skip to Main Content

ই-শপ I মিস কিকি

হালের নতুন চল ডিজাইনার জুতা। চামড়ার তৈরি একই ধরনের জুতার প্রচলন থেকে বেরিয়ে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে তৈরি করা ব্যতিক্রম সব জুতার কালেকশন নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ই-শপ মিস কিকি।
‘সুন্দর জুতায় ব্যক্তিত্বের ছাপ’ বার্তা নিয়ে এই বছরের মাঝামাঝি যাত্রা শুরু করে মিস কিকি। দেখা যায়, আমাদের দেশে জুতার নির্দিষ্ট কোনো ধাঁচ নেই। নানান ধরনের জুতার সমাহার থেকে সময় বা ঋতু অনুযায়ী আমরা বেছে নিই মানানসই ফুটওয়্যার। কিন্তু জুতার কালেকশন বাড়ানোর যে ঝোঁক মেয়েদের থাকে, তা শুধু এসব দিয়ে পরিপূর্ণ করা সম্ভব নয়। তাই অনেকেই বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জুতা আনিয়ে নেয়। এই প্রক্রিয়া যেমন ঝামেলার তেমনি সময়সাপেক্ষ। এমনকি কোনো উৎসব যেমন ঈদ, বৈশাখ কিংবা বিয়েতে পরার মতো জুতা পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কেনার জন্য ঘুরতে হয় শখানেক দোকান। এ সবকিছু ভেবেই নিজের সৃজনশীলতায় স্টাইলিশ ও আকর্ষণীয় জুতা তৈরি উদ্যোগ নেন মিস কিকির কর্ণধার। নিজের ভালো লাগাকে কাজে লাগিয়ে দেশের ঐতিহ্য কিংবা পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন কিছু জুতার কালেকশন মানুষের সামনে নিয়ে আসাই এর উদ্দেশ্য।
পায়ের ধরন অনুযায়ী পরলে মানায় এমন অনেক জুতা পাওয়া যাবে এই পেজে। কারণ, এই ই-শপে আলাদা চার ধরনের জুতা রয়েছে—ফ্ল্যাট, মিউল, স্লাইড আর লোফার। শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমনভাবেই ডিজাইন করা হয় সব জুতা। বিদেশ থেকে কিছু নিয়ে আসেন তারা, সেসবের ক্ষেত্রেও একই ধাঁচ বজায় রাখেন। উদ্যোক্তার ইচ্ছা, এই দেশে এমন একটা জুতার ব্র্যান্ড তৈরি করা, যেটা আমাদের নিজস্ব সৃষ্টি হিসেবে এখানকার সংস্কৃতিতে মিশে থাকবে।
ডিজাইনার জুতাগুলোর দাম ২ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৯৯০ টাকা পর্যন্ত। সব জুতাই হ্যান্ডক্রাফটেড এবং ফাইন লেদার দিয়ে তৈরি। এগুলো খুবই হালকা আর টেকসই। কারণ, এতে ডাবল প্যাড ব্যবহার করা হয়। লেইস, কারচুপি কিংবা বিভিন্ন রকমের পুঁতি আর সুতার কাজ করে ক্ল্যাসিক লুকের জুতা তৈরি করা হয়। দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে এগুলো তৈরি করা হয়। শিগগিরই মিস কিকি নতুন কিছু জুতার রেঞ্জ আনছে, যার দাম শুরু হবে ২০০০ টাকা থেকে। খুব স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া এই ই-শপের ফেসবুক পেজ লিঙ্ক: https://www.facebook.com/msKiKibd/ এবং ইনস্টাগ্রাম আইডি mskikibd।
এই পেজের বয়স মাস তিনেক। ইতিমধ্যেই পেজটির কালেকশন আকর্ষণ করছে ফ্যাশনেবল মেয়েদের। তবে মিস কিকির কর্ণধার বলেন, ‘অর্জনের স্বাদ এখনো পাইনি, পাওয়ার সময়ও হয়নি হয়তো। কাজ করে যাচ্ছি। তবে একজন কাস্টমার জুতা হাতে পাওয়ার পর যখন তার চেহারায় সন্তুষ্টির একটা হাসি দেখতে পাই, বা পেজের ইনবক্সে একটা ভালো রিভিউ পাই, তখন সেটাই অনেক বড় অর্জন মনে হয়। আর আমি ম্যান্ডি হ্যালের একটা উক্তি সব সময় মেনে চলি, ‘There is nothing more beautiful than someone who goes out of their way to make life beautiful for others..’ তাই ভালো মানের কিছু জুতা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছা হয়তো আরও বড় পরিসর নিয়ে আসার উৎসাহ জোগাবে। বিনিয়োগকারী পেলেই তারা তাদের সৃজনশীলতা নিয়ে এগিয়ে যাবেন আরও অনেক দূর।

 শিরীন অন্যা
ছবি: ক্যানভাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back To Top