প্রাচীনমানুষ যেভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করত
বর্তমানে জন্মনিয়ন্ত্রণের অনেক পদ্ধতি বেরিয়েছে। কিন্তু প্রাচীনকালে বিজ্ঞানের এত অগ্রগতি ছিল না। তাই প্রশ্ন ওঠে তৎকালীন মানুষ কোন পদ্ধতিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ করত? জানা যায়, প্রাচীন মিসরে গর্ভধারন এড়াতে মধু ব্যবহার করত নারীরা। তারা মনে করত, মধুর প্রলেপ থাকলে শুক্রাণু নারীদেহে প্রবেশ করতে বাধা পায়।
গ্রিসের পুরুষেরা ব্যবহার করত অলিভ অয়েল ও সিডার তেলের মিশ্রণ। তাদের ধারণা ছিল, এই মিশ্রণ শুক্রাণুকে দুর্বল করে। ফলে গর্ভধারন হয় না। গ্রিনল্যান্ডের নারীরা গর্ভধারণের ওপর চাঁদের প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করত। তাই গর্ভধারন এড়াতে চাঁদকে এড়িয়ে চলত তারা। চৈনিকরা ব্যবহার করত পারদ তেলের এক ধরনের মিশ্রণ। খালি পেটে এ ধরনের মিশ্রণ খাওয়ানো হতো নারীদের। কিন্তু এটা যে কত ক্ষতিকর সমকালীন মানুষমাত্রই তা জানে।
মধ্যযুগে গর্ভধারন রোধ করতে যৌনমিলনের আগে নারীরা ঘরের বাইরে গিয়ে নেকড়ের মূত্রত্যাগ করার স্থানে গিয়ে মূত্রত্যাগ করে আসত। কিংবা সে ধরনের কোনো স্থান থেকে ঘুরে আসত। এমনকি ১৯০০ সালের শুরুর দিকেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি এত উন্নত ছিল না। সে সময় বাজারে লাইসল নামের একটি পণ্য পাওয়া যেত। এটি নারীদেহের ভেতরে গিয়ে কিছুটা অংশ জ্বালিয়ে দিত, ফলে তারা গর্ভধারন করত না। কিন্তু এ পদ্ধতিতে অনেকেই আহত হতো। পাঁচজনের মৃত্যুও হয়েছিল।