বিউটি সার্ভিস I ডায়মন্ড ফেশিয়াল
বয়স রুখবেন? সে সাধ্য কার। বরং সময়ের সঙ্গে, প্রকৃতির নিয়মে চেহারা যে বদলাবে, সেটাই জীবনের সত্য। তবে বশে রাখা সম্ভব বুড়িয়ে যাওয়া ভাব। ধরে রাখা যায় ত্বকের তারুণ্যোজ্জ্বলতা। সেটা কিন্তু বাড়তি প্রাপ্তি। সে জন্য প্রয়োজন পড়ে অধিক যত্নআত্তিরও। অভিনব সব কায়দায়, বয়সরোধী হাইএন্ড ট্রিটমেন্ট এ ক্ষেত্রে দারুণ সমাধান। এগুলোর একটি ডায়মন্ড ফেশিয়াল। এজ কন্ট্রোলিং ফর্মুলার এ ট্রিটমেন্ট বিশেষভাবে তৈরি পরিণত ত্বকের জন্য। তবে তৈলাক্ততায় এর কার্যকারিতা কম। ফলাফল বেশি মিলবে শুষ্ক থেকে স্বাভাবিক ত্বকে। বিউটি রুটিনে মাসে অন্তত একবার অপরিহার্য এ বিশেষায়িত সেবা। আর এর সঙ্গে যদি যোগ হয় স্পার কার্যকারিতা, তাহলে তো কথাই নেই। তখন এই একটি ফেশিয়ালই ফলপ্রদ হয়ে ওঠে বহুভাবে। এটি ত্বকে জরুরি আর্দ্রতার জোগান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসৃণতা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি ত্বক কোষের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়, দেখায় তারুণ্যদীপ্ত। বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখাগুলো কমিয়ে আনতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। হাইএন্ড এ ফেশিয়ালের শুরুতেই দেওয়া হয় স্পা উপযোগী রিল্যাক্সিং ম্যাসাজ। গ্লাইডিং, নিডিং আর ফ্রিকশন স্ট্রোকে বিভিন্ন মাত্রার চাপ প্রয়োগ করে চলে পুরো প্রক্রিয়া। যা শুধু শরীরের ক্লান্তি দূর করে না, ফেশিয়ালের জন্য প্রস্তুত করে তোলে ত্বককে। মূল প্রক্রিয়া শুরু হয় ত্বক পরিষ্কারের মাধ্যমে। গভীর থেকে তেল, ময়লা আর দূষণ দূর করার জন্য। এর পরপরই ফেশিয়ালটির জন্য তৈরি কফি ফ্লেবারড স্ক্রাব ব্যবহার করা হয়। এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। সরিয়ে দেয় অনাকাক্সিক্ষত দাগছোপ। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টক্সিন অপসারণ করে গভীর থেকে। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে পরিশুদ্ধ। তারপর ব্ল্যাকহেডস রিমুভিং। বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে খুব সাবধানে ত্বক থেকে তুলে আনা হয় এগুলো। একটুও ক্ষতি না করে। একদম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কারের মাধ্যমে পরবর্তী ধাপগুলোর জন্য প্রস্তুত হয় ত্বক। তারপর পমেগ্রেনেট টোনার মাখানো হয়। দেওয়া হয় পাঁচ মিনিটের বিশেষ ওজন সেশন। এই প্রক্রিয়ার পুরোটাই হয় ওজন মেশিনে, না ছুঁয়েই। এর ফলে দ্রুত অক্সিজেন প্রবেশ করে ত্বকের গভীরে। কোষগুলো উদ্দীপ্ত হয়। বেরিয়ে আসে টক্সিন। ব্রণ, অ্যাকনের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। সারায় পিগমেন্টেশন আর দাগছোপ। এমনকি বলিরেখা আর সূক্ষ্ম রেখার ছাপও মুছতে শুরু করে শক্তিশালী এই অ্যান্টিএজিং থেরাপি। এর পরপরই ত্বকে দেওয়া হয় প্যাক। তা-ও আবার দু-দুটি। বানানা, মাড অথবা কোল্ড— তিনটি অপশন থাকে প্রথম মাস্কের ক্ষেত্রে। বিশ মিনিটের জন্য মুখে মাখিয়ে রাখা হয় এটা। তারপর ভালোভাবে মুছে দেওয়া হয় পরবর্তী মাস্কটি। এটি বিশেষভাবে তৈরি শুধু এ ফেশিয়ালের জন্য। যা মুখে মাখিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। ভালোভাবে ধুয়েমুছে সবশেষে মাখানো হয় টোনিং লোশন। হাজার তিনেক টাকা আর ঘণ্টা দেড়েক সময় খরচ হতে পারে ফেশিয়ালটি করতে। অবশ্যই স্পেশালাইজড কোনো স্যালনে এবং দক্ষ হাতে। তবেই মিলবে এর পরিপূর্ণ উপকারিতা। ত্বক হয়ে উঠবে হীরকোজ্জ্বল।
বিউটি ডেস্ক
মডেল: স্পৃহা
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস