সাজসারাই I ফাটা ঠোঁটের সাজ
ফেটে যাওয়া ঠোঁটের জন্য চাই বিশেষ যত্ন। প্রসাধন ব্যবহারেও প্রয়োজন সতর্কতা
অনেকের সারা বছর ঠোঁট ফাটে। লিপস্টিক দিলেও ভালো দেখায় না। ঠোঁট থেকে রক্ত বের হয়। কোনো কিছু খেতে গেলে জ্বালাপোড়া করে। এই সমস্যাগুলো রোধ করতে এবং নিজেকে সুস্থ ও আকর্ষণীয় রাখতে প্রতিদিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে।
ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে সামান্য সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। কয়েক মিনিট পর ঠোঁটে সামান্য ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে লিপস্টিক দিন।
লিপলাইনার আউটলাইন করতে ব্যবহৃত হলেও ঠোঁটের বাড়তি অংশ ফিলিংয়ের জন্য কাজে লাগানো যেতে পারে। ফর্মুলেশন অনেক বেশি ম্যাট আর থিক হওয়ায় এটি লিপস্টিক ছড়িয়ে যেতে দেয় না।
ময়শ্চারাইজার সমৃদ্ধ লিপস্টিক বেছে নিতে হবে।
সকালে মুখ ধোয়ার পরে ভিজে ঠোঁট পরিষ্কার নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা হাতে ঘষুন। মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য আমন্ড অয়েল নিয়ে কিছুক্ষণ ঠোঁট ম্যাসাজ করুন। সারা রাত রেখে দিন।
ঠোঁটের চামড়া উঠলে কখনো দাঁত দিয়ে কামড়ে বা হাত দিয়ে তোলা যাবে না। হাতে ময়লা ও জীবাণু থাকলে ঠোঁটে সংক্রমণ ঘটতে পারে।
প্রচুর পানি পান করতে হবে। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে শরীর অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ঠোঁটও ফাটে।
মাঝে মাঝে ঠোঁটে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করা যায়।
ফেটে বা মরা চামড়া উঠে ঠোঁট অমসৃণ হয়ে যায়। নিয়ম করে এক্সফোলিয়েট বা স্ক্রাব করা হলে মরা চামড়া পরিষ্কার হয়ে উঠবে। পরে ময়শ্চারাইজার বা জেল দিতে হবে। এতে রুক্ষতা কেটে যাবে। কোমলভাবে আঙুলের সাহায্যে অথবা নরম ব্রাশ দিয়ে হালকা ঘষে স্ক্রাব করতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ে এক্সফোলিয়েটর তৈরি করা যায় :
ডালের গুঁড়া: এটির সঙ্গে একটু গোলাপজল ও মধু মিশিয়ে মিশ্রণটি আঙুলের সাহায্যে ঠোঁটে আলতো করে ঘষতে হবে। এতে মরা চামড়া উঠে যাবে।
চিনি: চিনির সঙ্গে জলপাই তেল অথবা মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
ওটমিলের গুঁড়া: ওটমিলের গুঁড়া ও মধুর পেস্ট তৈরি করেও ঠোঁটে স্ক্রাব করা যায়।
সুরবি প্রত্যয়ী
মডেল: আয়শা ও সামীন
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস