লকডাউনে জুতার যত্ন
এবারই মনে হয় এতদিন প্রিয় জুতায় পা না গলিয়ে থাকা। দিনের পর দিন এমন অব্যবহৃত থেকে গেলে জুতার স্বাস্থ্যহানি হওয়া বিচিত্র কিছু নয়। তাই প্রয়োজন সঠিক দেখভাল।
❙ জুতা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে তা শ্বাস নিতে পারে। জুতার র্যাকে একটার উপর আরেকটা চাপিয়ে রাখলে তা কোনদিনই সম্ভব হবে না। উল্টো এমন গাদাগাদিতে জুতার আসল আকারই নষ্ট হয়ে যাবে। আর স্টোর করার আগে তা অবশ্যই ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে নিতে হয়। বের করে দেখে নিন।
❙ জুতারও নিয়মিত কন্ডিশনিং প্রয়োজন। তাই না পরলেও চামড়ার জুতা বের করে পলিশ করুন। ফোম বা সোয়েডের জন্য প্রয়োজন হবে পুরানো টুথব্রাশ আর সাবান পানির। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ার পর কন্ডিশনার মাখুন। তারপর সারা রাত বাইরে রেখে দিন শুকানোর জন্য।
❙ স্নিকার্স পরিষ্কার করার জন্য আপনাকে একটু ধৈর্য ধরতে হবে। পুরো স্নিকার্স পানিতে ভেজানো যাবে না। প্রথমে টুথব্রাশের হালকা স্ট্রোকে সব ময়লা ঝাড়তে হবে। নাছোড় ময়লার জন্য রইল সাবান পানি। শুকানোর জন্য রোদ লাগানো যাবেনা কিন্তু। পুরানো খবরের কাগজ জুতার ভিতর ঢুকিয়ে ফ্যাশনের নিচে রাতভর রেখে দিলেই চলবে। ¯িœকার্সের ফিতা ধুতে হবে সাবান পানিতে। তারপর শুকিয়ে নিতে হবে রোদে।
❙ যেসব জুতার প্রতি রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা, সেগুলিকে আলাদা কোন বাক্সে বা নরম কাপড়ের ব্যাগে পুরে নিন। পুরানো টি-শার্ট থেকে ব্যাগ বানিয়ে নেওয়া যায়। পা ঢাকা জুতার শেপ ঠিক রাখার জন্য ভিতরে টিস্যু বা কাগজ পুরে দিন।