বাইট
শেরাটনে অতিথি শেফ
ফোর পয়েন্ট বাই শেরাটনে অতিথি শেফ হয়ে এসেছেন ইন্দোনেশিয়ার শেফ আন্টো ডিমান্টো। তিনি জাপানি কুজিন এবং টপ্পানাকির রন্ধনশৈলীতে দক্ষ। নগরবাসীর জন্য এখানে জাপানি ও ইন্দোনেশিয়ান কুজিনের বিশেষ কিছু পদ পরিবেশন করবেন।
বিশ্বের বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তার। গোল্ডেন বুধা মামোয়া, ইউএসএ, লিট টি লে অব টোকিওসহ বিশ্বখ্যাত আরও অনেক রেস্তোরাঁয় কাজ করেছেন।
বাবার কাছেই রন্ধনশিল্পের হাতেখড়ি হয় আন্টোর। ছোটবেলাতেই শিখে নেন গ্রিলিং ও স্মোকিং মিটস রেসিপি। পনেরো বছর বয়সে তার পরিবারের জন্য রিডাং সস দিয়ে আইডোনসিয়ান গরুর মাংসের স্টিউ নিয়ে পরীক্ষা করার সময় তিনি রন্ধনশিল্পের প্রতি তার আগ্রহ লক্ষ করেছিলেন। এর পরপরই তিনি রান্নার স্কুলে ভর্তি হন এবং বড় বড় রেস্তোরাঁ থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
বনানীতে অথেনটিক কাবাব
রাজধানীর বনানীতে অথেনটিক কাবাব এক্সপ্রেস। কাবাবপ্রেমীদের জন্য। নতুন এ রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাবে চিকেন, বিফ ও মাছের ৩২ পদের কাবাব। আরও পাওয়া যাবে ভেজিটেবল, স্যালাড, জুস, বেভারেজ ও চা-কফি। ৬ সেপ্টেম্বর অথেনটিক কাবাব এক্সপ্রেস উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্যান্ড চিরকুটের শারমিন সুলতানা সুমি। অথেনটিক কাবাব এক্সপ্রেসে রয়েছে লাইভ কিচেন দেখার সুযোগ। এ ছাড়া আছে বাচ্চাদের জন্য খেলার জায়গা, ভিআইপি রুম, খোলা আকাশের নিচে বসার ব্যবস্থা। আছে পুরো ফ্যামিলি নিয়ে বসার জন্য লাক্সারি ফ্যামিলি টেবিল। ঠিকানা: বাড়ি ১১৫, রোড নং ১৩, ব্লক ই।
খাদ্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব
২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবস। দিনটি সামনে রেখে প্রথমবারের মতো ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট আয়োজন করে বাংলাদেশ রিজিওনাল ফুড অ্যান্ড কালচারাল ফেস্টিভ্যালের। ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে এই আয়োজন। সপ্তাহে তিন দিন করে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন স্বাদের খাবারের আয়োজন করা হয়।
এবার স্থান পেল বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক স্বাদের মুখরোচক খাবার। দেশের একেকটি অঞ্চলের খাবার একেকটি কারণে জনপ্রিয় আর এই খাবারগুলো একসঙ্গে এক ছাদের নিচে খুঁজে পাওয়াও একটি দুরূহ ব্যাপার। যেমন চট্টগ্রামের কালাভুনার আসল মজা পেতে হলে সেখানেই যেতে হবে; কিন্তু ঢাকা রিজেন্সির এবারের আয়োজন কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে। সিলেটের সাতকরা, খুলনার চুইঝাল, বরিশালের ইলিশে সাজানো নানা খাবারের বিশাল আয়োজন ছিল মাসজুড়ে। প্রথম তিন দিনের আয়োজনে ছিল ঢাকাইয়া মানে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিখ্যাত সব খাবার। এর পরের সপ্তাহের তিন দিন ছিল সিলেট ও চট্টগ্রামের আরও কিছু মজাদার পদ। এরপরের আয়োজন খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও রাজশাহী অঞ্চলের আহার্য নিয়ে। শেষ সপ্তাহে ছিল পুরো বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার।