গোলটেবিল I যাপনের এপিঠ-ওপিঠ
পরিবার তৈরির উদ্দেশ্যে একজন মানব, একজন মানবীর একসঙ্গে বসবাসের সামাজিক ও আইনি স্বীকৃতিই হচ্ছে বিয়ে। অঞ্চলভেদে বিয়ের রীতিনীতির পার্থক্য রয়েছে। মধুর এই সম্পর্কের ওপিঠ হচ্ছে বিচ্ছেদ। বর্তমানে তা ঘটছে অহরহ। সমাজবিজ্ঞানী থেকে শুরু করে একজন সুনাগরিক- সবাইকে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকে এ থেকে পরিত্রাণের পথও খুঁজছেন। সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান।
এমন একটি প্রতিষ্ঠান লাইফ হ্যাপেন্স সাপোর্ট সেন্টার (www.lifehappensbd.com)। এটি প্রধানত বিয়ে এবং ডিভোর্স-সংক্রান্ত লিগ্যাল সাপোর্ট এবং প্রয়োজনভেদে কাউন্সেলিং ও সেলফ ডেভেলপমেন্টে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। লাইফ হ্যাপেন্সের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিষ্টার মাহজাবিন ফাতিমা ওমর এবং তার অপর দুই সহকর্মী হুমায়রা ফাতেমা হামীম ও মমতাজ ফারুকী চৌধুরী এবং তিনজন পেশাদার ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট- সালমা পারভীন, ইশরাত শারমিন রহমান ও জোবেদা খাতুনকে নিয়ে ক্যানভাস আয়োজন করে এক গোলটেবিল বৈঠকের। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক গ্রে ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন
গাউসুল আলম শাওন: আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় প্রি অ্যান্ড পোস্ট ম্যারেজ কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা। পাশাপাশি বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের বিভিন্ন বিষয়ে আজ কথা বলব। তবে আমার মনে হয় বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়টিই বেশি প্রাধান্য পাবে। বর্তমানে এর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আবার এর মানে এই নয় যে অসুখী মানুষের সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিছু কিছু হাইপোথিসিস থেকে আমার মনে হয় বর্তমানে মেয়েরা বলতে শিখেছে। ফলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ চাপের মুখে পড়ে যাচ্ছে। হতে পারে এটিও একটি কারণ। আপনাদের কাছে জানতে চাই, এত ভাঙনের শব্দ কেন?
মমতাজ ফারুকী চৌধুরী, ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট, লাইফ হ্যাপেন্স: যেকোনো ভাঙনের শব্দ বাড়ার অর্থই কোথাও না কোথাও আমরা সম্পর্কের মূল ভিত্তিগুলো উপেক্ষা করছি। সম্পর্ক হচ্ছে সভ্যতা ও সমাজের সবচেয়ে টেকসই কাঠামো। আমাদের প্রথমেই বুঝতে হবে সম্পর্কের নৈতিক ভিত্তি এবং এর প্রয়োজনীয়তা। সম্পর্ক গঠনের প্রথম ধাপ হচ্ছে এর মৌলিক নিয়মগুলো জানা; একে অপরকে সময় দেওয়া, সম্মান করা ইত্যাদি। এই নিয়মগুলো মানা এবং সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক এবং নিজের ইচ্ছাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল অনুজেরাও তাদের ইচ্ছার গুরুত্ব বুঝতে শিখেছে। আরেকভাবে বললে এখন মা-বাবারা সন্তানদের ইচ্ছাকেও প্রাধান্য দেন। সুতরাং পরস্পরের ইচ্ছা বুঝতে পারা এবং তাকে মূল্য দেওয়াটাও হচ্ছে সম্পর্কের মূল ভিত্তি। এই চর্চাটাই আমাদের এমপ্যাথিকে সমৃদ্ধ করে। মানুষের সংবেদনশীলতা ও সহমর্মিতা আমরা শিশুকাল থেকে পরিবার ও পারিপার্শ্বিকতা থেকে পেয়ে থাকি। ধারণ ও লালন করি। এর ন্যূনতম বিচ্যুতি মানেই সম্পর্কের টানাপোড়েন।
গাউসুল আলম শাওন: প্রথম প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মনে হয়, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পেয়ে গেছি, তা হচ্ছে মানুষ সংবেদনশীল। সে জন্য সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু নিয়েই নতুনভাবে ভাবতে হচ্ছে। বিয়ে নিয়েও কি নতুনভাবে ভাবতে হবে? তখন কি এই ভাঙন কমে আসতে পারে? হুমায়রা ফাতেমা, আপনার কী মনে হয়।
হুমায়রা ফাতেমা হামীম, কাউন্সেলর, লাইফ হ্যাপেন্স: বিবাহবিচ্ছেদের কথা এলে সবাই বলে যে, আগে এত বিচ্ছেদ ছিল না। সে সময় মেয়েদের সহ্যক্ষমতা অন্য রকম ছিল। মেয়েদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। এখন মেয়েদের আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নেয়। পরিবারও তাদের সাহায্য করে। বিচ্ছেদের পর আগের মতো মেয়েরা এখন অসহায় নয়। তারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে শিখেছে। তাই আমাদের উচিত বিয়ের যে প্রথাগত ধারণা, ইতিবাচকভাবে সেখান থেকে সরে আসা।
বর্তমানে অনেকেই নিজেদের পার্টনার খুঁজে নিচ্ছে। তারপরও বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। তাহলে এখন আমাদের উচিত আরও সামনে ভাবা। বর্তমানে সবাই অনেক বেশি ব্যস্ত, সুতরাং এখন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেখাতে হবে, কীভাবে তারা তাদের সম্পর্ক তৈরি করবে। বিশেষভাবে বিয়ের ক্ষেত্রে। এতে অনেক বিষয় প্রাধান্য পেতে পারে। যেমন- আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ভালোবাসার ভাষা বদলে গেছে। এখন ভালোবাসা যতটা না আবেগতাড়িত, তার চেয়ে বেশি বাস্তবনিষ্ঠ। এ সময়ে কাপল বা দম্পতিদের মধ্যে একটি টার্ম অনেক বেশি জনপ্রিয়; তা হচ্ছে কোয়ালিটি টাইম। এ নিয়ে পরস্পরের মাঝে অভিযোগও অনেক। কোয়ালিটি টাইমের ধারণাটি ব্যক্তিবিশেষে আলাদা। মূলত যে যখন তার পছন্দমতো যা করতে ভালোবাসে, তার কাছে সেটাই কোয়ালিটি টাইম। এর বাইরেও আছে শারীরিক সম্পর্কের ধারণা। সব মিলিয়ে দেখা যায়, ব্যক্তির ইচ্ছাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়ায় বিচ্ছেদ বেড়েছে। এই জায়গাগুলোতেই প্রি-ম্যারেজ কাউন্সেলিং খুব প্রয়োজন। কাউন্সেলর তাকে ব্যক্তিগত ইচ্ছার সীমা বুঝিয়ে দিতে সহায়তা করে, এতে একে অপরের প্রতি ছাড় দেওয়ার ইচ্ছা বাড়ে। একসঙ্গে পরিবারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য দিতে হবে।
গাউসুল আলম শাওন: বর্তমানে বন্ধুবান্ধব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ক্যারিয়ার, কর্মক্ষেত্র- সব মিলিয়ে আমরা ব্যস্ত থাকি। আমাদের পারিবারিক জীবনের জন্য স্পেস কমে গেছে। সম্পর্ক বা সঙ্গীর প্রয়োজন এখন অনেক সীমাবদ্ধ। উন্নত দেশগুলোতে এখনো সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে সবারই আগ্রহ কম। সেখানে পরিবার, সন্তান পালনকে অনেকেই ঝামেলা মনে করছেন। এসব পারিপার্শ্বিকতায় কি আমরা বলতে পারি, বিয়ের যে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ, তা পুরোনো হয়ে গেছে?
সালমা পারভীন, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট এবং খন্ডকালীন শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিয়ের প্রথা পুরোনো হয়ে যাচ্ছে কি না, তা সরাসরি বলা একটু কঠিন। তবে বিয়ে করা না-করাটা এখন ব্যক্তির ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে। বর্তমান জেনারেশনের দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে, তারা বিয়েতে আগ্রহী নয়। এর পেছনে কারণও রয়েছে। সঙ্গীর প্রয়োজনীয়তা নানা দিকে থেকে কমে এসেছে। সুতরাং তারা বিয়ের মতো একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে অনিচ্ছুক। এমনকি বিয়ের ধারণা আত্মস্থ করতে তাদের বেশ সময় লেগে যাচ্ছে। আমাদের দেশের মা-বাবারা একটি ভুল বহু আগে থেকে করে আসছে এবং এখনো করে। তারা সন্তানদের মধ্যে বিয়ের বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা দিতে গিয়ে তাদের ফ্যান্টাসি ওয়ার্ল্ডে নিয়ে যায়। যেখানে বোঝানো হয় বিবাহিত জীবন মানেই হানিমুন পিরিয়ড। কিন্তু বাস্তবতা তো ভিন্ন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিয়ে হচ্ছে বোঝাপড়া। একে অপরকে স্পেস দেওয়া। বিয়ের প্রচলিত ধারণায় অনেকে ভাবে, বিয়ের পরের জীবন হচ্ছে দুই শরীর এক আত্মা। এমন কথা শুনে অনেকেই দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ে। তারা মনে করে, বিয়ের পর নিজের বলে আর কিছু থাকবে না। মেয়েদের ক্ষেত্রেই এমনটা বেশি হয়। আমি বলতে চাই, বিবাহপ্রথা পুরোনো হয়নি, তবে বিবাহের প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। এখন বিয়ে মানে এমন একটি সম্পর্ক, যেটি বাস্তবসম্মত, ফ্যান্টাসি নয়।
গাউসুল আলম শাওন: বৈবাহিক সম্পর্ক বাস্তবসম্মত করার উপায় কী। হাজার বছরের প্রচলিত ধারণা নিশ্চয়ই এক রাতের মধ্যে পাল্টে যাবে না। জোবেদা খাতুন, আপনার কাছে জানতে চাই বিষয়টি নিয়ে।
জোবেদা খাতুন, সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বিবাহোত্তর জীবনে সম্পর্কগুলো বাস্তবসম্মত না হওয়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী আমাদের পরিবার। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ছোটবেলা থেকেই একটি ছেলে ও মেয়ের মাঝে পার্থক্য তৈরি করে দেওয়া হয়। যেখান থেকে ধারণা জন্মে, বিয়ের পর রান্নাঘরের কাজ শুধুই মেয়েদের, সেখানে পুরুষের প্রবেশ নিষেধ। বর্তমান সমাজব্যবস্থায় এ ধরনের সব নিয়ম অচল। সবাইকে সবকিছু করতে হয়। যেটাকে আমরা বলি কমন গ্রাউন্ড। এই কমন গ্রাউন্ডে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে ছাড় দিতে হবে। সাহায্য করতে হবে। অনুপ্রেরণা জোগাতে হবে। সাহস দিতে হবে। যেখান থেকে বাস্তবসম্মত সম্পর্কের পাশাপাশি বাস্তবসম্মত ভালোবাসাও জন্ম নেবে।
গাউসুল আলম শাওন: এবার একটু টিপিক্যাল প্রশ্নে যেতে চাই। কোন ধরনের বিয়েতে বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটে- অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ, নাকি লাভ ম্যারেজ? ইশরাত শারমিন, আপনার অভিজ্ঞতা যদি আমাদের বলেন।
ইশরাত শারমিন রহমান, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট, ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার: অনেকেরই ধারণা, পারিবারিক বিবাহেই বিচ্ছেদের ঘটনা বেশি ঘটে। আমার কিন্তু তা মনে হয় না। সঠিকভাবে হিসাব করলে দেখা যাবে, এর অনুপাত প্রায় সমান। ভালোবাসার সম্পর্কে ছেলেমেয়েরা তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রেই সচেতন থাকে। কেউ যাতে কিছু মনে না করে, সেদিকে লক্ষ রাখে। কিন্তু বিয়ের পর এই একই কাপল আরও বেশি খোলামেলা আচরণ করে; পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়া দম্পতিও। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং আমি মনে করি, বিয়ে যে ধরনেরই হোক, তার সঙ্গে বিচ্ছেদের কোনো সম্পর্ক নেই।
গাউসুল আলম শাওন: এবার বিচ্ছেদের আইন নিয়ে জানতে চাইব। ব্যারিস্টার মাহজাবিন ফাতিমা ওমরের কাছে।
ব্যারিস্টার মাহজাবিন ফাতিমা ওমর, লাইফ হ্যাপেন্স: মূলত মানুষের পার্সোনাল ল ধর্ম থেকে সৃষ্ট। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ যারা ধর্মসূত্রে মুসলমান, তাদের বিয়ে, ডিভোর্স ইত্যাদি বিষয়ে আইনগুলো এসেছে ইসলামি আইন ও রীতিনীতি থেকে। মুসলিম আইন অনুযায়ী ডিভোর্স বা তালাক তিনভাবে হয়। প্রথমত, স্বামী তার স্ত্রীকে (তালাক-ই-বায়েন), দ্বিতীয়ত, কাবিননামার শর্ত সাপেক্ষে স্ত্রী তার স্বামীকে (তালাক-ই-তফউজ) এবং তৃতীয়ত, স্বামী ও স্ত্রী সমঝোতার মাধ্যমে (খুলা তালাক) পরস্পর পরস্পরকে তালাক দিতে পারেন। এই তিন প্রকার ডিভোর্সই ব্যক্তিপর্যায়ে মুসলিম বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার বা কাজির মাধ্যমে দেওয়া যায়। তালাক-পরবর্তী পরিস্থিতিতে একজন স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি বকেয়া দেনমোহর এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অপরিশোধিত ভরণপোষণ এবং ইদ্দতকালীন তিন মাস সময়ের ভরণপোষণের আর্থিক দাবি উত্থাপন করার অধিকার রাখে। সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যদি অন্য কোনো দ্বন্দ্ব যেমন নাবালক সন্তানের কাস্টডি, সম্পত্তিবিষয়ক বিরোধ ইত্যাদি থাকে, তাহলে আদালতের মাধ্যমে তা নিষ্পত্তি করতে হয়। বৈবাহিক সম্পর্ক চলাকালীন স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার ইত্যাদির বিরুদ্ধে স্ত্রী বাংলাদেশে প্রচলিত দন্ডবিধি, যৌতুক নিরোধ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইন ইত্যাদির অধীনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
আমি আমার দীর্ঘ পেশাজীবনের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে তালাক পরিস্থিতিতে যখন এক পক্ষ অপর পক্ষের কাছ থেকে ডিভোর্সের নোটিশ পায়, তখন প্রাপক পক্ষের জন্য বিষয়টা একটা আঘাতের মতো হয়ে দাঁড়ায়। এই পরিস্থিতিতে কেউ কেউ একধরনের ক্ষোভ ও আক্রোশ থেকে অপর পক্ষকে হেনস্তা করার উদ্দেশ্যে প্রচলিত আইনের অপব্যবহারের কৌশল অবলম্বনের চেষ্টা করে। আমি মনে করি, স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই ডিভোর্সবিষয়ক নিজের আইনগত অধিকার ও অবস্থান জানা এবং সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি ও প্রস্তুতি অর্জনের জন্য কাউন্সেলিং সহায়ক। এ ছাড়া যেকোনো ডিভোর্স পরিস্থিতিতেই একজন স্বামী বা স্ত্রীর জন্য কাউন্সেলিং অত্যন্ত উপকারী।
গ্রন্থনা: জাহিদুল হক পাভেল
বিশেষ কৃতজ্ঞতা: ম্যানমো
ছবি: ফয়সাল সুমন