বাইট
লা মেরিডিয়ান ঢাকায় পিঠা উৎসব
নগরবাসীকে পিঠার স্বাদ দিতে লা মেরিডিয়ান ঢাকা আয়োজন করে পিঠা উৎসব। লেটেস্ট রেসিপি রেস্টুরেন্টে বাহারি পিঠার বিশাল সম্ভারের সঙ্গে ছিল বুফে ডিনার। ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে পিঠা উৎসবটি চলে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেখানে ছিল দুধ খেজুর, মুগ শোলা, গোলাপ পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, সেউই পিঠা, বাদশাহি পিঠা, রসমঞ্জরি, ভাপা পুলি, ঝাল পানতোয়াসহ ২৫ রকমের বেশি দেশীয় পিঠার সমাহার। এ ছাড়া উৎসবে শাহি ভাপা, চিতই ও ভর্তার জন্য ছিল আলাদা লাইভ স্টেশন।
লা মেরিডিয়ান ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্যাভ্রিয়েল বলেন, ‘পিঠা বাঙালি জীবন ও সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অঙ্গ। বছরজুড়েই পিঠা তৈরি হয়। তবে পিঠা তৈরি ও খাওয়ার উপযুক্ত সময় শীতকাল। ব্যস্ত শহরবাসীর জন্য পিঠা বানানো বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ। ব্যস্ত নগরবাসীর কথা চিন্তা করেই আমরা এই উৎসবের আয়োজন করি, যাতে করে তারা ঐতিহ্যবাহী দেশীয় পিঠার অতুলনীয় স্বাদ উপভোগ করতে পারেন।’
আমারি ঢাকায় সিফুড উৎসব
আমারি ঢাকা আয়োজন করেছিল সামুদ্রিক খাবারের উৎসব। এতে শেফের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান হাসান। উৎসব চলে ১৯ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। চায়নিজ, থাই, জাপানিজ, ইন্ডিয়ান, ইতালিয়ান স্টেশনজুড়ে থাকে সামুদ্রিক খাবারের মেলা। হাসান আমারি ঢাকার দক্ষ শেফদের নিয়ে তৈরি করেন চিনিস চায়নিজ ফিশ, আসায় প্রন কারি, লেবানিজ ফিশ হারা, স্প্যানিশ সিফুড পায়েলা, ইন্ডিয়ান ফিশ বিরিয়ানি, ফিশ কোলিয়াডাসহ আরও বাহারি পদের সামুদ্রিক খাবারের বিশেষ মেনু। পাশাপাশি ছিল সামুদ্রিক স্যালাড। অতিথিরা তাজা সব আইটেম থেকে বেছে নিতে পেরেছেন নিজের পছন্দের খাবার।
বকুলতলায় রসের মেলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় রসের মেলা। খেজুর রসে গলা ভেজানোর পাশাপাশি মুড়ি-মুড়কি, গুড়-পাটালি ও রসের পিঠা দিয়ে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিলন পালাকারের পরিবেশনায় চলে কালু-গাজী ও চম্পাবতীর পালা। নবমবারের মতো সাংস্কৃতিক সংগঠন রঙ্গে ভরা বঙ্গ আয়োজন করে রসের মেলার। উদ্বোধন করেন শিল্পী আবুল বারক আলভী ও শাহাজাহান মৃধা বেনু। দর্শনার্থীরা সেদিন খেজুরের রসের সঙ্গে মুড়ি দিয়ে জমিয়ে সকালের নাশতার পাশাপাশি, খই আর খেজুরের গুড়ের স্বাদ নিতে পেরেছেন। শুকনো পাতা দিয়ে তৈরি বাটিতে খেজুর গুড় ও খই-মুড়ি খেতে খেতে নানা রসবোধে মেতে ছিলেন অনেকেই।