ই-শপ I ইমবিউ
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যাপক প্রসারের পর মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। শপিং থেকে শুরু করে অনেক কাজই হচ্ছে অনলাইনে। তবে এর একটা খারাপ দিকও আছে। বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টের পসরা সাজিয়ে রাখা হাজারো অনলাইন পেজ কিংবা ওয়েবসাইটের মধ্যে এমন পেজও আছে, যেখানে আসল কিংবা যথাযথ পণ্য পাওয়া যায় না। অন্যদিকে, স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টের বিশুদ্ধতা আর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় থেকে যায়।
এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য হতে পারে এমনই একটি ই-শপ ইমবিউ। শুধু স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট নিয়ে বিশেষায়িত এই ই-শপে রয়েছে সব ধরনের ত্বকের যত্নের যাবতীয় পণ্য। বিশেষায়িত এই জন্য যে এর তালিকায় শুধু স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টই রয়েছে, অন্য কোনো সৌন্দর্যপণ্য নেই। কোরিয়ান এসব প্রোডাক্ট খুব সহজে মানিয়ে যায় যেকোনো ধরনের ত্বকের সঙ্গে। এখনকার ব্যস্ত সময়ে ত্বকের যত্নে খুব বেশি একটা সময় দেওয়া সম্ভব নয় কারও পক্ষে। তাই গ্রাহকেরা এমন কিছু খুঁজে থাকেন, যা থেকে আমাদের ত্বক পুষ্টি পাবে আর থাকবে প্রাণবন্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। সে রকম প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে ইমবিউতে। এমনকি দিন ও রাতের ত্বকের যত্নের জন্যও মিলবে আলাদা প্রোডাক্ট।
ইমবিউর যাত্রা শুরু হয় চট্টগ্রাম থেকে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে শোরুমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলেও দেশের সব প্রান্তে নিজেদের প্রোডাক্ট পৌঁছে দিতে পরবর্তীকালে ফেসবুকে পেজ খোলা হয়। বর্তমানে ঢাকাতেও তাদের দুটি শোরুম রয়েছে গুলশান আর পিঙ্ক সিটিতে। এর ফেসবুক পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/imbuebd/ এবং ওয়েবসাইট লিঙ্ক: http://imbuebd.com/
ইমবিউর তালিকায় রয়েছে সারা দিনের জন্য ত্বকের যত্নের যাবতীয় পণ্য। গ্লোয়িং এসেন্স আর ফেশিয়াল ফোমের মতো প্রোডাক্টের দাম পড়বে ১৮০০ থেকে ২৪০০ টাকার। ‘স্টে সানি’ নামে ইমবিউর সানব্লকটা খুবই লাইট ওয়েট হলেও প্রখর রোদ থেকে ত্বকের সুরক্ষা করবে। দাম ২০০০ টাকা। গ্রিন টির নির্যাস থেকে তৈরি ফোমিং ওয়াশ স্কিনের সতেজ ভাব ধরে রাখবে এবং মুখ ধোয়ার পরবর্তী শুষ্কতা থেকে রক্ষা করবে। দাম ১০৫০ টাকা। মুখত্বকে বয়সের ছাপ পড়া থেকে রক্ষা করবে ‘এইজ রিওয়াইন্ডিং ইমালশন’। দাম ২৪০০ টাকা। এর স্পা প্যাকের দাম ২০০০ টাকা। রাতে ত্বকের যত্নের জন্য নাইট ক্রিম মিলছে ২৩০০ টাকায়। এ ছাড়া কিছু প্যাকেজ রয়েছে যেগুলোর দাম ৪০০০ থেকে শুরু করে ১০৫০০ টাকা। এগুলোতে ‘ডে কিট’ আর ‘নাইট কিট’ নামে দুটো আলাদা প্যাকেজ আছে, যা দিনে ও রাতে আলাদাভাবে ব্যবহারের জন্য। ইমবিউর কোন প্রোডাক্টে কী উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, সেই বিবরণ পাওয়া যায় ওয়েবসাইটে। তাই কোনো উপাদানে অ্যালার্জি বা ত্বকের অন্য কোনো সমস্যা থাকলে আগেই বুঝতে পারা যায় কোনটা ব্যবহার করা যাবে আর কোনটা নয়। শুধু উপাদান নয়, ব্যবহার প্রণালিও ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়।
ইমবিউ বাংলাদেশের আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং এখানকার মানুষের ত্বকের গঠন অনুযায়ী স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট তৈরি করে। ‘মানুষের ত্বকে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনা, বাজারের অন্যান্য প্রোডাক্টের বিকল্প হিসেবে স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি প্রোডাক্ট মানুষের হাতে তুলে দেওয়া এবং সুন্দর ত্বকের মাধ্যমে মানুষকে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তোলাই ইমবিউর উদ্দেশ্য।’ বলেন ইমবিউর কর্ণধার মিলাদ আহমেদ খান। তার মতে, শরীরের অন্যান্য অর্গানের তুলনায় ত্বকের সুস্থতার প্রয়োজনীয়তা কোনো অংশে কম নয়।
ছবি: ইমবিউ