সেলিব্রিটি স্টাইল I সরলরেখায় শবনম ফারিয়া
প্রথম চলচ্চিত্রেই বাজিমাত। ‘দেবী’ দিয়েই ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী এবং শ্রেষ্ঠ নবীন অভিনয়শিল্পীর পুরস্কার। জয় করে নিয়েছেন দেশি-বিদেশি দর্শকদের মন। যদিও শুরুটা হয়েছিল মডেলিং দিয়ে। তারপর ছোট পর্দাতেই বেশি দেখা গেছে তাকে। এ নিয়েই ব্যস্ততা এখন। স্বতঃস্ফূর্ত ও প্রাণচঞ্চল। সুনাম আছে সোজাসাপ্টা কথার জন্যও। তার সঙ্গে আড্ডায় আরও অনেক অজানা তথ্য জানা গেল। ক্যানভাস স্টুডিওতে। জানাচ্ছেন জাহেরা শিরীন
কী রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন?
সাদা এবং কালো।
কোন রঙ একেবারেই অপছন্দ?
কমলা আর হলুদ। একসময় একেবারেই এড়িয়ে যেতাম এগুলো, কিন্তু টিভি স্ক্রিনে এ রঙগুলোই দারুণ দেখায়। তাই এখন পরি।
একটা অ্যাকসেসরিজ যা ছাড়া একদমই বাইরে বেরোন না?
আমার যেকোনো ধরনের অ্যাকসেসরিজই খুব পছন্দ। কিন্তু নিয়মিত পরা হয় না।
পছন্দের একটা ফ্যাশন ট্রেন্ড?
নিয়ন কালার।
ওয়্যারড্রোবের এমন একটা পোশাক, যা সবচেয়ে বেশিবার পরা হয়েছে?
ব্লু জিনস।
ফ্যাশন আইকন?
এই পুরো কনসেপ্টটাই আমার বোঝার বাইরে। আমি যা পরে আরাম পাই, তাই পরা হয়।
কী পরে সবচেয়ে বেশি আরাম লাগে?
জিনস আর টি-শার্ট।
আপনার সৌন্দর্যের রহস্য?
আমি কী সুন্দর!!… হা হা হা…
রেগুলার বিউটি রুটিন?
আমাকে একটু বাড়তি যত্ন নিতেই হয়। কারণ, আমার কিছু হরমোনাল ডিসঅর্ডার আছে। যার কারণে ত্বক বেশ স্পর্শকাতর আর অ্যাকনেপ্রবণ। সে ক্ষেত্রে আমি খুব যত্ন এবং সময় নিয়ে মেকআপ উঠাই। সেটা যত রাতই হোক না কেন। আর মাসে একবার অবশ্যই প্রফেশনাল ডিপ ক্লিন ফেশিয়াল বা ট্রিটমেন্ট নিই।
মাস্ট হ্যাভ বিউটি প্রডাক্ট?
লিপবাম আর সানস্ক্রিন।
নিজের চুল নিজে কেটেছেন কখনো?
না। কক্ষনো না।
পছন্দের রঙের লিপস্টিক?
লাইট বা ন্যুডই আমার পছন্দ। আমার বিশাল লিপস্টিকের কালেকশনে সব কটি প্রায় এই এক রঙেরই।
মেকআপ ব্যাগে সব সময় কী থাকে?
সবকিছু। প্রাইমার, ফাউন্ডেশন, কনসিলার, মাসকারা, আইলাইনার, কাজল, ব্রোঞ্জার- সবকিছু।
পছন্দের মেকআপ ব্র্যান্ড?
যে প্রডাক্ট আমাকে মানায়, আমি সেটাই ব্যবহার করি। যেমন এস্টি লডারের ফাউন্ডেশন, ম্যাকের পাউডার ফাউন্ডেশন। আবার লিপস্টিকের ক্ষেত্রে পছন্দের শেড অনুযায়ী আমি ব্র্যান্ড বাছাই করি।
সম্প্রতি কিসে ঝোঁক বেড়েছে?
হাইলাইটার। একসময় ব্যবহার করতাম না; কারণ, আমার মনে হতো, আমাকে তেলতেলে দেখাচ্ছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম, এর ঠিকঠাক ব্যবহার পুরো চেহারাই পাল্টে ফেলে।
নিজের কেনা সবচেয়ে পছন্দের জিনিস?
আমার হ্যান্ডব্যাগের কালেকশন।
প্রথম কাজ?
একটা ম্যাগাজিনের জন্য ফটোশ্যুট।
প্রথম উপার্জন?
একটা টেলিভিশন বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া পনেরো হাজার টাকা।
নতুন করে কী শিখতে চান?
ভাষা। ফ্রেঞ্চ আর জার্মানি।
তিন শব্দে নিজেকে বর্ণনা করুন।
স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড, কেয়ারিং ওয়াইফ অ্যান্ড ডটার।
পছন্দের খাবার?
আমি ফুডি। খেতে ভীষণ ভালোবাসি। এর মধ্যে স্টেক, পাস্তা আর চিকেনের যেকোনো আইটেম আমার খুব পছন্দ।
অপছন্দের খাবার?
শাকসবজি।
জীবনে পাওয়া সেরা উপদেশ?
বেশি করে পানি পান করো। হা হা হা…
কিশোরী শবনম ফারিয়াকে কী বলতে চাইতেন?
মন দিয়ে লেখাপড়া করো। ওটাই সব থেকে বেশি জরুরি।
আপনার রাশি?
মীন।
ডাকনাম?
তৃপ্তি। তবে বাসায় আমার ছোট যারা, তারা আমাকে তিতি ডাকে।
জীবনে পাওয়া সেরা উপহার?
আমার মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া। তারা আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন, আমার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে বাধা দেননি বা তাদের ইচ্ছাগুলো আমার উপর চাপিয়ে দেননি। সেটাই আমার জীবনে পাওয়া সেরা উপহার।
ফার্স্ট ক্রাশ?
মাশরাফি বিন মুর্তজা।
অপ্রকাশ্য প্রতিভা?
আমার কোনো প্রতিভা নেই। এই যে অভিনয় করতে পারি, সেটাও জেনেছি গত চার-পাঁচ বছরে।
নিজেকে গুগল করা হয়েছে কখনো?
হ্যাঁ। অনেকবার। শবনব ফারিয়া হাজবেন্ড, শবনম ফারিয়া ওয়েডিং, শবনম ফারিয়া ওয়েডিং ভিডিও- এগুলোই সার্চ অপশনে খুঁজে পেয়েছি। হা হা হা…
আপনি কি আবেগপ্রবণ?
অনেক বেশি। আমার রাগ, খুশি কিংবা অভিমানের মাঝামাঝি কিছু নেই। সবই অতিরিক্ত।
ঢাকার সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার?
ঢাকাই তো সবচেয়ে পছন্দের ব্যাপার।
ফিকশনাল ক্যারেক্টার, যার সঙ্গে প্রেম করতে চাইতেন?
ছোটবেলায় আমি হিমুর সঙ্গে প্রেম করতে চাইতাম। হা হা…। এখন গেম অব থ্রোনস-এর জন স্নোর সঙ্গে প্রেম করতে চাই।
একটা মিথ্যা বলেন।
আমার কোনো রাগ নাই। আমি খুবই শান্তশিষ্ট, চুপচাপ। একদম কম কথা বলি। নেন- তিনটা বললাম। হা হা হা…
নিজের করা সবচেয়ে পছন্দের কাজ?
দেবী।
পছন্দের একজন সেলিব্রিটি যার সামনে নার্ভাস লাগে?
সুবর্ণা মুস্তাফা। উনার সামনে গেলে আমার পা কাঁপে। আর মাশরাফি বিন মুর্তজা। উনার সামনে গেলে আমি কথা বলতে পারি না, হার্টবিট বেড়ে যায়।
ক্যারিয়ারের স্মরণীয় মুহূর্ত?
@18 অলটাইম দৌড়ের ওপর যেদিন অন-এয়ার হলো, সেদিন রাতে আর দেবীর রিলিজ।
নিজেকে কীভাবে স্মরণীয় রাখতে চান?
ভালো কাজের মাধ্যমে।
সৃষ্টিকর্তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ মিললে কী করবেন?
জিজ্ঞেস করব, আমার বাবাকে এত আগে কেন নিয়ে গেলেন আমার কাছ থেকে।
স্টাইলিং ও কনসেপ্ট: নুজহাত খান
মেকওভার: পারসোনা
আর্ট ডিরেকশন: দিদারুল দিপু
ছবি: সৈয়দ অয়ন