খাদ্যসংরক্ষণ পদ্ধতি
বারো হাজার বছর আগে কৃষি আবিষ্কারের পর থেকেই মানুষের উদ্বৃত্ত খাবার বৃদ্ধি পেতে লাগল। কিন্তু এসব জৈব উদ্ভিজ্জ খাবারগুলো ছিল পচনশীল। তাই সংরক্ষণের তাগিদে আবিষ্কৃত হতে লাগল বিভিন্ন উপায়। প্রথম দিকে প্রাকৃতিকশক্তি ও উপাদান ব্যবহার করে সংরক্ষণ করা হতো। কালক্রমে বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিভিন্ন রাসায়ানিক উপাদান বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেগুলো কিছু কিছুকে খাদ্য সংরক্ষণের কাজে ব্যবহার করেছে মানুষ।
মূলত খাদ্যদ্রব্যকে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ও অন্যান্য অণুজীবের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা এবং খাদ্যের জারণ প্রক্রিয়া রুখে দিয়ে পচন রোধ করে খাবারের স্বাদ ও মান অক্ষুন্ন রাখাই খাদ্যসংরক্ষণ। হাজার বছর আগে থেকেই এ বিষয়ে নানা পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে মানুষ। কিছু পদ্ধতি আবার অর্বাচীন। সাধারণত দুই উপায়ে খাদ্য সংরক্ষণ করা হয়। প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম। এই দুই প্রক্রিয়ার আছে আবার বিবিধ ধরন। কখনো সূর্যতাপে শুকিয়ে, কখনো ঠান্ডা করে অথবা কৌটায় ভরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে খাবারটিকে গলিয়ে জেলী করে। পদ্ধতি ভেদে খাবার সংরক্ষণের এসব পদ্ধতির নাম রাখা হয়েছে। যেমন, শুষ্ককরণ, শীতলীকরণ, হিমায়ন, উত্তাপন, কিউরিং, সুগারিং, ধূমায়ন, পিকলিং, লাই, কৌটাজাতকরণ, জেলীকরণ, জগ ভর্তিকরণ ও গাঁজন। তা ছাড়া আছে বিকিরণ, সংশোধিত বায়ুমণ্ডল, ইলেকট্রোপোরেশন, পাস্তূরীকরণ, বায়ো সংরক্ষণ ইত্যাদি। একেকধরনেরখাবারসংরক্ষণেএকেকপদ্ধতিব্যবহারকরাহয়।