বায়োডায়নামিক ফার্ম থেকে নেওয়া উপাদান। হাই এন্ড ল্যাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চলে উৎপাদনপ্রক্রিয়া। অর্থাৎ বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে, ক্লিন ফর্মুলায় তৈরি হয় এমন সব পণ্য, যা ত্বকযত্নে দারুণ ফলপ্রসূ। স্কিন ফুড ময়শ্চারাইজার, ব্রাইটেনিং সেরাম থেকে কাস্টম ব্লেন্ড ক্রিম— তৈরি হয় সবই। ফলে ওয়েলেদা, ব্লুমার্কিউরির মতো জার্মান ব্র্যান্ডগুলো এখন সৌন্দর্যবিশ্বের বাঘা বাঘা ব্র্যান্ডকে টক্কর দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
বিবার বিউটি
জাস্টিন বিবার আর হেইলি বিবার। দুজনই নিজস্ব জগতের উজ্জ্বল তারকা। একজন গানে মাতিয়েছেন পুরো বিশ্ব, আরেকজন বিখ্যাত সুপার মডেল। সম্প্রতি বিয়ের পাট চুকিয়েছেন তাঁরা। ঘোষণা দিয়ে নামও পরিবর্তন করেছেন হেইলি, হয়েছেন বিবার। সঙ্গে খবর চাউর হয়েছে নিজস্ব কসমেটিকস লাইনও চালু করতে যাচ্ছেন হেইলি। মাসখানেক আগে তার টিম ‘বিবার বিউটি’র ট্রেডমার্কের জন্য কাগজ জমা দিয়েছে। সৌন্দর্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবারই প্রথম নয় এই র্যাম্প সুন্দরীর। এর আগে কাজ করেছেন বেয়ার মিনারেলস আর ল’রিয়েল প্রফেশনালের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। তবে নিজস্ব কসমেটিক লাইন খোলার পরিকল্পনাটা এবারই প্রথম।
ফেনটি স্কিন
ফেনটি বিউটির বিপুল জনপ্রিয়তার পরপরই রিহানা ‘হাউজ অব ফেনটি’র ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করেন। যাতে ছিল স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টেরও একটি রেঞ্জ। প্রায় দু বছর পর ২০১৯-এ মিলেছে ‘ফেনটি স্কিন’-এর ছাড়পত্র। ইউনাইটেড স্টেট প্যাটেন্ট এবং ট্রেডমার্ক অফিসে তালিকাভুক্ত হয়েছে ব্র্যান্ডটির সম্ভাব্য লোগো আর পণ্যতালিকা। যাতে আছে সাবান, বডি কেয়ার এবং পার্সোনাল কেয়ার প্রোডাক্টের লম্বা লিস্ট। মেডিকেটেড এবং নন-মেডিকেটেড— দুই উপায়েই তৈরি হবে এগুলো। থাকবে বিউটি টুল, কিট আর অ্যাপ্লিকেটরও। তবে কবে থেকে বাজারে মিলবে পণ্যগুলো, তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে।