ব্লগার’স ডায়েরি I রঙের ছটায়
বৈশাখী মেলা, শোভাযাত্রা ও নতুন পোশাক নিয়ে হাজির হয় বছরের প্রথম দিন। বর্ষবরণের সঙ্গে নতুন পোশাকের সম্পর্ক ওতপ্রোত, এটা সবারই জানা। তাতে রঙের সামঞ্জস্য থাকতে হয়। বৈশাখের কড়া রোদে হালকা রং আরামদায়ক। এটি হওয়া উচিত ঋতু ও আবহাওয়া অনুযায়ী।
চারুকলার শিক্ষার্থী হওয়ায় রঙের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা। সব রঙই আমার পছন্দ। নববর্ষের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে। প্রতিবছর এই দিনে সকাল থেকে সন্ধ্যা ঘোরাঘুরি করে কাটে। তাই পয়লা বৈশাখের কড়া রোদের জন্য মানানসই হালকা রঙের সুতির পোশাক বেছে নিই। সাদার উপর নিজের পেইন্টিং ও সুতার কাজ করা শার্টের সঙ্গে রঙিন পাজামা আমার পছন্দ। এ সময় দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকে। রাতে রেস্টুরেন্টে বসতে চাইলে এয়ারকন্ডিশনারের ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য পাতলা কাপড়ের বোম্বার জ্যাকেট সঙ্গে রাখি। হালকা ঠান্ডায় কাজে লাগবে এবং স্মার্টনেস বাড়িয়ে দেবে এমন জ্যাকেটই আমার পছন্দ। গরম লাগলে সেটি খুলে হাতে অথবা ঘাড়ে ঝুলিয়ে রাখার স্টাইল এখন বেশ জনপ্রিয়।
প্রসঙ্গক্রমে ট্রেন্ডের কথা মনে আসে। আমার মতে, এটি মেনে চলা বাধ্যতামূলক নয়। নিজেকে মানানসই লাগবে এমন কিছু দেখলে আমি কিনে ফেলি। ঠিক তেমনটাই করেছি এবারের নববর্ষ উদযাপনের জন্য। পাজামার রঙগুলো পছন্দ হওয়ায় কিনেছি। বর্ষবরণের দিন অনেক হাঁটতে হয়, এ জন্য জুতা আরামদায়ক।
ছেলেদের চুল ও দাড়ি পোশাকের সঙ্গে জুতসই হতে হয়। যাদের দাড়ি ঘন নয়, আমার মতে তাদের ক্লিন শেভেই ভালো দেখায়। তা ঘন হলে সুন্দর করে ছেঁটে রাখা দরকার। এ ক্ষেত্রে খেয়াল করা উচিত, গোঁফ যেন কখনোই ঠোঁটের উপরে না থাকে।
পয়লা বৈশাখে ভালো ফেসওয়াশে মুখ ধুয়ে বাইরে যাই। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে চুল ও দাড়ির স্টাইল। সঙ্গে রুচিসম্মত সানগ্লাস রাখা জরুরি। এভাবেই বর্ষবরণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি।
আবরার শাদমান আহমেদ
ছবি: পারিসা মনজুর
ফেসবুক: Abrar Shadman Arnab
ইনস্টাগ্রাম: vividarnad
এগিয়ে যাও ……