অয়েল ক্লেনজিং
এবার তেল মেখে ত্বক পরিষ্কারের পালা। পাশাপাশি জেল্লা বাড়াবে, কমাবে অ্যাকনে আর ব্ল্যাকহেডসও। শুষ্ক ত্বকে তো ব্যবহার উপযোগী, সেনসিটিভ আর অ্যাকনে প্রবণ ত্বকেও ব্যবহার সম্ভব তেল। তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে। নইলে হীতে বিপরীতটাই ঘটবে কিন্তু।
কীভাবে কাজ করে তেল
১. ত্বকের উপরে থাকা অতিরিক্ত সেরাম, যা ত্বকের গ্রন্থিই তৈরি করে, তা সহজে দূর করে তেল, ত্বককে শুষ্ক না করেই।
২. তেল ব্যবহারের কারণে ত্বকের পোরসের মুখে জমে থাকা ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইট হেডস সহজেই উঠে আসে ফলে ত্বক শ্বাস নিতে পারে।
৩. অতিরিক্ত মেকআপের অবশিষ্টাংশ, মৃতকোষ। ধুলাবালি দূর করে বলে ত্বক ভালো এবং উজ্জ্বল থাকে।
তেল তৈরির জন্য
সমপরিমানের অলিভ অয়েল এবং ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিয়ে তৈরি করুন ক্লেনজিং অয়েল। ত্বক যত শুষ্ক হবে, ততো অলিভ অয়েলের পরিমাণ বাড়বে। তৈলাক্ত আর অ্যাকনে সমস্যায় ক্যাস্টর অয়েলের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। এছাড়া লাগবে পানি আর একটা তোয়ালে।
প্রক্রিয়া
হাতে এক চামচ তেল নিয়ে তা মুখে মাসাজ করুন। প্রায় মিনিট পাঁচেক। তারপর ভেজানো তোয়ালে দিয়ে মুখ আলতো করে মুছে নিন। অযথা ঘষাঘষি করা যাবে না। তাহলে ত্বক আরও ইরিটেটেড হবে, বাড়বে সমস্যা। মোছার পর খানিকটা তেল মুখে থেকে যেতে পারে। তাতে অসুবিধা নেই। তবে খেয়াল রাখতে হবে, মুখ মোছার পর তা যেন হাইড্রেটেড লাগে, তেলতেলে নয়। তারপর ডাবল ক্লেনজ করতে চাইলে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নেওয়া যায়। সেটা অপশনাল। মুখ বাতাসে শুকিয়ে পছন্দসই ময়শ্চারাইজার মাখিয়ে নিন।