ব্লগার’স ডায়েরি I অ্যাট ওয়ার্ক
ড্রেস কোড বা পোশাকরীতি চাকরিজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন গত কয়েক দশকে করপোরেট পরিধেয় বেশ লক্ষণীয় হয়ে উঠেছে, যা একটি বিশাল বাজারের প্রতিনিধিত্ব করে। দি আমব্রেলা অব করপোরেট ওয়্যার খুব প্রসারমাণ এবং এতে রয়েছে বেশ কিছু আলাদা বিষয়। সাধারণত কাজের ধরন অনুযায়ী ড্রেস কোড নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে সবার জন্য প্রযোজ্য ট্রাউজার ও শার্ট। তবে এই অতিসাধারণ পোশাকের মধ্যেও রয়েছে ভিন্নতা। রঙচঙে কিংবা অতিরিক্ত নকশার হলে তা করপোরেট বা অফিশিয়াল নয়। ক্যাজুয়াল পোশাক। এসব কারণেই করপোরেট সেক্টরের জন্য আলাদা ড্রেস কোড রয়েছে।
আবার বিশেষ রকমের শ্রমব্যবস্থার জন্য রয়েছে বিশেষ পোশাক। যেমন প্রতিরক্ষামূলক পেশার জন্য তৈরি হয় বিশেষ পোশাক; এগুলো অ্যাসিড, আগুন, বুলেট, তাপ এবং রাসায়নিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
অফিসের পোশাক সাধারণত ব্যক্তিগত ফ্যাশনের বাইরে। এখানে করপোরেট অফিশিয়াল ড্রেস কোড মেনে নিজের ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ স্টেটমেন্ট তৈরি করা হয়। এ ক্ষেত্রে বর্তমান ট্রেন্ড হচ্ছে হালকা রঙের প্যাটার্নের পোশাক। বলা হয় এ ধরনের রঙ পেশাদারত্বের পরিচয়। এখানে ফ্যাশন হতে হবে সিম্পল কিন্তু স্মার্ট। তাতেই আত্মবিশ্বাসী দেখাবে। কিন্তু কিছু পোশাকে সাধারণভাবেই করপোরেট লুক ফুটে ওঠে। যেমন সাদা, কালো বা অন্য সলিড কালারের শার্ট কিংবা প্যান্ট। তা ছাড়া যেকোনো রকমের চেক শার্ট এবং সলিড কালার প্যান্ট করপোরেট লুক পুল অফ করতে সহায়তা করে।
অনেকে বলেন, যেকোনো ইন্টারভিউতে সার্টিফিকেট থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় অ্যাপিয়ারেন্সে। কেননা একটি মানুষের অ্যাপিয়ারেন্সে প্রকাশ পায় তার স্বভাব ও যোগ্যতা। শুধু পোশাক নয়, বরং অ্যাটিটিউড এবং আচরণেও তা ধরা পড়ে। এবং একটি সঠিক করপোরেট লুকের জন্য অবশ্যই মার্জিত এবং অফিশিয়াল পোশাক অত্যন্ত জরুরি।
যদি কমপ্লিট স্যুটের কথা বলা হয়, তবে প্যান্ট এবং ব্লেজার আলাদা রঙের হলে চলবে না। অবশ্যই ব্লেজার ও প্যান্ট হতে হবে একই রঙের এবং শার্ট হতে হবে সলিড কালারের। তবেই একটি সত্যিকারের রেসপোক ক্ল্যাসিক লুক পাওয়া যাবে। জরুরি এবং লক্ষণীয় বিষয় হলো, করপোরেট সেক্টরে ফ্যাশনেবল হওয়ার একটি উপায় প্রোপার টাকইন শার্ট। অর্থাৎ মার্জিত এবং ফ্যাশনেবল হওয়ার এটা সহজ উপায়।
ফেসবুক: Alfahadbari123
ইউটিউব: alfahadbari
আলফাহাদ বারী
ছবি: লেখক